বলিউডের নতুন সিনেমা ‘মিসেস’ ২২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে, যা সান্যা মালহোত্রার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য পরিচিতি পাচ্ছে। স্ত্রী ও গৃহিণীর ভূমিকায় রিচা’র আত্মআবিষ্কারের গল্পটি দর্শকদের সংবেদনশীলভাবে আকৃষ্ট করছে। এই চলচ্চিত্রটি ভারতীয় নারীর শক্তি, প্রতিরোধ ও নতুন কাহিনীর সন্ধান করে, বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাওয়ার শিল্পের পরিবর্তন নির্দেশ করছে।
বিনোদন জগতের নতুন অধ্যায়, ‘মিসেস’: এক আকর্ষণীয় চলচ্চিত্রের যাত্রা
চলচ্চিত্র জগতের নিত্যনতুন পরিবর্তন ও ধারা সম্পর্কে সচেতন দর্শকদের জন্য, জিও স্টুডিও এবং বাওয়েজা স্টুডিওর নতুন নাটক ‘মিসেস’ বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্র উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম, ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া (IFFI)-তে তার এশিয়া প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২২ নভেম্বর ২০২৪। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রযোজক জ্যোতি দেশপাণ্ডে, হারমান বাওয়েজা এবং সহ-প্রযোজক স্মিথা বালিগা, সাথে অগ্রণী কাস্ট সান্যা মালহোত্রা এবং পরিচালক আরতী কাদাভ।
আন্তর্জাতিক প্রশংসা ও উজ্জ্বল অভিনয়
‘মিসেস’ ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে তুলেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে, যেমন IIFM, ট্যালিন ব্ল্যাক নাইটস, নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (NYIFF), এবং প্যালম স্প্রিংস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। চলচ্চিত্রটি একটি আবেগময় গভীরতা এবং অভিনয়ে শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিয়ে হাজির হয়েছে, বিশেষ করে সান্যা মালহোত্রার অভিনয় যা প্রতিটি উৎসবে আকুলতার সাথে দাঁড়িয়ে টিজ করাতে সক্ষম হয়েছে।
কাহিনির মূল চরিত্র: রিচা
চলচ্চিত্রটির কাহিনী কেন্দ্রিত হয়েছে রিচা নামের চরিত্রটির ওপর, যা সান্যা মালহোত্রা দ্বারায় অভিনীত হয়েছে, যিনি স্ত্রী এবং গৃহিণী হিসেবে জীবন যাপন করতে গিয়ে নিজের সত্তা খুঁজে পেতে সংগ্রাম করেন। এই চলচ্চিত্রে সংকট, আত্ম-আবিষ্কার ও নিজের কণ্ঠস্বরের সন্ধানে যে সকল বিষয়বস্তু উপস্থাপিত হয়েছে, তা বিশ্বের দর্শকদের হৃদয়ে একটি গভীর ভাবনা হাজির করে।
সহ-অভিনেতারা ও সম্পর্কের জটিলতা
সান্যা মালহোত্রার সাথে নিশান্ত দহিয়া এবং কনওলজিত সিংয়ের অভিনয়ও গুরুত্ব ব্লোক করেছে, যা রিচার যাত্রাসহ তার সমর্থন ও চ্যালেঞ্জ প্রদানকারীদের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। আরতী কাদাভের পরিচালনায় জটিল সম্পর্কের সংবেদনশীল নাটকটি স্বীকৃত হয়েছে, যা ভারতীয় ছবির গল্প বলার পদ্ধতিতে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ যোগ করেছে।
প্রযোজক ও পরিচালকের অবদান
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক জ্যোতি দেশপাণ্ডে বলেন, “মিসেস একটি এমন গল্প যা ভারতীয় দৈনন্দিন জীবনে গভীরভাবে সংযুক্ত। IFFI-তে এই চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার আমাদের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত, যা ভারতীয় নারীর evolving spirit কে তুলে ধরে।” হারমান বাওয়েজা ধারিত অভিব্যক্তির মাধ্যমে বলেন, “এই চলচ্চিত্রের গল্পটি একটি নারী পরিচয়ের এবং প্রত্যেকের কাছে উপস্থাপনের গতির দিকে কেন্দ্রীভূত।”
সান্যা মালহোত্রার প্রতিক্রিয়া
চলচ্চিত্রের মূল অভিনেত্রী সান্যা মালহোত্রা জানিয়েছেন, “ভারতে ‘মিসেস’ এর প্রিমিয়ার খুবই বিশেষ। এটি একটি গভীর আবেগ এবং ব্যক্তিগত বিকাশের যাত্রা।” পরিচালক আরতী কাদাভ ফিল্মটির ভারতীয় দর্শকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে বলতে থাকেন, “আমরা এখন অবশেষে আমাদের বাড়িতে ফিরছি, যেখানে এই চলচ্চিত্রটি উন্মোচিত হয়েছে।”
সমাজের জন্য গুরুত্ব ও নির্বাচনী পরিবর্তন
‘মিসেস’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং সমাজের পরিবর্তিত চেতনা ও নারীদের সত্তার প্রতীক। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজের উদ্দেশ্যবোধ এবং নৈতিক দায়বদ্ধতা বিকাশ পেতে পারে। বিশ্বজুড়ে চলচ্চিত্রের দর্শকদের মধ্যে মহিলা শক্তি ও মননশীলতার অসাধারণ প্রভাব থেকে আমাদের আরও শিখতে হবে।
