বোলlywoodের বিশ্বে আবারও উথাল পাতাল; জ্যানি মাস্টারের বিরুদ্ধে এক তরুণী গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। তার বিরুদ্ধে সমালোচনা এবং আইনগত পদক্ষেপের হুমকি একপাশে, অন্যদিকে তার জনপ্রিয়তার পাল্লা অপর দিকে ভারী হয়ে উঠছে। ছবির গানে তার অবদান, যেমন ‘এআই নাই’ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শিল্পীদের কাজের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নিরাপত্তা কতটা জরুরি। চলচ্চিত্রের এই বিশাল জগতের পর্দার আড়ালে নারী নির্যাতনের বিষয়টি ভাবাতে বাধ্য করে, যা আমাদের দর্শকমহলের পছন্দ ও প্রত্যাশার সাথে একটি সংশয় তুলে ধরে।
একা এমনি প্রবাহে, যেখানে গোপন প্রবাহের আওতায় এক নতুন সত্য প্রকাশ পাচ্ছে: ‘জানি মাস্টার’–বোলিউডের গানে যিনি, এখন বিতর্কের কেন্দ্রে
চলচিত্রের জগত মানেই নানান আকর্ষণীয়তা, কিন্তু মাঝে মাঝে সেই সব আকর্ষণ টপকে সামনে চলে আসে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা। সম্প্রতি, বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার শৈক জানি বাশা, যিনি জনশ্রুতিতে ‘জানি মাস্টার’ নামে পরিচিত, গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন। গত সপ্তাহে, ২১ বছর বয়সী একজন মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি হায়দরাবাদের রেইডুরগাম থানায় দায়ের করা হয়েছে, যেখানে জানান হয়েছে যে এটি একাধিক শহরে ঘটে যাওয়া ঘটনার কারণে।
অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগকারী একজন তরুণ কোরিওগ্রাফার, যে মাসের পর মাস ধরে জানি মাস্টারের সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে, বিভিন্ন আউটডোর শুটের সময় তাকে একাধিকবার নিগৃহীত হতে হয়েছে। তার অভিযোগ অনুসারে, ঘটনাগুলি চেন্নাই, মুম্বাই, হায়দরাবাদ এবং তাঁর নিজ বাড়িতে নারসিংহিতে ঘটে। এই মামলাটি বর্তমানে নারসিংহি পুলিশের হাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে আরও বিস্তারিত তদন্ত চালানো হবে।
জানি মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা
অভিযোগের ভিত্তিতে, একটি শূন্য FIR দায়ের করা হয়েছে এবং জানি মাস্টারকে ভারতীয় পুনালিপি সঙ্কলনের (IPC) বিভিন্ন প্রবিধান অনুযায়ী অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই অভিযুক্তগুলির মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, অপরাধী ভীতির সৃষ্টি করা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতি সাধন করা। তেলঙ্গানার মহিলাদের সুরক্ষার উইংয়ের ডিরেক্টর জেনারেল শিখা গায়াল জনসাধারণকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, তদন্ত সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানি মাস্টারের প্রতি প্রতিক্রিয়া এখনো অনিশ্চিত
বর্তমানে, জানি মাস্টার এই অভিযোগ সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি। সম্প্রতি তাঁর কাজের মধ্যে, ‘স্ট্রি ২’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘আই নাই’ কোরিওগ্রাফি করেছেন, যা তাকে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বলিউডের পাশাপাশি টেলুগু সিনেমা এবং কান্নড় চলচ্চিত্রে কর্মদক্ষতা
বলিউডের বাইরে, জানি মাস্টার টেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পেরও একটি পরিচিত নাম এবং তিনি কান্নড় সিনেমায়ও ব্যাপক কাজ করেছেন। ‘স্ট্রি ২’ ছাড়াও, তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘ফটোকপি’ (জয় হো), ‘তেরি বাতোন মে অইসা উলঝা জিয়া’ এবং ‘আজ কি রাত’।
অভিনেতা-অভিনেত্রীরা, চলচ্চিত্রের সামাজিক প্রভাব এবং মিডিয়া প্রতিবেদন
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে বলিউডের ডিজাইন, অভিনেতার পারফরমেন্স, সিনেমার সামাজিক প্রভাব এবং মিডিয়া প্রতিনিধিত্বের উপর পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। দর্শকদের ক্রমবর্ধমান দর্শনদৃষ্টি এবং আখ্যানের রূপান্তরের মধ্যে এই গুরুতর অভিযোগটি একটি প্রাসঙ্গিক আলোচনার সূচনা করছে।
সিনেমা শিল্পের পরিবর্তনশীল মুখ, প্রশ্ন এবং সংকট
জানি মাস্টার এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি চলচ্চিত্র শিল্পের পরিবর্তনশীল গতিবিধির মাঝে নতুন একটি সংকট দেখাচ্ছে। এভাবে, আমরা দেখতে পাচ্ছি কি ভাবে সিনেমার দুনিয়া, যা সাধারণত আনন্দের উৎস হয়, কখনও কখনও গভীর সামাজিক সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।