ভারতীয় সঙ্গীতের নক্ষত্র রাহুল ভৈদ্য সম্প্রতি মুম্বাইয়ে ৯ কোটি টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন, যা বলিউডের তারকাদের মধ্যে বাড়ির চাহিদা বৃদ্ধির প্রতিফলন। بند্রার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গীত ও বিনোদন শিল্পের আঁতাত শিল্পীদের জন্য এই পদক্ষেপটি আকর্ষণীয়। কিন্তু কি আসলে সমাজের মধ্যে বলিউডের এই গ্ল্যামার মুখোশের অন্তরালে রয়েছে?
রাহুল বৈদ্যর নতুন বাড়ি: বলিউডের এক নতুন দোলাচল
ভারতের শ্রেষ্ঠ গান প্রতিযোগিতা ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর প্রথম সিজনের রানার আপ, রাহুল কৃষ্ণ বৈদ্য সম্প্রতি মুম্বাইতে ৯ কোটি টাকার থাকার সম্পত্তি কিনেছেন। সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্টগুলি অনুযায়ী জানানো হয়েছে যে, বৈদ্য নতুনভাবে কেনা এপার্টমেন্টটি DLH সিগনেচারে অবস্থিত। এটি একটি প্রিমিয়াম প্রকল্প যেখানে ৩ বিএইচকে, ৪ বিএইচকে এবং ৫ বিএইচকে ইউনিট রয়েছে, যা প্রায় ১.২৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত।
বলিউডের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দু
ব্যান্ড্রা ওয়েস্টের এই প্রকল্পটি সাম্প্রতিক মাসগুলিতে সেলিব্রিটি রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সুনীল শেঠী, রণবীর সিং এবং দীপিকা পাড়ুকোনের মতো বলিউডের বিভিন্ন তারকা, এবং কেএল রাহুল ও ভূমি সাতিয়া শেঠীর মতো ক্রীড়া ব্যক্তিত্বেরাও এই এলাকায় সম্পত্তি কিনেছেন।
ব্যান্ড্রার চিত্রকল্প
ব্যান্ড্রার জনপ্রিয়তা এর বলিউড এবং ক্রীড়া আইকনের ইতিহাসের কারণে; এটি একটি একচেটিয়া, বন্ধুত্বপূর্ণ কমিউনিটি তৈরি করেছে। এটি চলচ্চিত্র শিল্প, প্রোডাকশন স্টুডিও এবং নেটওয়ার্কিং স্থানগুলির কাছে অবস্থিত, যা বিনোদন পেশাদারদের জন্য স্পষ্ট সুবিধা প্রদান করে। উচ্চমানের আবাসন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং এয়ারপোর্ট ও ব্যবসায়িক হাবের সাথে চমৎকার যোগাযোগ ব্যাবসায়ী ব্যক্তিদের প্রিয় করতে পারে।
রাহুলের সঙ্গীত সফর
রাহুলের সঙ্গীত ক্যারিয়ার একটি শিশু শিল্পী হিসাবে শুরু হয়েছিল, বিভিন্ন মিউজিক শোগুলিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ২০০৪ সালে ইন্ডিয়ান আইডলে অংশগ্রহণ করার পর তাঁর সঙ্গীত যাত্রা একটি নতুন মোড় নেয়। তিনি বিগ বস ১৪ এবং ফিয়ার ফ্যাক্টর: খতরন কা খিলাড়ি ১১ তেও ফাইনালিস্ট হন। ২০২৪ সালে, তিনি কালারস টিভির জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘লাফটার শেফ’-এ অংশগ্রহণ করেন।
সম্পত্তির লেনদেনের বিস্তারিত
রাহুল বৈদ্য যিনি বহু ধারার সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত, তাঁর নতুন এপার্টমেন্টের আয়তন প্রায় ৩,১১০ স্কোয়ার ফিট। এই লেনদেনটি অক্টোবর ২০২৪ এ সম্পন্ন হয় এবং এতে ৫৬.৩৭ লাখ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি এবং ৩০,০০০ টাকার রেজিস্ট্রেশন ফি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শেষ কথা: বলিউডের প্রেক্ষাপট
যেখানেই যাই, বলিউডের এই আবাসন খাতের সৃষ্টিশীলতা এবং বিনিয়োগ প্রবণতা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সিনেমার শিল্প কেবল বিনোদন নয়, এটি একটি সামাজিক জীবনের অংশ। এবং এটি বলিউডের প্রাণশক্তিকে আরও শক্তিশালী করে।