Hrithik Roshan নতুন চলচ্চিত্র প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন, যেখানে তিনি আই অ্যাম লেজেন্ডের হিন্দি রিমেক তৈরির চেষ্টা করছেন। যদিও পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপটিক সিনেমা নিয়ে তার আগের উদ্যোগ সফল হয়নি, তিনি নতুন পরিচালক নিয়ে এই কনসেপ্টে কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া, কৃশ 4-এর প্রতীক্ষিত প্রকল্প এবং আলিয়া ভাটের অ্যালফায় ক্যামিও রাখতে চলেছেন। বলিউডে চলচ্চিত্রের দুনিয়া পরিবর্তিত হচ্ছে, দর্শকদের মতে নতুন গল্প বলার ধারার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।
বালিউডের নতুন দিগন্ত: হৃতিক রোশন ও “আই অ্যাম লিজেন্ড” এর ভাবনা
বর্তমান সময়ের বালিউডে নতুন দিগন্ত খোঁজার কাজ করছে হৃতিক রোশন। বর্তমানে তিনি জুনিয়র এনটিআরের সাথে “ওয়ার 2” সিনেমার প্রযোজনা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন এবং আলিয়া ভাট ও শার্ভারি অভিনীত “অ্যালফায়” একটি সামান্য চরিত্রে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু, হৃতিকের সিনেম্যাটিক যাত্রায় নতুন একটি উদ্যোগ নিয়ে তিনি খুবই আগ্রহী—যা হল হলিউডের আইকনিক সিনেমা “আই অ্যাম লিজেন্ড” এর হিন্দি সংস্করণ।
মিড ডে রিপোর্ট অনুযায়ী, রোশন এই পোস্ট-এপোক্যালিপটিক থ্রিলারটির রিমেকের অধিকারে অধিকারপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার টিমের সাথে ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এটি প্রথমবার নয় যখন রোশন পোস্ট-এপোক্যালিপটিক সিনেমার জগতে পদার্পণ করছেন। এই বছর শুরুর দিকে, তিনি বিখ্যাত পরিচালক কবীর খানের সাথে একটি Similar প্রকল্পে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু, সৃষ্টিশীল পার্থক্যের কারণে সেই সহযোগিতা বাস্তবায়িত হয়নি।
নতুন পরিচালক, নতুন সম্ভাবনা
হৃতিক এসব অসুবিধার পরও নতুন এক পরিচালক সাথে এই পুনঃগল্পকেই পুনর্বিবেচনা করছেন। তবে, প্রকল্পটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনই মূল ফোকাস “কৃষ ৪” এর ওপর, যা তার বাবার পরিচালনায় ও কৌশলগতভাবে নির্মাণাধীন। এই সুপারহিরো সিক্যুয়েলটির উৎপাদন আগামী বছরে শুরু হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আই অ্যাম লিজেন্ড: একটি আধুনিক কাহিনী
আই অ্যাম লিজেন্ড সিনেমায় উইল স্মিথ মূল চরিত্রে রয়েছেন। এই বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর থ্রিলারে একটি ধ্বংসাত্মক জৈব যুদ্ধের পর, রবার্ট নিউভিল মানবতার শেষ আশা—তিনি পৃথিবীর শেষ স্বাস্থ্যবান মানুষ। কিন্তু, তিনি একা নন। বাকি পৃথিবীতে মানবতা ভ্যাম্পায়ার সদৃশ মিউট্যান্টে পরিণত হয়েছে, যারা নিউভিলের রক্তের জন্য অগণন তৃষ্ণার্ত। দিনে তিনি শিকার করেন, আর রাতে নিরাপত্তার জন্য তাঁর বাড়িতে নিজেকে গিয়ে সুরক্ষিত করেন।
দলিল তৈরি প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে, হৃতিকের এই উদ্যোগ সম্ভবত বালিউডের বর্তমান অবস্থানকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে সাহায্য করবে। চলচ্চিত্র শিল্পের গতিশীলতা, অভিনেতাদের অভিনয়, এবং সিনেমার মাধ্যমে সমাজের ওপর যে প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে ভাবনার সময় এসে গেছে।
আসুন দেখি, হৃতিক রোশন তাঁর অভিনয় কৌশল এবং চিন্তার মাধ্যমে বর্তমান সময়ের দর্শকদের কি নতুন কিছু উপহার দেবেন। বালিউডের এই নতুন প্রবণতা এবং সিনেমার ভিন্ন ধারায় প্রবর্তন আমাদের জন্য কীভাবে পথপ্রদর্শক হবে, তা সময়ই বলে দেবে।