এবারের বলিউডে একটা নতুন গল্পের জন্ম হতে যাচ্ছে, যেখানে আমির খান এবং সুরিয়া দুজনেই “ঘাজিনী ২” নিয়ে উত্তেজিত। প্রযোজক অল্লু অরবিন্দের সঙ্গে আলোচনা চলছে, কিন্তু তাঁরা রিমেক হিসাবে চিহ্নিত হতে চান না। দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে প্যান ইন্ডিয়ার কনফ্লুইন্সে, দুই তারকার মিলন নতুন গল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যা দর্শকদের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলতে পারে। ছবির সময়সূচি সঠিক করা এবং সংস্কৃতির খাদ্যতালিকা নিয়ে বিজনেসের এই নতুন দিগন্ত মানসিকতার পরিবর্তন আনতে পারে।
বহু বছরের পরে, কি আসছে ‘ঘজিনি ২’? সুরিয়া ও আয়ুষ্মান খানের উত্তেজনা মাঝে মাঝে বিশাল দ্বন্দ্ব!
বলিউডের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘ঘজিনি ২’ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। আমির খান এবং সুরিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। অতি সম্প্রতি, আমির খান ম্যাডু ম্যান্টেনা এবং আল্লু আরবিন্দের সাথে আলোচনা করেছেন ২০০৮ সালের এই ব্লকবাস্টারের সিক্যুয়েল নিয়ে। যদিও তাঁরা এর ремake বলে অভিহিত করতে চান না, তবে প্রযোজকরা একটি নতুন কনসেপ্ট উপস্থাপন করেছেন। আমির এটি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং একটি শক্তিশালী স্টোরি-বোর্ডের জন্য অপেক্ষা করছেন।
সুরিয়ার সঙ্গেও রোমাঞ্চের কোনো সীমা নেই!
অন্যদিকে, আল্লু আরবিন্ড ঘোষণা করেছেন যে ‘ঘজিনি ২’ তামিল ভাষায় নির্মিত হবে এবং এর মুখ্য চরিত্রে বাজিমাত করবেন সুরিয়া। সম্প্রতি পিংকভিলা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুরিয়া তাঁর উত্তেজনা প্রকাশ করেন, “আপনি যখন ‘ঘজিনি ২’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন, সেটা শুনে আমি অবাক হয়েছি। দীর্ঘ সময় পরে, আল্লু আরবিন্দ আমাকে সিক্যুয়েলের ধারণাটা নিয়ে এসেছেন, এবং এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আমি খুবই উন্মুখ।”
চোখে পড়ছে কাল্পনিক দিগন্ত!
সূত্রে জানানো হয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতিতে, ভারতের সিনেমা বাজারে প্যান ইন্ডিয়া প্রজেক্টগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। জনপ্রিয় তারকাদের নিয়ে কাল্পনিক চলচ্চিত্র নির্মাণের সমস্যা বাড়ছে। আমির এবং সুরিয়া দুজনেই ‘ঘজিনি ২’-এর ধারণাটিতে মনোযোগী, তবে তারা চান না যে সেটিকে রিমেকের তকমা দেওয়া হোক।” উভয় অভিনেতা প্রযোজকদের কাছে জানিয়েছে যে প্রথমে কোন একটিই আসলে তাদের নতুনত্বকে কমিয়ে দিতে পারে। এর ফলে, উভয় চলচ্চিত্র একসাথে সময়সীমায় শুটিং করা এবং একই দিনে মুক্তি দিতে একটি সমাধান হিসেবে উঠে এসেছে।
নতুন যাত্রার জন্য প্রস্তুতি!
আমির খান শোনা যাচ্ছে যে তিনি আবারও নির্মাতা ও সৃষ্টিকারী দলের সঙ্গে ‘ঘজিনি ২’ নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। প্রথম পর্বের সফলতা বিবেচনায় রেখে, এটি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজে পরিণত হতে পারে। “আমির মনে করেন গল্পটি একটি সিরিজে রূপান্তরিত হওয়ার সামর্থ্য রাখে, তবে তিনি আগে একটি শক্তিশালী স্ক্রিপ্টের জন্য অপেক্ষা করছেন,” সূত্র জানিয়েছে।
বলিউডের বর্তমান ত্রিমাত্রা
এখন প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি ‘ঘজিনি ২’ এ নতুনত্ব বহন করবে? নাকি আমরা কেবল পুরনো গল্পের প্রতি নতুন মোড় দিয়ে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি? সেলিব্রিটি এবং প্রযোজকদের মধ্যে এই ধরনের আলোচনা প্রকাশ করে, যে চলচ্চিত্র শিল্পের গতিশীলতা ও দর্শকদের পছন্দ পরিবর্তনের দিকে আরও একটি নজর দিচ্ছে। আমরা আশা করি, ‘ঘজিনি ২’ বাংলা ও তামিল উভয় সংস্করণেই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।