এপি ধিলনের ফিরতি কনসার্টের খবর তোলপাড় ফেলেছে। তিন বছর পর ভারতের মাটি ধরতে যাওয়া এই পাঞ্জাবি গায়ক, তার নতুন EP ‘দ্য ব্রাউনপ্রিন্ট’ নিয়ে আসছেন মুম্বাই, দিল্লি ও চন্ডীগড়ে। শিল্পীদের সামাজিক সংযুক্তির মাধ্যমে গঠনচিন্তা করার প্রত্যাশা, যেখানে হার্শ লিখারি, দালের মেহেন্দি, এবং হানি সিংয়ের মতো তারকারা থিমের অংশ হতে পারেন। এই টুর নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনা ও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে গুঞ্জন, নাটকের জগতের রসায়নের সাথে সঙ্গীতের এক নতুন অধ্যায় লেখার বাকী।
এপী ধিলনের জন্য উন্মুক্ত দরজা: বলিউডের নবজন্মের আগমন
এপী ধিলনের ভক্তদের জন্য আনন্দের খবর! তিন বছর পর, তিনি আবার দেশের মাটিতে আসছেন তাঁর জনপ্রিয় কনসার্টের মাধ্যমে। কিছু সংবাদ সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র ধিলনের জন্য না, বরং আরও কিছু চমকপ্রদ শিল্পীকে দেখা যাবে এক মঞ্চে। যদিও ‘ব্রাউনপ্রিন্ট ইন্ডিয়া ট্যুর’-এর অফিসিয়াল লাইনআপ এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবুও সামাজিক মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে যে হার্শ লিখারি, দালার মেহেন্দি, হানী সিং ও জ্যাজি বি তাঁর সঙ্গে পাঞ্জাবি সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
অনুষ্ঠানটি: একটি সমন্বয়মূলক অভিজ্ঞতা
যদিও শিল্পী বা তাঁদের টিমের পক্ষ থেকে কোনো নিশ্চিতকরণ আসেনি, তবে গুজবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এক insider জানিয়েছেন, “এপী ধিলন এই ট্যুরটিকে একটি সম্প্রদায় কেন্দ্রীক করে তুলতে চান, যেখানে প্রতিষ্ঠিত ও উদীয়মান প্রতিভাগুলো এক মঞ্চে উপস্থিত থাকবে।”
পারফরম্যান্সের অপেক্ষা: দর্শকদের উত্তেজনা
এই প্রশংসিত গায়ক-গীতিকার, র্যাপার এবং রেকর্ড প্রযোজক তিন বছরের বিরতির পর ভারতীয় মাটিতে ফেরার পথে আছেন। তাঁর ‘দ্য ব্রাউনপ্রিন্ট’ ইপি সমর্থনে শীঘ্রই মুম্বইয়ে শুরু হতে চলেছে তিন শহরের এই ট্যুর। ২০২১ সালে তাঁর প্রথম ট্যুরটি ছিল নজরকাড়া এবং দর্শকদের উৎফুল্ল প্রতিক্রিয়ায় পরিপূর্ণ, যেখানে রণবীর সিং, সারা আলী খান, আলিয়া ভাট, কারিনা কাপুর এবং মালাইকা ভালোভিন উপস্থিত ছিলেন।
তিন শহরের ট্যুর: সময় ও স্থান
এই প্রত্যাশিত তিন শহরের ট্যুরটি ৭ ডিসেম্বর মুম্বাই থেকে শুরু হবে, ১৪ ডিসেম্বর নতুন দিল্লিতে প্রথমবারের মতো এবং ২১ ডিসেম্বর চণ্ডীগড়ে পরবর্তী স্টপ হবে।
গ্লোবাল চুক্তির প্রভাব
এপী ধিলনের ভারত সফরের এই ঘোষণা আসে রিপাবলিক রেকর্ডসের সঙ্গে তাঁর গ্লোবাল চুক্তির পরপরই, যেখানে ‘দ্য ব্রাউনপ্রিন্ট’ প্রকাশের সময় বলিউডের কিংবদন্তীদের সঙ্গে দেখা হয়। এই নয়টি গানের সংকলনটি ধিলনের সৃষ্টিশীল বৈচিত্র্য তুলে ধরে, যা ভৌগোলিক সীমা ও শৈলীর উপরিভাগকে অতিক্রম করে।
সঙ্গীতের বৈচিত্রতা: এক নতুন দিগন্ত
এপী ধিলন আর্টিস্টিক সীমা এবং সঙ্গীতে বৈচিত্র্যকে স্বীকার করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। তাঁর কাজের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করছেন যে সঙ্গীত শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি সমাজের বিভিন্ন দিককেও প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং একটি নতুন ভাষার সৃষ্টি করে।