বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের নতুন সিনেমা “এমার্জেন্সি” তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত, তবে সেন্সর বোর্ডের অনুমোদনের জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। কঙ্গনা অভিযোগ করেছেন, সিনেমাটির সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ায় দেরি করানোর পেছনে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে, যা চলচ্চিত্রের মুক্তিকে প্রভাবিত করছে। সমাজে সিনেমার প্রভাব ও মিডিয়ার প্রতিনিধিত্ব নিয়ে চলছে বিতর্ক, যেখানে সঠিক ন্যারেটিভের অভাব এবং দর্শক পছন্দের পরিবর্তন বোঝা যাচ্ছে।
বলিউডের মঞ্চে: কঙ্গনা রানাউতের ‘এমারজেন্সির’ বিতর্কিত প্রদর্শন
নতুন বাংলা সিনেমা প্রেমীদের জন্য একটি মর্মান্তিক সংবাদ এসেছে। কঙ্গনা রানাউতের আসন্ন সিনেমা ‘এমারজেন্সি’ সংশ্লিষ্ট আইনগত জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে মুক্তি পাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড (CBFC) বোম্বে হাইকোর্টকে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু কাটের সুপারিশ রক্ষা করলে সিনেমাটির সার্টিফিকেট পেতে পারে। সিনেমাটির মুক্তির প্রাথমিক দিন ছিল ৬ সেপ্টেম্বর, কিন্তু সেন্সর বোর্ডের সাথে চলমান লড়াইয়ের কারণে তা পিছিয়ে পড়েছে।
আইনগত সমস্যা ও CBFC-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ
কঙ্গনা রানাউত, যিনি এই সিনেমার পরিচালক এবং কো-প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকাও পালন করেছেন, অভিযোগ করেছেন যে CBFC সিনেমাটির সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াকে স্থগিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এটি একটি জীবনীমূলক নাটক, যেটি কিছু শিখ সংগঠন, যার মধ্যে রয়েছে শিরোমণি আকালি দল, অভিযোগ করেছে যে সিনেমাটি তাদের সম্প্রদায়কে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে এবং ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করেছে।
বিচারপতিদের উদ্বেগ
গত সপ্তাহে, বিচারপতি বি পি কলাবাওয়ালা এবং ফিরদোশ পুনিওয়ালার একটি বিভাগীয় বেঞ্চ হতাশা প্রকাশ করে বলেছে, CBFC পক্ষে সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। আদালত বলেছে, “বোর্ডকে উচিত নয় বরাবর অপেক্ষা করা,” এবং সময়পূর্তির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ অতিরিক্ত বিলম্ব বাক স্বাধীনতার উপর হুমকি হতে পারে। সেপ্টেম্বর ২৫ তারিখে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন আদালত।
CBFC-এর অবস্থান আদালতে
২৬ সেপ্টেম্বর, যখন বোম্বে হাইকোর্টে CBFC-এর আইনজীবী অভিষেক চন্দ্রচূড়কে আপডেটের জন্য জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি নিশ্চিত করেন যে সংশোধনী কমিটি সিদ্ধান্তে এসেছে। “কমিটি কিছু কাটের সুপারিশ করেছে, যা করা হলে সার্টিফিকেট দেয়া সম্ভব,” চন্দ্রচূড় আদালতকে জানান। এমারজেন্সির কো-প্রযোজক জি এন্টারটেইনমেন্টের পক্ষ থেকে আইনজীবী শরণ জগতিানি কাটগুলো গ্রহণ করার বিষয়ে সময় চান।
দলগত আবহাওয়া ও রাজনৈতিক সম্ভাবনা
জি এন্টারটেইনমেন্ট এর আগে আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেছিল, যাতে CBFC-এর কাছে সিনেমাটির সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তারা অভিযোগ করেছে যে সার্টিফিকেট সম্পূর্ণ, কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে আটকে আছে। আদালত এই দাবি questioned করেছে, কারণ কঙ্গনার বিজেপির এমপি হওয়ার কারণে রাজনৈতিক সম্পর্ক স্পষ্ট নয়।
পরবর্তী শুনানির সময়সূচি
আসন্ন শুনানির সময় ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছে, যেখানে জি এন্টারটেইনমেন্টকে CBFC-এর দ্বারা সুপারিশিত কাটগুলো পর্যালোচনা করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, কঙ্গনা রানাউতের ‘এমারজেন্সি’ মুক্তি পেতে পারে কিনা, তা কাটগুলো ছাড়া, বা কাটগুলো সাপেক্ষে মুক্তি পাবে।
রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে: কঙ্গনার হয়ে আওয়াজ উঠছে!
বলার অপেক্ষা রাখে না, বলিউডের এই দ্বন্দ্ব শুধু সিনেমা নয়, বরং সমাজের মানসিকতাকেও উপস্থাপন করে। কঙ্গনা রানাউত ও CBFC-এর এই সম্পর্ক ব্যক্তি, সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে এক নতুন আলো ঠুকছে। সময় আসছে যেখানে সিনেমার মাধ্যমে বাংলাদেশেও একটি বৃহত্ আলোচনা শুরু হবে।