“‘জিগ্রার’ চ্যালেঞ্জ: আলিয়া এবং করণের সমর্থনে চলচ্চিত্রের নতুন অধ্যায়ের সূচনা”

NewZclub

“‘জিগ্রার’ চ্যালেঞ্জ: আলিয়া এবং করণের সমর্থনে চলচ্চিত্রের নতুন অধ্যায়ের সূচনা”

আলিয়া ভাটের নতুন ছবি ‘জিগরা’ বক্স অফিসে প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে, প্রথম সপ্তাহে মাত্র ২২.১৯ কোটি রুপি আয় করে। পরিচালক বসন্ত বালা এ প্রসঙ্গে অকপটে তার এবং আলিয়ার সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন। সিনেমার চাপঝরা পারফরম্যান্সের পরও, তিনি মানেন যে প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন, যা তাকে ভবিষ্যতের প্রকল্পে সাহায্য করতে পারে। চলচ্চিত্র শিল্পের অবস্থা যেমনই হোক, ‘জিগরা’ যেন কম্পন তুলছে, যা দর্শকদের আবেগের কঠিন ক্ষতকে তুলে ধরে।

“‘জিগ্রার’ চ্যালেঞ্জ: আলিয়া এবং করণের সমর্থনে চলচ্চিত্রের নতুন অধ্যায়ের সূচনা”

বলিউডের জগতের অন্ধকার, আলিয়া ভট্টের ‘জিগরা’র সাফল্যবিহীন যাত্রা

আলিয়া ভট্টের সাম্প্রতিক ছবি ‘জিগরা’ বক্স অফিসে সাফল্যের মুখোমুখি হচ্ছে না। ছবিটির পরিচালক বাসন বালা সম্প্রতি ‘দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়া’-র সাথে একটি খোলামেলা কথোপকথনে চলচ্চিত্রটির গাje চশমার কথা উল্লিখিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, চলচ্চিত্রটির মুক্তির পরবর্তী সময়ে তিনি যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন, সে সম্পর্কে তার অনুভূতি।

বাসন বালার কঠিন উপলব্ধি

‘জিগরা’ তার প্রথম সপ্তাহে মাত্র ২২.১৯ কোটি রুপি আয় করেছে। হতাশাজনক এই সংখ্যার মাঝে, বাসন বালা আলিয়া ভট্ট এবং প্রযোজক করণ জোহরের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, “আমি এই অনুভূতিটি অনুভব করি। তারা অসাধারণভাবে সমর্থন করছেন, এবং এটি আমাকে আরেকটু নিরাশার মধ্যে যেতে দেয় না। এটি একটি বিষয় যা আমি মোকাবেলা করতে হবে,” বললেন তিনি।

মূল ধারার চলচ্চিত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জগুলি

বাসন বালা ‘জিগরা’-এর মুক্তির পরে পরিস্থিতিকে “কঠিন” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, বিশেষভাবে তখন যখন একটি প্রধান চলচ্চিত্রের সফল হওয়ার চাপ নিয়ে কাজ করতে হয়। তিনি বলেন, “আমার জন্য, ছবিটি মুক্তি দেওয়া সবসময় একটি সংগ্রাম। তবে এবার, এটি বাধ্যতামূলক ছিল যে ছবিটি বড় আকারে মুক্তি পাবে।” মূলত,গুলিতে গুরুত্বপূর্ণ তারকাদের সাথে কাজের পর filmmakers দের যে চাপ বহন করতে হয়, তা তিনি মানতেই পূর্ণ স্বীকার করেছেন।

প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার মুখোমুখি

একই সাক্ষাৎকারে বাসন বালা প্রতিক্রিয়া এবং সমালোচনার প্রতি খোলামেলা থাকার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “সময় পার হলে চলচ্চিত্রের সপক্ষে প্রতিরোধ করা কখনোই সৌজন্যময় নয়,” যা তার চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেছেন। ‘জিগরা’ নিয়ে এই দৃষ্টিভঙ্গি ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলিকে প্রভাবিত করবে বলেও তিনি মনে করেন।

অর্থনৈতিক দিক

এদিকে, বলিউড হাঙ্গামা সম্প্রতি জানিয়েছেন যে ছবিটি সমস্ত ৯০ কোটি রুপি ফিরে পেয়েছে এবং উপরন্তু, ভবিষ্যতের গান ও থিয়েট্রিকাল রিলিজের আয়, ধর্মা প্রোডাকশনসের লাভ হিসেবে গণনা করা হবে।

শেষ কথা

বলিউডের এই পরিস্থিতি আমাদের বোঝাতে সাহায্য করে যে, চলচ্চিত্রের সাফল্য শুধুমাত্র বক্স অফিসের সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং সৃষ্টিশীলতার চ্যালেঞ্জ, শিল্পীর পারফরম্যান্স এবং দর্শকদের পছন্দও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মন্তব্য করুন