অলঙ্কারবিহীন বাণিজ্যিকতার এই জগতে, আলিয়া ভট্টের পরিচালকের সাথে সম্ভাব্য কাজের খবর স্রেফ গুজব, তা নিশ্চিত করেছেন নাগ অশ্বিন। দীপিকা পাদুকোন মা হওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত, নিজ সন্তানকে এক মুহূর্তের জন্যও অন্যের হাতে ছাড়তে চান না। বলিউডের এই নাটকীয়তায়, শিল্পীদের ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত ইচ্ছার সংঘাত প্রতিফলিত হয়, যেখানে জনপ্রিয়তা এবং সৌন্দর্য বাবদ সমাজের প্রত্যাশা পরিবর্তিত হচ্ছে।
এক রসিকতা: বলিউডের গসিপ ও বাস্তবতা
মুম্বাই থেকে গতকাল সকালে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল আলিয়া ভাট ও পরিচালক আশ্বিন নাগের একটি সিনেমা নিয়ে। কিন্তু আশ্বিন নাগ নিজেই এ কথাটি উড়িয়ে দিলেন। “না স্যার, এটা শুধু কিছু বাজে গুজব,” বলেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে বলিউডের গতিটা একদিকে যেমন বিখ্যাত অভিনেত্রীর সঙ্গে পুরস্কৃত সিনেমা নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলে তেমনি আকাঙ্ক্ষিত বিষয় নিয়ে আস্বস্ত করছে।
দীপিকার মাতৃত্বের আনন্দ
অন্যদিকে, দীপিকা পাডুকোনের মাতৃত্বের আনন্দ যেন তাঁর বড় পর্দার উপস্থিতির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। দীপিকার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেন, “সে এখন একেবারে মাতৃত্বের মোডে।” দীপিকা ক্যামেরায় ফেরার কোনো পরিকল্পনা না থাকায়, প্রযোজকরা ঠিক করেছেন তিনি ফিরলেই কেবল ছবি ‘কাল্কি 2898 এডি’-র সিক্যুয়েল নিয়ে কাজ শুরু হবে।
সময় অপেক্ষা করছে
দীপিকা এই সিক্যুয়েলের জন্য প্রস্তুত হতে না পারলে নির্মাতারা অপেক্ষা করবেন। জানানো হয়েছে, “তিনি বলেছেন তাঁর ভূমিকা কমানোর বিষয়টি, কিন্তু প্রযোজকরা তা শুনতে রাজি নন। তারা দীপিকার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করবে।” আসলে দীপিকার ছাড়া ‘কাল্কি’ সিনেমার কল্পনা করা যায় না।
শিশুদের প্রতি দীপিকার ভালোবাসা
দীপিকা সবসময় মা হতে চাইতেন। তাঁর সন্তানদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করা স্বভাবগত। এর মধ্যেও, দীপিকার পরবর্তী সিনেমার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছে শিল্পী মহল। দুজন কেন্দ্রীয় চরিত্রে আবারও অভিনয় করবেন অমিতাভ বচ্চন, প্রভাস এবং কামাল হাসান।
নতুন অধ্যায়ের সূচনা
এই নতুন সিনেমার সিক্যুয়েলটি কামাল হাসানের ক্যারিয়ারে একটি গুরুত্ববহ পালা নিয়ে আসছে। আগে যার চরিত্র ছিল কেবল ক্যামিও, এখন তিনি সিক্যুয়েলের কেন্দ্রীয় অঙ্গ। এনাদের নিয়ে কাজ করে পরিচালক আশ্বিন নাগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালকদের সারিতে ঠাঁই পেতে চলেছেন।
গুম্বজিত রূপালী পর্দা
এদিকে, আলিয়া ভাটের নিয়ে গুজব মাথাচাড়া দেওয়া এবং এরপর তা অস্বীকার করে আবার উঠে এসেছে প্রশ্ন – বলিউডের চলচ্চিত্রের সত্যি কেমন। মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, নির্মাতাদের আর কোনো বড় নাম না পাওয়ার কারণে বক্স অফিসে সাফল্যের জন্য ‘কাল্কি’র বাতাসেই আছে আরো শ্বাস।
এখন নাটকের ফেরি: সমাজের সঙ্গে বলিউডের সম্পর্ক
অবশেষে, আমরা যদি বলিউডের এই দোলাচলকে ভেবে দেখি, তাহলে আমাদের প্রশ্ন করতেই হয় – চলচ্চিত্র শিল্পের দৃষ্টিভঙ্গি এতো পরিবর্তিত হচ্ছে কেন? অভিনেত্রীর মাতৃত্ব, তাদের পেশাগত জীবন এবং এই দুইয়ের মাঝে ভারসাম্য তৈরির যে চেষ্টা তা আদৌ সফল হবে কিনা? শৈল্পিক ও সামাজিক মাপকাঠিতে বলিউডের গতিশীলতা নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকবে।
