বলিউডে কান্গনা রনৌতের সাম্প্রতিক বিতর্ক ও চ্যালেঞ্জগুলো যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। ‘ইমার্জেন্সি’ ছবির মুক্তির বিলম্বের প্রভাবে বাস্তব জীবনের ‘আপদ’ মাথায় নিয়ে তার মুম্বইয়ের ₹৩২ কোটি অফিস বিক্রি করার সিদ্ধান্ত, শিল্পীর ব্যক্তিগত আর্থিক সংকটকেই সামনে আনছে। বিজেপির বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট হলেও, বিনোদন শিল্পের চাপ, রাজনৈতিক মতাদর্শ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার মধ্যে জ tangled সম্পর্কটি এখন দর্শকদের ভাবতে বাধ্য করছে। নতুন মুক্তির তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি, কিন্তু কান্গনার এই সংগ্রাম নিশ্চিত করছে, এই সিনেমাও নেতা ইন্দিরা গান্ধীর সময়কালের চ্যালেঞ্জের উদ্দেশ্যে গড়া।
কঙ্গনা রণৌতের নতুন চ্যালেঞ্জ: জরুরি মুক্তির বিলম্ব ও আর্থিক সংকট
জরুরি চলচ্চিত্রের মুক্তি উপলক্ষে বেশ দিন ধরে অপেক্ষার পর, অভিনেত্রী এবং নির্মাতা কঙ্গনা রণৌত চমকপ্রদ খবরের শিরোনামে এসেছেন তাঁর মুম্বইয়ের ৩২ কোটি রুপি মূল্যের অফিস বিক্রি করার মাধ্যমে। বান্দ্রার পালি হিল এলাকার এই সম্পত্তি ২০১৯ সাল থেকে তাঁর প্রযোজনা সংস্থা, মনিকার্নিকা ফিল্মসের সদর দফতর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিউজ১৮-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা এ প্রসঙ্গে কিছু সত্য উন্মোচন করেছেন।
অর্থনৈতিক চাপের চিহ্ন
সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেছেন, জরুরি চলচ্চিত্রের মুক্তির বিলম্বের কারণে তাঁর ওপর কেমন আর্থিক চাপ পড়েছে। তিনি বলেন, “প্রাকৃতিকভাবেই আমার চলচ্চিত্রটি মুক্তির জন্য প্রস্তুত ছিল। আমি আমার সব ব্যক্তিগত সম্পত্তি এতে বিনিয়োগ করেছি। এখন যখন এটি মুক্তি পাচ্ছে না, তখন তো-টাই হল – সংকটের সময়ে সম্পত্তি কাজেই আসে।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে কঙ্গনার বর্তমান আর্থিক অবস্থা।
অফিস বিক্রির পেছনের কারণ
২০১৭ সালে ২০ কোটি রুপিতে কেনা এই অফিসের বিক্রি ছিল কঙ্গনার জন্য একটি বড় ঘটনা, যেখানে তিনি বাংগালোরকে নিজের চলচ্চিত্র উদ্যোগের জন্য সৃজনশীল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। তবে তিনি জানান, ব্রিহানমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (বিএমসি) দ্বারা কারুকাজের জন্য অফিসের আংশিক ধ্বংসের জন্য ক্ষতিপূরণের জন্য তিনি দাবি করেননি। “এটি করদাতাদের টাকা, তাই আমি তার জন্য ছেড়ে দিয়েছি,” কঙ্গনা বলেন।
জরুরি চলচ্চিত্রের চরম পরিস্থিতি
মুক্তি পাওয়ার জন্য জোর প্রস্তুতি শেষে, জরুরি চলচ্চিত্রটি পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) এর সার্টিফিকেশন বিলম্বের কারণে ম্লান হয়ে গেছে। কঙ্গনার এই সিনেমায় ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ২১ মাসের জরুরি অবস্থার একটি কনট্রোভার্সিয়াল সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়েছে। এই ফিল্মের মুক্তি প্রক্রিয়ায় অনেকগুলি চ্যালেঞ্জ ছিল, যার মধ্যে সেন্সর বোর্ডের বিলম্ব এবং কয়েকটি শিখ সংগঠনের সমালোচনাও অন্তর্ভুক্ত।
নতুন মুক্তির তারিখের অপেক্ষা
যদিও ছবিটি এখন কিছু কাটছাঁটের সঙ্গে সার্টিফিকেট পেয়েছে, তবে নতুন মুক্তির তারিখ এখনো নিশ্চিত করতে পারা যায় নি। কঙ্গনা রণৌতের অভিনয়শৈলী এবং এই চলচ্চিত্রের প্রভাব কীভাবে দর্শকদের কাছে অনুমোদন পাবে, তা এখন দেখার বিষয়।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, কঙ্গনা রণৌত এবং তাঁর চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি এই দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজে কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে? চলচ্চিত্রের মুক্তি বিলম্ব এবং আর্থিক সংকটগুলি বর্তমান বলিউডের অঙ্গনে একটি ব্যাপক আলোকপাত করছে, যা অবশ্যই সবার জন্য ভাবনার বিষয় হতে পারে।