মুম্বাইয়ের এম্বোলি থানা থেকে সম্প্রতি ডিপক টিজোরি প্রযোজক বিক্রম খখরের বিরুদ্ধে ১৭.৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা বলিউডের অন্ধকার দিকগুলোকে উন্মোচন করছে। ২০১৯ সালে একটি চলচ্চিত্রের জন্য সহযোগিতার অঙ্গীকার করলেও, বিক্রম করোনার অজুহাতে কাজ চালাতে ব্যর্থ হন এবং টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সেই চুক্তি পূর্ণ করেননি। এই ঘটনার ফলে শিল্পের অন্দরে দুর্নীতির ও বিশ্বাসভঙ্গের চিত্র ফুটে উঠছে, যা দর্শকদের মাঝে সন্দেহের বীজ বপন করছে।
বোলিউডের আকাশে আবারও সংশয়ের মেঘ
মুম্বাইয়ের অম্বোলি পুলিশ স্টেশনে প্রযোজক বিক্রম খাখড়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিনেতা-নির্মাতা দীপক তিজোরি। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাকে ১৭.৫০ লাখ টাকার প্রতারণার শিকার করা হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি দায়ের করা হয়। বোলlywood হাঙ্গামা এই অভিযোগের কপি আক exclusivly প্রদান করেছে।
দীপক তিজোরির অভিযোগের পটভূমি
ফিরে যেতে হবে ২০১৯ সালে যখন দীপক তিজোরির দেখা হয় বিক্রম খাখড়ের সাথে, যিনি তখন লাইন প্রযোজক হিসেবে কাজ করছিলেন। দীপক তাকে জানিয়েছিলেন টিপ্পসি ছবিটি সম্পর্কে, যা কিছুদিনের জন্য আটকে ছিল। বিক্রম লন্ডনে ছবিটি শুটিংয়ের ব্যবস্থা করতে প্রস্তাব দেন, কিন্তু তার জন্য দীপককে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। দীপক রাজি হয়ে, ৩ মার্চ, ২০২০ তারিখে বিক্রমকে ১৭.৪০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেন, যার মধ্যে উল্লেখিত পরিমাণ এবং GST অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সিনেমা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ
কিন্তু সমস্যা তখন শুরু হয় যখন দীপক বারবার বিক্রমের কাছে ছবির শুটিংয়ের বিষয়ে জানতে চান এবং তিনি করোনার কারণে শুটিং আটকে থাকার কথা বলেন। দীপক দাবি করেছেন, মহামারীর প্রভাব শেষ হলেও বিক্রম শুটিংয়ের জন্য নানাভাবে বাহানা দিতে থাকেন। দীপক তখন বুঝতে পারেন বিক্রমের কোন আগ্রহ নেই টিপ্পসি শুট শুরু করার। তিনি টাকা ফেরত চাইলে বিক্রম প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু কখনোই ফিরিয়ে দেননি। ১৪ মার্চ দীপক যখন বিক্রমকে মেসেজ করেন, তখন তিনি সিউ নিশ্চিত করেন যে তিনি তাকে দেখবেন কিন্তু সেই বৈঠকে আসেননি।
দীর্ঘক্ষণ অচল স্টোরি
দীপক দাবি করেন, তিনি টিপ্পসি নিয়ে কাজ শুরু করার সময় বিলগুলি দেখেছিলেন এবং সেখানে স্পষ্ট ছিল যে বিক্রম এক পয়সাও খরচ করেননি। এ ঘটনায় FIR দায়ের করা হয়েছে ভারতীয় বিচার সংহিতার ৪২০ (প্রতারণা) এবং ৪০৬ (অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ) ধারায়।
বিক্রম খাখড়ের বর্তমান অবস্থা
বিক্রম খাখড় সম্প্রতি manoJ বাজপেয়ী অভিনীত ভাইয়্যা জি ছায়াছবি নির্মাণ করেছেন এবং আসন্ন বিক্রান্ত মেসি-রাশি খন্না অভিনীত তালাখোন মাইন এক ছবিরও প্রযোজক। এদিকে, দীপক তিজোরির অভিযোগটি বোলিউডের অঙ্গনে নতুন কথা বলে দেয়।
সমাজে সিনেমার প্রভাব ও বোলিউডের বর্তমান চিত্র
এই পরিস্থিতি বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির নেপথ্যে থাকা দ্বন্দ্ব এবং ষড়যন্ত্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সতর্ক থাকা উচিত, কারণ বর্তমান সময়ে দর্শকদের প্রয়োজনতা ও সমাজের আবেগের দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিই কি বোলিউড এখন টাকার খেলা হতে যাচ্ছে, নাকি সিনেমা তৈরির শিল্পে নৈতিকতার প্রাধান্য থাকবে? প্রশ্নগুলো এখন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সিনেমার সমাজে যে অভিঘাত রয়েছে তা আমাদের চিন্তায় পরিবর্তন আনছে। দর্শকদের পছন্দ এবং চলচ্চিত্রের কনটেন্ট বদলে যাচ্ছে, কিন্তু সে তুলনায় কি শিল্পের মূল উদ্দেশ্য হারিয়ে যাচ্ছে?