মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে Tigmanshu Dhuliar ‘ঘামাসান’ ছবির প্রিমিয়ার নিয়ে আলোচনা চলছে। বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে নির্মিত এই সিনেমায় আরশাদ ওয়ারসি ও প্রতীক গান্ধীর অভিনয় নজর কেড়েছে। নির্মাতা অভিনয়শিল্পী ইশিতার চরিত্র কেটে ফেলায় তাঁর উচ্ছ্বাসের মধ্যে এক মিষ্টি দুঃখ প্রকাশ করেছেন, যা চলচ্চিত্রের গন্তব্যে সংশোধন ও প্রতিবিম্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
ভালোবাসার ভিড়ে নিষ্ক্রিয় মহিলার চিত্রায়ণ: বলিউডের বর্তমান সংকট
গত রাতে মুম্বাই মুম্বাই ফিম ফেস্টিভালে পরিচালক tigmanshu dhulia এর নতুন সিনেমা ‘ঘামাসান’ দেখানো হয়। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন আরশাদ ওয়ারসি, যিনি একজন আলোচিত ডাকাত মহারাজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আর প্রতিক গান্ধী একজন STF (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স) কর্মকর্তা আদিত্যর ভূমিকায়। ছবির মধ্যে ইশিতা দত্ত অভিনয় করেছেন আদিত্যর প্রেমময় স্ত্রীর ভূমিকায়।
জিও স্টুডিওজের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ করে দর্শকদের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেছে। ছবিটির পর cast এবং crew এর সঙ্গে সংলাপের সময়, ইশিতা তার ভূমিকায় সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেন এবং জানান, ‘ঘামাসান’ হল তার প্রথম ছবি যা কোন ফেস্টিভালে দেখানো হলো। তিনি এটাও বলেন যে, ছবিটি তিনি প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ দেখেছেন।
একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পেছনের গল্প
ঠিক তখনই, tigmanshu dhulia উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দিয়ে বলেন, “আমি ইশিতার কাছে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে চাই। তার চরিত্রটি বেশ দীর্ঘ ছিল, কিন্তু আমি সেটি অনেকটা কাটিয়ে ফেলেছি। এর পেছনে একটি কারণ ছিল, আর সেই প্রক্রিয়ায় প্রযোজকরা খানিকটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।”
পরিচালক তার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, “প্রথমে আমি তার চরিত্রকে এক বন কর্মকর্তা হিসেবে গঠন করেছিলাম। কিন্তু সম্পাদনার সময়, আমি দেখলাম তার নারীত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি তার পেশা পুরোপুরি বাদ দিয়েছি। তাতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দৃশ্যগুলো এত সুন্দর দেখাচ্ছিল। তাই, আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কিন্তু (ইশিতার দিকে ইঙ্গিত করে) আমি দুঃখিত।”
মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া এবং প্রত্যাশার দিগন্ত
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, ইশিতা ইঙ্গিত করেন যে তাকে সমস্যা নেই। এর পাশাপাশি, আগের দিন বলিউড হাঙ্গামা প্রথমবারের মতো জানিয়েছে যে ‘ঘামাসান’ ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সুতরাং, ‘ঘামাসান’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং একটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যা বলিউডের আধুনিক যুগের মুখ দেখতে চাইছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, চলচ্চিত্রের শিল্পী ও ভাবনা যখন প্রযোজনার নিম্নমানের দ্বারা রুদ্ধদ্বার হয়, তখন কিভাবে আমরা সত্যিকার শিল্প সৃষ্টি করতে পারব?