করন জোহরের ডিজিটাল প্রোডাকশন সংস্থা ধর্মতাত্ত্বিক এন্টারটেইনমেন্ট নতুন এক রোমান্টিক কমেডির ঘোষণা করেছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বয়সের ফারাকের প্রেমের গল্প। এমাধবন ও ফাতিমা সানা শেখ অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি সমাজের পরিবর্তিত মানসিকতার প্রতীকেরূপে উঠে আসবে, যা নতুন নাটকীয়তা এবং বৈচিত্র্য নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হবে। আগামীতে ফিল্মিং শুরু হবে এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে, বলিউডের কাহিনীগুলোর আঙ্গিক ও ব্যবহারের ধরণে এসেছে এক নতুন পরিবর্তন।
অবহেলা থেকে উজ্জীবিত: বলিউডের নতুন রোমান্টিক কমেডি
কারণ জোহরের ডিজিটাল প্রোডাকশন কোম্পানি, ধর্মাটিক এন্টারটেইনমেন্ট, নতুন একটি রোমান্টিক কমেডি যোগ করে তাদের বিস্তৃত প্রজেক্টগুলির তালিকায় এক নতুন রঙ নিয়ে এসেছে। এই চলচ্চিত্রটি ২০২৫ সালে মুক্তির জন্য নির্ধারিত এবং এতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন আর মাধাভন এবং ফাতিমা সানা শেখ।
তবে এই নতুন প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রটি প্রেমের গল্পে একটি নতুন মোড় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তথ্যসূত্র অনুসারে, এটি একটি হৃদয়গ্রাহী এবং অস্বাভাবিক গল্প, যা বয়সের ব্যবধানের রোমান্স নিয়ে কেন্দ্রীভূত। ছবির পরিচালক Vivek Soni, যিনি পূর্বে ধর্মাটিকের প্রোডাকশন হাউসে “মীনাক্ষী সুন্দরেরশ্বর”-এ কাজ করেছেন, এই প্রোজেক্টটি পরিচালনা করছেন।
নতুন গল্প বলার নির্মাণ
এই ছবির স্ক্রিপ্টটি লিখেছেন রাধিকা আনন্দ এবং জেহান হান্ডা। ক্যামেরায় কাজ শুরু হবে এই মাসের শেষের দিকে, অক্টোবরের শেষে শুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বলিউডের এই নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা হতে শুরু করেছে। চলচ্চিত্র নির্মাতারা কি নতুনভাবে প্রেমের বিষয়গুলিকে উপস্থাপন করবেন?
অভিনেত্রীর ব্যস্ত সূচনা
ফাতিমা সানা শেখের সামনে একটি ব্যস্ত সময়সূচি অপেক্ষা করছে। তিনি অনুরাগ বসুর “মেট্রো…ইন ডিনো” এবং বিভু পুড়ির “উল জলুল ইশক” সহ নানা নতুন প্রজেক্টে কাজ করবেন। অন্যদিকে, আর মাধাভন আসন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন আদিত্য ধরের “ধুরন্ধর”।
বিনোদনের ধরনে পরিবর্তন
এই প্রজেক্টটি শুধু একটি রোমান্টিক কমেডি নয়, বরং এর মাধ্যমে সামাজিক ভাবনার ক্ষেত্রেও কিছু নতুনত্ব আনার চেষ্টা চলছে। বয়সের ব্যবধানের প্রেমের গল্প সমাজে বহুদিন ধরেই একটি বিতর্কিত বিষয়। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এই উপস্থাপন আসলে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর মতো চলচ্চিত্র কি আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারনাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করতে সক্ষম হবে?
শেষ কথা
বলিউডের বর্তমান অবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, যেখানে সিনেমার মাধ্যমেই সমাজের নানান বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা হচ্ছে। সিনেমার মাধ্যমে, দর্শকরা নতুন ধারনের গল্পের সাথে পরিচিত হচ্ছেন যা তাদের ভাবনার দিগন্তকে প্রসারিত করে। তবে, এই সমস্ত পরিবর্তনের মধ্যেও, কিছুটা হাস্যরস ও নির্মল আচার্য্যের প্রয়োজন মেলে।