অতুলনীয় বাক্যে বলিউডে নতুন দিগন্ত প্রসারিত করতে চলেছেন পরিচালক আত্রে, সালমান খানের সঙ্গে তার একটি মহাকাব্যিক পুনর্বিকাশ নাটকে। অতীত আর বর্তমানের মধ্যে কাহিনীর ছন্দময় সমপর্ক তুলে ধরার এই প্রচেষ্টায় নতুন এক ফ্যান্টাসি জগৎ তৈরি হবে, যা শঙ্কা আর আবেগের দোলাচলে দর্শকদের মনে গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, বদলে দেবে সিনেমার গতিপথ।
বহু যুগের নিকটবর্তী: বলিউডে সালমান খান এবং নতুন যুগের প্রতিজ্ঞা
জওয়ান-এ সুপারস্টার শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করার পর, এ্যাটলি এবার বলিউডের আরেক সুপারস্টার সালমান খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করতে চলেছেন। যদিও ছবির বিস্তারিত তথ্য গোপন রাখা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু সূত্র বলছে যে, এ্যাটলি একটি দুই-নায়ক প্রকল্প তৈরির জন্য উদগ্রীব। অন্য নায়ক হিসেবে সম্ভবত তামিলের সুপারস্টার রজনীকান্ত অথবা কমল হাসানকে দেখা যেতে পারে। সবশেষ খবর অনুসারে, ছবিটি একটি পুনর্জন্ম নাটক হবে।
পুনর্জন্মের নাটকে মহাকাব্যিক রূপায়ণ
পিঙ্কভিলার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, “এ্যাটলি গত এক বছর ধরে একটি বিশাল বাজেটের পুনর্জন্ম নাটক বানানোর কাজ করছেন, যা দুই ভিন্ন সময়ের মধ্যে বিভক্ত – অতীত এবং বর্তমান। পরিচালক একটি শক্তিশালী এবং নজরকাড়া পিরিয়ড সেটআপ তৈরি করতে চান যাতে কাল্পনিক বিশ্বের রোমাঞ্চকর ভ্রমণ ঘটবে। ছবিতে সালমান খানকে একটি যোদ্ধার রূপে দেখা যাবে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি, তবে বর্তমান সময়ের গতিশীলতার বিষয়বস্তু এখনও গোপন রাখা হয়েছে। চলচ্চিত্রের মূলধারাটি পিরিয়ডের দিকেই বেশি মনোযোগ দেবে।”
অভিনেতার অভিনয় এবং কাহিনির নতুন রূপ
সূত্রটি জানায় যে, ছবিটি বর্তমানে A6 নামে পরিচিত এবং এটি আগামী বছরের প্রথমার্ধে শুটিং শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে, এ্যাটলি স্ক্রিপ্ট এবং কাস্টের ফাইনালাইজেশন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। সূত্রটি আরও জানাচ্ছে, “এটি একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী চলচ্চিত্র। এ্যাটলি দর্শকদের জন্য নতুন একটি বিশ্ব তৈরি করতে প্রস্তুত রয়েছেন, যেখানে অ্যাকশন, নাটক, থ্রিল এবং আবেগ দেখা যাবে।”
বর্তমান প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ
এদিকে, সালমান খান বর্তমানে এ আর মুরুগাদসের পরিচালনায় সিকান্দরের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত রয়েছেন। অন্যদিকে, এট্টলিও তাঁর প্রযোজনায় বেবি জন ছবির মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যেখানে বরুণ ধাওয়ান প্রধান চরিত্রে রয়েছেন, যা ২০১৬ সালের তামিল ছবি থেরির রিমেক। ছবির ছন্দ এবং গল্পের পরিবর্তনগুলি বলিউডের বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি নতুন আলোকে প্রজ্বলিত করে।
শেষ কথা: বলিউডের জন্য একটা নতুন সময়?
এমনটাও মনে হচ্ছে যে, এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং সমাজের একটি ক্ষোভকেও উদ্ভাসিত করছে। বর্তমান প্রজন্মের দর্শকেরা কাহিনিতে নাটকীয়তা ও গা Berl রোমাঞ্চের খোঁজে, যা নতুনত্বের অভাব দুর করতে পারে। সালমান এবং এটলির যুগলবন্দি কি না পারে বলিউডকে নতুন রূপ দিতে? সময় জাহির করবে।
বলিউডের এই পরিবর্তনশীল গতিবিধি কি আমাদের সিনেমার দর্শনকে বদলে দেবে? নাকি এটি শুধুমাত্র একটি প্রলেপ? দর্শকের পছন্দ ও সমাজের প্রতিক্রিয়া একসঙ্গে মিলে বলিউডের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।