আনন্যা পান্ডে ও সারাহ আলি খান স্কুলের বন্ধু ছিলেন, কিন্তু আনন্যার কাছে সারাহ ছিলেন ‘মোহফাট’। সম্প্রতি, তারা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তনের কথা বলেছেন। সারাহের দুর্দান্ত বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং শিল্পী জীবনের কলাকৌশল নতুন প্রজন্মের জন্য একটি উদাহরণ, যেখানে চলচ্চিত্রের ভেতর-বাহিরের সম্পর্ক এবং সমাজের উপর তাদের প্রভাব উল্লেখযোগ্য। এই পরিবর্তনশীল বন্ধুত্বের মাঝে যে মূল্যবোধ রয়েছে, সেটিই আজকের বলিউডের বাস্তবতা তুলে ধরে।
আনন্যা পাণ্ডের বিশেষ সাক্ষাত্কারে সাইর আলি খানের সঙ্গে তার স্কুল জীবন
বলিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্র আনন্যা পাণ্ডে সম্প্রতি মিড-ডে-এর মায়ঙ্ক শেখরের সঙ্গে একটি মজার সাক্ষাত্কারে অংশ নিয়েছেন। এই সাক্ষাত্কারের শুরুতেই আনন্যা তার স্কুলে সাইর আলি খানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়েই মুম্বাইয়ের ধীরুভাই আম্বানি আন্তর্জাতিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।
বিদ্যালয়ের সেই দিনগুলির স্মৃতি
যখন সাইর আলি খানের সঙ্গে তার বয়সের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাইর প্রথমে কিছুটা হিচকিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বললেন, “যখন আমি পঞ্চম শ্রেণিতে ছিলাম, তখন সে অষ্টম শ্রেণিতে ছিল। সে আমার থেকে তিন বছর বড়।”
ভয়ঙ্কর স্মৃতি
সাইর তার সম্পর্কে বললেন, “সে সোজাসুজি কথা বলত, আর বিদ্যালয়ে সে আরো উগ্র ছিল। আমি সত্যিই তার কাছ থেকে লুকিয়ে থাকতাম কারণ আমি তার প্রসঙ্গে ভয় পেতাম। যদি সে কোনো একটি সিঁড়ি দিয়ে নামতো, তাহলে আমি অন্য সিঁড়ি দিয়ে নামতাম!”
অভিনন্দন ও সম্পর্কের পরিবর্তন
আনন্যা পাণ্ডে জানান, “কারণ সে যা বলতো তা আমি সহ্য করতে পারতাম না। সে বরাবরই মুখফাটকা। তখন আমি ভাবতাম, ‘সে আমার সম্পর্কে কিছু বলবে’।” তিনি দুইজনের বিদ্যালয়ের নাটকের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, “আমরা একসঙ্গে একটি নাটকে অংশগ্রহণ করেছি। সে ছিল প্রধান চরিত্র এবং আমি তার ছাতা ধরে ছিলাম। সে আমার নামও জানতে চাইতো না।”
সম্পর্কের পরিবর্তন
আনন্যা বলেন, “এখন যখন আমি তাকে এসব গল্প বলি, সে বলে, ‘কী যে বুললাম। আমি তো তোমার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করতাম’।” তবে বর্তমানে আনন্যার এবং সাইরের বন্ধুত্ব অনেক বদলে গেছে। “সে আমাকে মেসেজ করেছিল। সে CTRL ছবিটি দেখেছে। আমি ভেবেছিলাম, ‘ও আমার ছবিটি এত তাড়াতাড়ি দেখলো?’”
বন্ধুত্বের উষ্ণতা
আনন্যা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছেন, “সে এক বছরের আগে ডেবিউ করেছে এবং সে আমাকে স্বাগত জানিয়েছিল। সে বলেছিল, ‘চল, লাঞ্চে যাই’। সে বন্ধুত্ব করতে খুব চেষ্টা করেছে।”
বাংলা সিনেমার সমকালের দর্শকপ্রিয়তা
এদিকে, আনন্যা পাণ্ডে তার সাম্প্রতিক কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তনগুলিতেও আলোকপাত করেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, “ভাঙন আমার সিনেমার সিগনেচার হয়ে গেছে। সালমান খান পর্দায় শার্ট খোলে, আমি প্রতারণার ভুক্তভোগী হব।” এমন মন্তব্যগুলো বুঝিয়ে দেয় যে, তিনি প্রতিরূপের রূপালি জগতেও কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ভালোবাসেন।
বর্তমান বলিউডের চলচ্চিত্রের বিশেষত্ব ও অভিনেতাদের পারফরম্যান্সের উপর এরূপ বিতর্কজনক আলোচনা দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে, যা চলচ্চিত্র শিল্পের গতিশীলতাকে নতুন করে চিন্তা করতে উক্ত করে।