প্রজক্তা কোলে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হওয়া জলবায়ু সপ্তাহ ২০২৪-এ অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তিনি সমগ্র বিশ্বে যুব সমাজকে জলবায়ু সংরক্ষণে উৎসাহিত করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক আন্দোলন শুরু করতে প্রস্তুত। মাস্টলি সেন নামে পরিচিত এই ডিজিটাল স্রষ্টা তার প্রভাবকে ব্যবহার করে স্টোরিটেলিংয়ের মাধ্যমে জলবায়ু সমস্যার গুরুত্ব তুলে ধরবেন এবং নতুন প্রজন্মকে সোচ্চার হতে আহ্বান জানাবেন। ১৭ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার নিয়ে কোলে তাঁর নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে একটি টেকসই ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শন করার আশা করেন।
নাতিস্বরূপের নাচ: জলবায়ু সংকটের মঞ্চে বোলিউড তারকা প্রাজক্তা কোলির পরিচিতি
প্রশংসিত ডিজিটাল স্রষ্টা এবং ইউনডিপি’র প্রথম যুব জলবায়ু চ্যাম্পিয়ন প্রাজক্তা কোলি নিউ ইয়র্ক সিটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ক্লাইমেট উইক ২০২৪-এ ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত। তিনি তাঁর প্রাণবন্ত পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন, যা একটি বৈশ্বিক যুব জলবায়ু আন্দোলনের সূচনা করবে।
মহামারীর পরবর্তী যুগে, যে তরুণদের নিয়ে তার চিন্তা ভাবনা, তারা যেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একত্রিত হতে পারে, সেই বিষয়টি ফোকাস করার উদ্দেশ্যে কোলি তার নের্তৃত্বের আত্মবিশ্বাস নিয়ে হাজির হবেন। এই আন্দোলনটি শিক্ষা, প্রচার এবং ভিত্তিভূমি উদ্যোগের উপর কেন্দ্র করে যুবকদের ক্ষমতায়িত করতে কাজ করবে।
যুব নেতৃত্বের অনুপ্রেরণা: কোলির অভিষেক
৩১ বছর বয়সী কোলি, যিনি ‘মোস্টলি সেন’ নামে পরিচিত, অনুষ্ঠানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন, এর মধ্যে ক্লাইমেট রেভোলিউশন নিয়ে তার ভিশন ভাগ করবেন। তিনি বলবেন মিডিয়ার প্রভাব এবং টেকসই উন্নয়নের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এসডিজি প্যানেলে।
এছাড়াও, তিনি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোতে উপস্থিত থাকবেন, যেমন ভবিষ্যতের শীর্ষ সম্মেলন, আর্থশট প্রাইজ ইনোভেশন স্যামিট এবং ল’ওরিয়াল ক্লাইমেট ইভেন্ট। এই সব ইভেন্টে তার বক্তব্য যুবকদের জলবায়ু আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে ওপর কেন্দ্রীভূত থাকবে।
যোগাযোগের নিত্যনতুন প্রবণতা
প্রাজক্তা বলেন, “আমি আমার প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারছি, এটি আসলেই একটি সুযোগ। আমরা যুবরা যেভাবে জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি দাঁড়াতে পারি, সেটা দেখাতে চাই।” তার খ্যাতি প্রায় ১৭ মিলিয়ন ফলোয়ার পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা তার প্রভাবের একটি প্রতিফলন।
এটি বুঝতে আরও সহায়ক যে, কোলির উপস্থিতি বৈশ্বিক জলবায়ু এবং উন্নয়ন লক্ষ্যগুলির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির প্রতীক। তিনি যৌগিক পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠছেন, যা সাধারন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে।
অভিনেত্রীদের মধ্যেও পরিবেশ সচেতনতা
বলিউডের অন্যান্য তারকারা যেমন, কোলির মতো জলবায়ু সচেতনতার পথে এগিয়ে আসছে। Ajay Devgn এবং Ananya Panday এর মতো মুখ্য তারকা қолға নিয়েছেন বিভিন্ন পরিবেশবাদী কাজ, যা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে চলচ্চিত্র শিল্পের মাঝে সচেতনতা বাড়ছে।
কোলির মতো ব্যক্তিত্বরা সমাজের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, যে কেন আমাদের পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এই নয়া প্রজন্মের পরিবেশ সচেতনতা নজির স্থাপন করছে এবং চলচ্চিত্র শিল্পকে আরও সামাজিক সংবেদনশীল করার পথে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করছে।
অবশেষে, চলো কোলির নেতৃত্বে একত্রিত হয়ে আমরা জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সমাজে একটি দৃঢ় বার্তা পাঠাবো। এই যাত্রায়, বোলিউডের প্রতিনিধি হয়ে কোলি সকলের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবেন।