সুকেশ চন্দ্রশেখরের লাইমলাইটে থাকা প্রাক্তন প্রেমিকা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের জন্য লেখা প্রেমপত্র নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দিল্লির জেলে থেকেও সুকেশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে জানিয়েছেন তার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা। ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জ্যাকলিনের নামে একটি লস অ্যাঞ্জেলেস স্টুডিওও কেনার কথা বলেছেন। সুকেশের এ ধরনের পদক্ষেপগুলি প্রমাণ করে যে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনকে একীভূত করার চেষ্টা চলেছে, যা বাস্তবে সিনেমার স্রোত ও মিডিয়ার প্রতিনিধিত্বের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
সুকেশের সুরে—বিন্দু বিন্দু প্রেম ও বলিউডের টানাপোড়েন
গতকাল, সুকেশ চন্দ্রশেখর, যিনি বারবার বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফারনান্ডেজের প্রতি তাঁর প্রেমের চিঠিগুলো উত্সর্গ করেছেন, তিনি দিল্লির কারাগারে থাকাবস্থায় আবার একটি চিঠি লিখেছেন। এই চিঠিতে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর সাম্প্রতিক বিজয়ের জন্য এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তাঁর ’এলএস হোল্ডিংস’ সংগঠনটি মার্কিন বাজারে আরো বিনিয়োগ করবে।
বিনিয়োগের নতুন পরিকল্পনা
এই চিঠিতে সুকেশ সাফ জানিয়েছেন, “আমার প্রতিষ্ঠান এলএস হোল্ডিংস এবং এলএস গেমিং এলএলসি আগামী দুই বছরে নেভাটা ও লস অ্যাঞ্জেলেসে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। পূর্বে আমরা ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি।” তিনি ট্রাম্পের নেতৃত্ব নিয়ে আশাবাদী যে বিনোদন, অতিথিপর্যায়ের এবং গেমিং শিল্পে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
জ্যাকলিনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ
চিঠিতে সুকেশ আরো জানিয়েছেন, তিনি জ্যাকলিনের জন্য একটি লসঅ্যাঞ্জেলেস স্টুডিও উদ্বোধন করছেন। তিনি সেখানেও ট্রাম্পের পরামর্শ অনুসরণ করছেন যে, “নারীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিন।” সুকেশ লিখেছেন, “এলএস হোল্ডিংস ১৩৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করছে একটি বড় স্টুডিওতে, যা শো এবং সিনেমা উৎপাদন করবে। জ্যাকলিনের জন্য এই বিনিয়োগ।”
বিনোদনশিল্পের রাজনৈতিক ধাক্কা
একদিকে যেখানে সুকেশের এই বিনিয়োগের খবর আলোচনা সৃষ্ঠি করছে, অন্যদিকে বলিউডের অবস্থা নিয়ে চিন্তাভাবনা বাড়ছে। সুকেশের চিঠি এবং বিজেপি সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সাংস্কৃতিক রাজনীতির একটা নতুন দিকে ইঙ্গিত করছে। বলিউড কি ধীরে ধীরে রাজনীতির সঙ্গী হয়ে উঠছে? নাকি প্রেমের গল্পেই আটকে রয়েছে?
সমাজের প্রতি প্রতিক্রিয়া
সুকেশের চিঠির বিষয়বস্তু আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়—আমাদের সমালোচনা করা উচিত কি এই বিনোদন শিল্পের? আমরা কি সত্যিই সেইসব অভিনেতা-অভিনেত্রীর প্রতি মহিমান্বিত সত্যি প্রেম ও সমর্থন প্রকাশ করছি, যাঁরা সমাজে এক ভিন্ন প্রভাব ফেলেন? এই সব প্রশ্নের উত্তরে আমাদের দৃষ্টি আরও গভীরভাবে কার্যকরী হতে হবে।
সাংস্কৃতিক মোড়: বলিউডের ভবিষ্যৎ কি?
সাধারণ দর্শক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো এই শিল্পের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা বিলম্বিত করা। সুকেশের চিঠিতে যে প্রেম, বিনিয়োগ এবং রাজনৈতিক অভিঘাতের গল্প আছে, তা কি আমাদের নিজেদের বিবেকের জিজ্ঞাসা জাগিয়ে তোলে? বলিউড কি সত্যিই প্রেম ও রোমান্সের কেন্দ্র? নাকি এটি আরেকটি রাজনৈতিক খেলার মাঠ?