বিগ বস ১৮ আসরে করণveer মেহরার দুই বিবাহ এবং সাবেক স্ত্রীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। লাইফ কোচ আরফিন খান তার আক্রমণাত্মক স্বভাব নিয়ে মন্তব্য করেন, যা মিডিয়ার সামনে নাটকীয়তা বাড়িয়েছে। যদিও করণ vehementভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, এই ঘটনাগুলো বলিউডের অভিনেতাদের ব্যক্তিগত জীবনের দ্বন্দ্বগুলো এবং তার প্রভাব সমাজের ওপর কীভাবে পড়ে, তা আবারও সামনে এনেছে।
বিবাহ ও বিতর্কের জালে: কারন ভীর মেহরার জীবন
বিগ বস ১৮-এর আরও অনেক প্রতিযোগীর মাঝে, অভিনেতা করণ ভীর মেহরার জীবন যেন নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে তার দুইটি বিবাহের কারণে। সম্প্রতি তাকে তার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এসব অভিযোগের পর, কোচ আরফিন খান, যিনি হৃতিক রোশনের জীবন কোচও, জানান যে মেহরার মেজাজ তীক্ষ্ণ এবং তিনি তার ক্রোধ প্রকাশ করতে সক্ষম। এতে করে খ্যাতনামা ‘খতরোন কি খিলাড়ি’ তারকার বিরুদ্ধে নতুন বিতর্কের আগুন জ্বলে ওঠে।
আরফিন খানের অভিযোগ
আরফিন খান বলেছিলেন, “করণ ভীর সবচেয়ে বড় সমস্যার জন্ম দেবে। আমি মনে করি, তিনি এক আক্রমণাত্মক ব্যক্তি, তিনি হয়তো মহিলাদের ক্ষেত্রেও সহিংস হতে পারেন। তিনি তার পরিচয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য কিছুতেই লড়াই করবেন।” এর পর, শুক্রবার রাতে ‘উইকেন্ড কা বার’ এ সঞ্চালক সালমান খান করণ ভীরকে প্রশ্ন করেন যে, তিনি কি কখনো তার স্ত্রীর উপর হাত তুলেছেন বা তার সাবেক স্ত্রীরা কি কখনো তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছেন, যার উত্তর দিতে মেহরা কঠোরভাবে ‘না’ বলেন। তিনি আরও যোগ করেন, “আমার দুই সাবেক স্ত্রী’র সাথে সম্পর্কের সময় আমি কখনো তাদের উপর হাত তুলিনি। অবশ্যই, আমাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে, কিন্তু সেটা কখনো FIR পর্যন্ত যায়নি বা সহিংসতার পর্যায়ে পৌঁছায়নি।”
করণ ভীরের বিয়ে ও বিচ্ছেদ
মেহরা, যিনি সম্প্রতি ‘খতরোন কি খিলাড়ি ১৪’ জিতেছেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেবিকা মেহরার সাথে বিবাহিত ছিলেন। এবং কয়েক বছর পরে, তিনি অভিনেত্রী নিধি সেটের সাথে বিয়ে করেন, কিন্তু এই দম্পতির সম্পর্ক ২০২৩ সালে শেষ হয়ে যায়।
বিগ বস ১৮: নতুন মুখ ও প্রবণতা
এদিকে, বিগ বস ১৮ এ স্পষ্ট নজরে আসছে শিল্পা শিরোডকার, বিবিয়ান ডি সীনা, অবিনাশ মেহরা, অ্যালিস কৌশিক, নায়রা বানার্জি, মুসকান বামনে, শেহজাদা ধামির মতো পরিচিত টেলিভিশন মুখগুলো। এই মৌসুমটি টেলিভিশন শিল্পের বিভিন্ন নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করছে।
এখন প্রশ্ন হল, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের এই জগতে গুজব এবং বিতর্কের কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পড়ছে? দর্শকরা এখন একাধিক সামাজিক এবং মানসিক সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেন। অনেকে প্রশ্ন করেন, আমরা কি সত্যিই শিল্পীদের অন্তর্দৃষ্টিকে সম্মান দিচ্ছি? কীভাবে বিতর্ক বাড়ানো হচ্ছে এবং বলিউডের প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়া আরও জটিল হচ্ছে? এই সংঘাত আমাদের সমাজে একটি নতুন ধারণা প্রতিষ্ঠা করবে কি না, সেটাও প্রসঙ্গের মধ্যে।