রানবীর ব্রার, যিনি শেফ থেকে অভিনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন, ‘দ্য বাকিংহ্যাম মার্ডারস’ ছবিতে কাজ করার সময় করিনা কাপূর খানের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। করিনার সঙ্গে কাজ করা তাকে চ্যালেঞ্জিং হলেও, তার উষ্ণতা ও পেশাদারিত্বে ব্রারের সব উদ্বেগ মিটে যায়। ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য, যেখানে করিনা তাকে থাপ্পড় মারেন, সেটি ১৫টি টেকের পর নির্মিত হয়েছে। ব্রার মেনে নিয়েছেন যে, করিনার প্রতি শ্রদ্ধা এবং গল্পের প্রতি তার দায়িত্ববোধ তাকে অভিনয়ের নতুন দিগন্ত দেখিয়েছে। এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, একটি চলচ্চিত্রের সফলতা শুধুমাত্র একক অভিনয় নয়, বরং সামগ্রিক গল্প বলার একে অপরের প্রতি সহযোগিতা।
কিছু শিখলাম, কিছু জানলাম: রঞ্জির অভিজ্ঞতা ও বলিউডের নতুন নক্ষত্র
ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন রানভীর ব্রার। শেফ থেকে অভিনেতার ভূমিকায় পা রেখেছেন তিনি “দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স” ছবির মাধ্যমে, যেখানে তার সহশিল্পী হচ্ছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপূর খান। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, কারিনার সঙ্গে কাজ করার একমাত্র চিন্তা তার মনে এমন এক মানসিক চাপ তৈরি করেছে যে, তিনি জ্বর পর্যন্ত হয়ে উঠেছিলেন। “মডার্ন লাভ মুম্বাই”-তে প্রতীক গাঁধীর সাথে কাজ করা যেখানে ছিল শান্ত, সেখানে কারিনা সঙ্গে কাজ করার সময় তিনি একটু নার্ভাস ছিলেন,” তিনি বলেন।
স্ল্যাপ দৃশ্যের ১৫টি টেক
ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হলো ব্রারের চরিত্র দালজিৎ কোহলি ও কারিনার মধ্যে একটি স্ল্যাপ দৃশ্য, যা রাত জাগানোর মতো চ্যালেঞ্জিং ছিল। ব্রার বলেন, “কারিনা প্রথমে আমার উপর হেনস্থা করতে চাননি, তাই দৃশ্যটি পরিপূর্ণ করতে ১৫টি টেক লাগল।” তার কথায়, “কারিনা বারবার বলছিল, ‘নাহিন মারungi’ (আমি তোমাকে মারিনি)।” ব্রারের জন্য, একটি সঠিক শট পাওয়ার জন্য এই বারবার টেক নেওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল।
কারিনার উষ্ণতা ও সমর্থন
কমনীয়তা সত্ত্বেও, ব্রার কারিনার পেশাদারিত্ব ও উষ্ণতা নিয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম দিনের শুটিংয়ে কারিনা তাকে আরামদায়ক করতে বিশেষ যত্ন নিয়েছিলেন। “তিনি আমার ক্লোজ-আপ দৃশ্যে অন্যদেরকে সময় দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি আমার পাশে থেকে আমাকে সমর্থন করেছিলেন।” এই মুহূর্তটি তাকে ব্রারকে শিথিল করেছে এবং তার উদ্বেগ দূর করেছে।
গল্পের প্রতি কমিটমেন্ট
ব্রার আরও উল্লেখ করেছেন যে, কারিনা শুধু তার চরিত্রের প্রতি নয় বরং পুরো ছবির প্রতি নিবেদিত ছিলেন। “দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স”-এর প্রযোজক হিসেবে, তিনি গল্পের উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা করেছেন। ব্রার বলেন, “এটা শুধুমাত্র তার চরিত্র নয়; তিনি পুরো গল্পের উপর মনোযোগ দেন,” যা শিল্পের প্রতি তার নিবেদন প্রবণতা প্রকাশ করে।
রানভীরের জন্য শিক্ষা
দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স”-এ কাজ করার সময় ব্রার এই অভিজ্ঞতাকে অমূল্য শিক্ষা হিসেবে দেখছেন। পরিচালক হংসল মেহতা-র অধীনে কাজ করার মাধ্যমে ব্রার মনে করেন তিনি যেন “ফিল্মমেকিং স্কুলে” অংশগ্রহণ করছেন। “হংসল স্যার-এর কাছে আমি অনেক কিছু শিখলাম,” তিনি আরও যোগ করেন।
এখন, ব্রারের এই অভিজ্ঞতা দর্শকদের সামনে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করে: বলিউডের এই নতুন প্রজন্ম কি সত্যিই ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম? নাকি এটি শুধুমাত্র পদে পদে নার্ভাস এবং কম্পিত অভিনেতাদের জন্য একটি মনস্তাত্ত্বিক টেস্ট?”