বলিউড অভিনেতা Vivek Oberoi সম্প্রতি তার ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন, যেভাবে তার পিতা Suresh Oberoi তার ব্যবসায়িক বোঝাপড়া গড়ে তুলতে সহায়তা করেছেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে পিতার কাছ থেকে শুরু করা পারফিউম বিক্রির অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে ১৫ বছর বয়সে শেয়ারবাজারে প্রবেশ, Vivek মনে করেন এই সব তাকে চলচ্চিত্রের বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি, টর্নেডোর সময় “Project Hope” নামে একটি দাতব্য প্রকল্প তৈরি করে তিনি দেখিয়েছেন যে সহযোগিতার শক্তিই আসল পরিবর্তন আনতে পারে। সিনেমা শিল্পের সংকটেও মনোবল ধরে রাখতে থাকলেও, তিনি মনে করেন কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন এবং একত্রিত হয়ে কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিভেক ওবেরয়ের উদ্যোগপতি যাত্রা: টলিউডের মুখোশের আড়ালে
ভিভেক ওবেরয় সম্প্রতি তার উদ্যোগপত্তি দিকনির্দেশনা এবং তার বাবা, অভিনেতা-রাজনীতিবিদ সুরেশ ওবেরয়ের পক্ষে জ্ঞান অর্জনের বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করেছেন। ‘এন্টারটেইনমেন্ট লাইভ’-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভিভেক বর্ণনা করেন কিভাবে তার বাবা তাকে ব্যবসার জগতে নিয়ে আসেন, মাত্র ১০ বছর বয়সে।
“আমার বাবা আমাকে ডেকে বললেন যে আমরা এক মাস পরে একটি ছুটিতে যাচ্ছি, কিন্তু তার আগে তিনি চার সপ্তাহ ধরে আমাকে কিছু শেখাতে চান। তিনি আমাকে বলেন যে তিনি যে পারফিউমগুলো কিনেছেন, সেগুলোর ইনভেন্টরি ট্র্যাক করতে এবং সেগুলো বিক্রি করতে হবে। যেকোন বিক্রয় যেটি মার্কড প্রাইসের উপরে, তা আমার হবে,” ভিভেক জানান। এই প্রাথমিক কাজটি তাকে অ্যাকাউন্টিং এবং বিক্রির মৌলিক ধারণাগুলি বুঝতে সাহায্য করেছে।
১৫ বছর বয়সে স্টক মার্কেটে প্রবেশ
১৫ বছর বয়সেই ভিভেক স্টক মার্কেটের দিকে পা বাড়ান এবং ছোট উদ্যোগমূলক প্রকল্পগুলি নিয়া কাজ করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “আমি নিজের আইডিয়া তৈরি করতে শুরু করি এবং ১৫ বছর বয়সে স্টক মার্কেটে প্রবেশ করি।” তার বাবার প্রাথমিক পাঠ, যেমন দরজায় দরজায় পারফিউম বিক্রি করার অভিজ্ঞতা, তাকে এই উদ্যোগগুলো নিতে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল।
১৯ বছর বয়সে প্রথম প্রযুক্তি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা
শুধু তাই নয়, ১৯ বছর বয়সে ভিভেক তার প্রথম প্রযুক্তি কোম্পানি স্থাপন করেন, যা ২২ বছর বয়সে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে বিক্রি করেন। “তখন আমি বুঝতে পারলাম যে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা, তা বিক্রি করা এবং বিনিয়োগকারীদের এবং নিজের জন্য অর্থ উপার্জন করা সম্ভব,” ভিভেক যোগ করেন।
অভিনয় শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা
ভিভেক জানান যে তার উদ্যোগপত্তির সাফল্য তাকে অভিনয় কর্মজীবনে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার শক্তি দিয়েছে। “যখন আমার চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে বাধা তৈরি হলো, তখন আমি অনুভব করলাম আমি আমার নিজের কিছু করতে পারবো। ওই সময়ে আমার যাত্রা পুনরায় শুরু হল,” তিনি বলেন।
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে ব্যবসা, চলচ্চিত্র, অথবা দানের ক্ষেত্রেও সবকিছুতে ১০০% দেওয়া উচিত। “শ্রমে কোনো ভুল হওয়া উচিত নয়। যখন আমরা তা করি, তখন ফলশ্রুতিটি প্রায়শই ভালো হয়। কখনো কখনো কাজের চাপের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়তে হয়, কিন্তু যখন টিম এবং মানুষগুলি এত ভালো, তখন আপনি শক্তি একত্রিত করেন,” ভিভেক বলেন, সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরতে।
প্রজেক্ট হোপ এবং সমষ্টিগত প্রচেষ্টার শক্তি
ভিভেক তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দাতব্য প্রকল্প ‘প্রজেক্ট হোপ’-এর কথা উল্লেখ করেন, যা ২০০৪ সালের সুনামির সময় শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, “২০০৪ সালের সুনামির সময়, আমি বুঝতে পারলাম যদি আমি বলি, ‘আমি ভিভেক ওবেরয়,’ তাহলে এটির কোনো কাজ হবে না। তাই আমি প্রজেক্ট হোপ তৈরি করি, একটি সমষ্টিগত প্ল্যাটফর্ম যা কোন বস বা মালিক ছাড়াই কাজ করে।”
এই অভিজ্ঞতা তাকে সহযোগিতার শক্তি এবং বড় একটি উদ্দেশ্যের জন্য একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব শিখিয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, “সংগতভাবে কাজ করে, আমরা একটি বৃহত্তর কারণের জন্য সক্ষম হতে পারি।”
বিজ্ঞাপন ও বিতর্ক: চলচ্চিত্র প্রচারের অপর একটি দিক
এই সব কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও, ভিভেক ওবেরয়ের অভিযোগ, বলিউডের লবিং তার ক্যারিয়ারকে বাধাগ্রস্ত করেছে। “তাঁর প্রচেষ্টার জন্য সিনেমার জগতের বাস্তবতা অনেকটা কষ্টকর। তবে, কখনও কখনও, কম্পিটিশন আমাদের আরও শক্তিশালী করে,” তিনি সংক্ষেপ করে বলেছেন।