বলিউডের দুই তারকা, ritesh deshmukh এবং jacqueline fernandez, প্রাণীর অধিকার রক্ষায় তাঁদের অবদানের জন্য PETA India থেকে ‘Most Beautiful Vegetarian Celebrity’ এর সম্মান অর্জন করেছেন। Jacqueline তাঁর বিশাল জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে PETA-র বিভিন্ন প্রচারণাকে সমর্থন করেছেন, যার মধ্যে একটি হাতির মুক্তির আন্দোলন অন্যতম। এই উদ্যোগগুলো শুধুমাত্র প্রাণীদের জন্য নয়, বরং মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুরক্ষার জন্যও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করে। এভাবে, বলিউডে সহানুভূতির নতুন অধ্যায় সূচিত হচ্ছে, যেখানে সামাজিক দায়বদ্ধতার গুরুত্ব বাড়ছে।
পশুদের জন্য ভালোবাসা: বোলিউডের তারকা জ্যাকলিন ও রীতেশের নতুন জয়
বোলিউডের দুই সুপারস্টার, রীতেশ দেশমুখ এবং জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, এবার ‘মোস্ট বিউটিফুল ভেজিটেরিয়ান সেলিব্রিটি’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন পিটা ইন্ডিয়া দ্বারা। এই সম্মান তাদের পশুদের জন্য গৃহীত মানবিক পদক্ষেপের জন্য প্রদান করা হয়েছে। রীতেশ নিজে ভেজিটেরিয়ান এবং তাদের এই অর্জনটি তাদের মানবিকতাকে তুলে ধরে।
জ্যাকলিনের উদ্যোগ এবং পশু অধিকার
জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ তার বিশাল তারকা শক্তিকে পশুদের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করে আসছেন। তিনি #FreeGajraj ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে শৃঙ্খলে আবদ্ধ একটি হাতিকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, তিনি অনুদান সংগ্রহের জন্য দর্শকদের ড狗পালনের দিকে উত্সাহিত করছেন এবং ভেজিটেরিয়ান খাদ্যের প্রচারও করছেন।
রীতেশের খাদ্যপ্রতিষ্ঠান এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ
এদিকে, রীতেশ দেশমুখ উদ্ভাবনী উদ্যোগে নিজেকে যুক্ত করে করেছেন তার স্ত্রীর সঙ্গে মিলে ‘ইম্যাজিন মিটস’ নামের এক ভেজিটেরিয়ান ফুড কোম্পানি। যা ইতিমধ্যেই পিটা ইন্ডিয়ার সেরা ভেজিটেরিয়ান মিটের পুরস্কার অর্জন করেছে। এটি তাদের খাদ্য সংস্কৃতি পরিবর্তনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
দয়া এবং মানবিকতার মূল্য
পিটা ইন্ডিয়ার সেলিব্রিটি ও পাবলিক রিলেশন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাচিন ব্যাংগেরা বলেন, “জ্যাকলিন এবং রীতেশ প্রমাণ করেছেন যে পশুদের প্রতি দয়া করাই সবচেয়ে সুন্দর গুণ।” এভাবে তারা সমাজে পশু অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছেন।
পশু নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে সচেতনতা
পিটা এর প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় কীভাবে খাবারের জন্য পশুদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। শূকর, গরু এবং মুরগি নিয়ে যে ধরনের দুর্গতি ঘটে তা সত্যিই হৃদয়বিদারক। এই ধরনের দৃশ্যাবলী আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, খাদ্য নির্বাচন শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর নয়, বরং দয়ালু আচরণের সাথে সম্পর্কিত হওয়া উচিত।
সাহিত্যেও ভাবনার পরিবর্তন
এখন সময় এসেছে জনসাধারণের খাদ্য নির্বাচনের পেছনে চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন আসবে। গত কয়েক বছরের ট্রেন্ড দেখালে, আমরা বুঝতে পারি যে, মানুষ বেশি করে উদ্ভিজ্জ খাদ্য গ্রহণের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এটি কেবল স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নয়, বরং পরিবেশের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
পশ্চিমবঙ্গের স্থানে ভারতীয় বলিউড
এখনকার বোলিউডের প্রেক্ষাপটের মাঝে, এই ধরনের সামাজিক সচেতনতা ও উদ্যোগগুলি একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করছে। বিদ্যমান অনেক তারকা নিজেদেরকে কেবল শূন্যে আটকে না রেখে সমাজের উন্নতির কাজেও হাত লাগাচ্ছেন। এই দুটি তারকার এই পদক্ষেপও সমাজকে নতুন করে ভাবানোর সুযোগ দিয়েছে।
নতুন সময়, নতুন চিন্তা
বোলিউড বর্তমানে শুধু সিনেমা কিংবা বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং একটি সামাজিক সচেতনতার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে। রীতেশ ও জ্যাকলিনের এই উদ্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সিনেমার পর্দাকে পিছনে ফেলেও তারকারা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তাই আসুন, আমরা সবাই এই বিষয়ে ভাবি এবং নিজেদের খাদ্য নির্বাচনে প্রাণীদের প্রতি দয়া প্রদর্শনের চেষ্টা করি।