বলো হ্যাঁ বনবাদলের কথায়, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে ALT EFF 2024, যেখানে পরিবেশগত চলচ্চিত্রের ৭২টি প্রদর্শিত হবে। এই উৎসবের মাধ্যমে শুধুমাত্র চলচ্চিত্র নয়, এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ ঘটবে, যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরে পরিবেশসচেতনতায় নতুন আলো পড়ে যাবে। দীয়া মির্জার মতো অভিনেত্রীরা এই প্রয়োজনে অংশগ্রহণ করে সামাজিক পরিবর্তনের যাত্রাকে উজ্জ্বল করবেন।
বাণিজ্যিক সিনেমার চাতুরী মাত্রা: পরিবেশ সচেতনতার উদ্যোগে নতুন মোড়
এই নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত, এবারের অল লিভিং থিংস এনভায়রনমেন্টাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (ALT EFF) ২০২৪ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই বছর ৭২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, এর মধ্যে ৩৮টি সিনেমা হবে ভারতের প্রিমিয়ার। শিক্ষামূলক বক্তব্য রেখে, এই উৎসবটি পরিবেশবিজ্ঞানীর সিনেমার ভক্তদের জন্য একটি বড় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এখানে ক্লাইমেট চেঞ্জ থেকে শুরু করে বন্য পশু সংরক্ষণ পর্যন্ত জলে-বাতাসে ভাসছে নানা গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত সমস্যা।
পরিবেশ সচেতনতার নতুন দিগন্ত
এই বছর পাণ্ডুলিপিটি বিশেষভাবে গুরুত্ব সহকারে পরিচালিত হয়েছে। এবারের ফেস্টিভ্যালের উদ্দেশ্য হচ্ছে চলচ্চিত্রগুলোকে ঐতিহ্যগত স্পষ্টতা থেকে বেরিয়ে এসে দেশজ য় পল্লী ও ছোট শহরগুলোতে পৌঁছানো। এই উদ্যোগের সাথে ৫৫টি জায়গায় চলবে স্পেশাল স্ক্রিনিং, যেটিতে ১৪টি প্রান্তিক শহরে ৪৫টি স্ক্রিনিংও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চলতি বছরের উৎসবে, চলচ্চিত্র থেকে আলোচনার বিষয়বস্তু পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নকে বৃহত্তর জনগণের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
উৎসব পরিচালক কুনাল খন্নার উত্তেজনার বর্ণনা
ফেস্টিভ্যাল পরিচালক কুনাল খন্না এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা ২০২৪ সালের ALT EFF নিয়ে খুব উৎফুল্ল। আমরা রাজধানী শহরগুলির বাইরের সম্প্রদায়গুলোর সাথে যুক্ত করতে চাই, কারণ সিনেমা মানুষের জীবনকথায় একটি শক্তিশালী মাধ্যম। ভারতীয় ভাষার বৈচিত্র্যের কারণে, আমরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্রগুলোকে স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করতে AI ব্যবহার করেছি এবং স্থানীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রও নির্বাচন করেছি।”
দিয়া মির্জার বিশেষ ভূমিকা
বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও পরিবেশগত কর্মী দিয়ামির্জা ALT EFF ২০২৪-এর একজন রায়দাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, “এই ফেস্টিভ্যালটি শুধুমাত্র সিনেমার জন্য নয়, বরং আমাদের গ্রহের ভবিষ্যতের সম্পর্কে একটি আলোচনা গঠন করার জন্য। চলচ্চিত্রের শক্তি আমাদের প্রতি সহানুভূতি এবং পরিবর্তনের প্রেরণা জোগাতে পারে। আমি সেসব চলচ্চিত্র দেখতে আগ্রহী, যা বিশ্বজুড়ে আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য অসাধারণ প্রচেষ্টা প্রতিফলিত করে।”
বিপণনের শিক্ষাকে ব্যাপকতর দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা
অল লিভিং থিংস এনভায়রনমেন্টাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (ALT EFF) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি, কার্যক্রমের প্রেরণা এবং ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করে। উৎসবটি যেমন প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি পরিবেশগত সিনেমাকে আরও বৃহত্তর জনসাধারণের কাছে প্রবাহিত করার নির্দেশনাও রাখছে।
রবীন্দ্রনাথের চোখে: টলমল পরিবেশের খবর মুহুর্তের মধ্যে
সত্যি বলতে কি, বলিউডের এমন আয়োজন ঘটলেও শিল্পী এবং নির্মাতা সবার মধ্যে পরিবেশ সচেতনতার যে আশু অভাব প্রকট হয়ে উঠছে, তা নিয়ে ভাবতে হয়। সিনেমা কি শুধুই বিনোদনের মাধ্যম, নাকি এর অন্তরালে সমাজের কঠোর বাস্তবতা লুকিয়ে আছে? চলচ্চিত্রের প্রতিটি ফ্রেম সম্ভবত একটি গল্পকথনের নতুন দিগন্তে দীপ্তি যোগ করবে। আশা রাখি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গনের আরও উন্নতি হবে এবং পরিবেশ বিষয়ক আলোচনা প্রসারিত হবে।