বলিউডের অক্ষয়পথে ফের একবার সৃজনশীলতার ঝলক দেখাতে চলেছেন জয়া ভাদুরি, নতুন কমেডি ফিল্ম “দরওয়াজা”-তে। প্রথমবারের মতো হাস্যরসাত্মক ভূমিকায় অভিনয় করতে উদগ্রিব হলেও, নির্মাতা বিকাশ বাহল তার দক্ষতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। জয়ার এই পদক্ষেপ শুধু অভিনেত্রীর জন্যই নয়, বরং চলচ্চিত্রের গল্প বলার ধরন এবং দর্শকদের বদলানো পছন্দের প্রতিফলন।
বক্স অফিসের নাটক: জয়া বচ্চন একটি নতুন শেডে!
বলিউডে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী জয়া ভাদুরি বা বচ্চন। সর্বশেষ করণ জোহরের ছবি “রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি”তে তিনি একটি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা ছিল তাঁর জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। তবে এবার জয়া বচ্চন আবারও ক্যামেরার সামনে হাজির হতে চলেছেন তাঁর নতুন চলচ্চিত্র “দরওয়াজা”র মাধ্যমে, যেখানে তিনি অনেক নতুন চরিত্রের সঙ্গে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করবেন।
একটি নতুন চ্যালেঞ্জ
নতুন ছবি “দরওয়াজা”তে প্রথমবারের মতো একটি কমেডি চরিত্রে পর্দায় আসতে চলেছেন জয়া। ছবির দৃশ্যধারণ শুরু হবে মাসের শেষের দিকে এবং এতে সিদ্দান্ত চতুর্বেদী এবং ওয়ামিকা গাব্বির মতো অভিনেতারা সহকারী ভূমিকা পালন করবেন। খবর অনুযায়ী, ছবিটির গল্প কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে জয়া বচ্চনকে ঘিরে আবর্তিত হবে। “জয়া বচ্চন ছবির প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন। এটা একটি অদ্ভুত কমেডি যা তাঁর চরিত্রকে ঘিরে তৈরি,” এক সূত্র জানিয়েছে।
নতুন ভাবনা, পুরনো মুখ
জয়া বচ্চনের এই অভিজ্ঞতা একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করছে বলিউডে, যেখানে অভিনেতাদের চাইতে কাহিনী এবং চরিত্রের গভীরতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত কয়েক দশকে বলিউডের পটভূমিতে এমন অনেক পরিবর্তন ঘটেছে যেগুলো মেধা এবং চেতনা উভয়কেই কটাক্ষ করে। পরিচালক বিকাস বতল তাঁর আগের ছবিতে অমিতাভ বচ্চনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছেন, তবে এবার হাজির করছেন তাঁর স্ত্রী। আর এত সবের মধ্যে থাকে একটি প্রশ্ন, “কিভাবে এই প্রজন্মের দর্শক নতুন ধরনের সিনেমাকে গ্রহণ করবে?”
মিডিয়ার শীতল বিভ্রম
জয়া যেহেতু কমেডি চরিত্রে তাঁকে না দেখে হীনমন্যতায় ভুগছিলেন, সেখানে নির্মাতা তাঁর প্রতি যে আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করেছেন, তা আসলে মিডিয়া এবং সমাজের দ্বারা পরিচালিত এক ফ্যাক্টর। চলচ্চিত্রে বলিউডের পুরনো চরিত্রগুলি অনেক সময় দর্শকদের কাছে নতুন হবার আগ্রহকে উসকে দেয়, কিন্তু সেই পরিবর্তনকে সঠিকভাবে গ্রহণ করার মনোভাব কম।
শিল্পের জন্য যথার্থ পথ প্রদর্শক
জয়া বচ্চন একটি নতুন ধরনের গল্প বলার প্রতি আগ্রহী, যা শুধু তাঁর অভিনয়ের মাধ্যমে নয়, বরং সমসাময়িক সমাজের অবজেক্টিভিটির প্রতি একটি ন্যায্য মন্তব্য প্রদানের মাধ্যমে দর্শকদের চেতনা জাগ্রত করবে। তিনি যে আজীবন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত, সেটাই হয়তো তাঁকে এমন একটি পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করেছে। এখন দেখার বিষয়, “দরওয়াজা”তে জয়া বচ্চন দর্শকদের হাসাতে পারবেন কি না।
সাম্প্রতিক সময়ের লেখক এবং তার দৃঢ়তা
এমন সময়ে যখন বলিউডের অন্যান্য অভিনেতারা তাদের বাড়ানো প্রভাব বজায় রাখতে বিভিন্ন প্রকল্পে আসছেন, জয়া বচ্চনের এই নতুন দিনের প্রত্যাবর্তন একটি আশা জাগানিয়া বিষয়। এটি কি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আবেগের প্রতিফলন, নাকি আগামী প্রজন্মের জন্য একটি প্রেরণা? বলিউডের কারিগরি দিক থেকে এটি কেমন সংকল্প তৈরি করবে, সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে।