বলিউডের তারকা ও রাজনীতিবিদরা মহারাষ্ট্রের প্রিয় রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকির নির্মম হত্যার খবরে ধিক্কার জানিয়েছেন। শোক সন্তপ্ত রিতেশ দেশমুখ, প্রিয়া দত্ত, ও শামিতা শেঠির মতো ব্যক্তিরা সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে তার পরিবারকে সমর্থন জানিয়েছেন, জানিয়ে দিয়েছেন যে এই সন্ত্রাসী ঘটনা সমাজের জন্য একটি গভীর সংকট। আসলে, এই হত্যাকাণ্ড কার্যত চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে রাজনীতির অদৃশ্য সংযোগ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মৌলিক জিজ্ঞাসা তুলে ধরছে।
বোলিউডের আলোচনার মাঝে শোকের ছায়া: বাবা সিদ্দিকির অকাল প্রয়াণ
মহারাষ্ট্রের অন্যতম গুণী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাবা সিদ্দিকির অকাল প্রয়াণে শোকাহত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগত। ১২ অক্টোবর শনিবার, মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ৬৬ বছর বয়সী এই নেতা গুলি করে হত্যা হন, যা পুরো রাজনৈতিক এবং বিনোদন জগৎকে হতভম্ব করে দিয়েছে। বাবা সিদ্দিকির ছেলে জীশানের অফিসের বাইরে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে। তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক এবং চলচ্চিত্র জগতের অসংখ্য তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন।
কমেডিয়ান ও অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ গেথিংয়ে লেখেন, “বাবা সিদ্দিকির বিপর্যয়কর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং হতবাক। আমার হৃদয় @জীশান_আইওয়াইসির এবং পুরো পরিবারের সাথে। এই কঠিন সময়ে ঈশ্বর তাদের শক্তি দান করুন। এই হতভাগ্য অপরাধের বাস্তবায়নকারীদের শাস্তি পাওয়া উচিত।” তাঁর এই বক্তব্যে সঙ্গীর প্রতি যেমন ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে, তেমনি অপরাধের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা রয়েছে।
অন্যদিকে, কিংবদন্তি অভিনেতা সুনীল দত্তের মেয়ে প্রিয়া দত্তও বাবার প্রয়াণে শোকাভিভূত। তিনি উল্লেখ করেছেন, “বাবা সিদ্দিকি ছিলেন রাজনৈতিক সহকর্মীর চেয়ে বেশি; তিনি আমাদের পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন। আমার বাবার রাজনৈতিক যাত্রায় তিনি সদা পাশে ছিলেন। মৃত্যুর সংবাদে আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত।” তাঁর উক্তিতে প্রিয়ার হৃদয়ের গভীরতায় ব্যাপক আবেগ ফুটে উঠেছে।
বিনোদন জগতে ঘটছে ঢল
বলিউডের অনেক অভিনেতারাও বাবার মৃত্যুর খবর শুনে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শামিতা শেঠি তাঁর টুইটে লেখেন, “বাবা সিদ্দিকির বিষয়ে শুনে আমি হতবাক। ঈশ্বর তাঁর আত্মাকে শান্তি দান করুন এবং পরিবারকে এই ভয়াবহ ক্ষতির মোকাবিলা করার শক্তি দান করুন।” একইভাবে, শিল্পা শেঠি, সালমান খান, সঞ্জয় দত্ত নিয়ে শোক প্রকাশ করতে উপস্থিত ছিলেন বাবা সিদ্দিকির বাড়িতে।
রাজনীতির অঙ্গনে জায়গা করে নেয়ার সময়?
এই প্রেক্ষিতে এভাবেই প্রমাণিত হয় যে বাবার মৃত্যু কেবল একটি ব্যক্তির মৃত্যু নয়; বরং এটি একটি প্রজন্মের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতি একটি প্রশ্নবোধক সংকেত। এই ঘটনার পর, বিনোদন ও রাজনৈতিক দৃশ্যে একইসাথে আলোচনা তৈরি হয়েছে, যেখানে সন্ত্রাস এবং নৃশংসতার বিরুদ্ধে একটি মানবিক বার্তা তুলে ধরার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
চলচ্চিত্র জগতের পরিবর্তনশীল চেহারা
বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু কিভাবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের আলোকে তৈরী হচ্ছে, সেটি আমাদের ভাবাতে বাধ্য করে। শিল্পীরা যে সময়ের প্রতিফলন হিসেবে কাজ করেন, তা আমরা এই ঘটনায় স্পষ্ট দেখতে পাই। কিছু সৃজনশীল কাজ যারা সমাজের অসঙ্গতিগুলি প্রকাশ করে, তাদের সামনে একটি সুযোগ আসে আরও মেজর সামাজিক ইস্যুগুলি আলোচনার ডাক দেওয়ার।
এছাড়াও, এই ঘটনা নতুন মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাভাবনার জন্য একটি উন্মোচন ঘটিয়েছে, যেখানে চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার এক অদৃশ্য সম্পর্ক প্রতিভাত হয়েছে। বাবার মৃত্যু বিনোদন জগতের জন্য একটি সতর্কবার্তা; আমাদের শঙ্কার সাহস নিয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার – কি হতে পারে আমাদের সমাজের পরবর্তী ধাপ?