প্রাইম ভিডিও ঘোষণায় জানিয়েছে, ‘কল মি বেই’ সিরিজের দ্বিতীয় মৌসুম তৈরি হচ্ছে, যেটি প্রথম মৌসুমের তুমুল জনপ্রিয়তার পর। অভিনয় শিল্পী অনন্যা পান্ডে ও অন্যান্য তারকারা টিনএজ ও যুব সমাজের মধ্যে দারুণ প্রভাব ফেলেছে, তাদের জীবনযাত্রা এবং আত্ম-প্রত্যয়ের বিষয়গুলো নিয়ে। এই সিরিজটি বিনোদনের পাশাপাশি সংগীত এবং ফ্যাশনের মাধ্যমে সামাজিক চেতনা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে, যা আধুনিক সমাজে পরিচয় ও প্রিভিলেজের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। নাটকটির ফ্যাশন সংগ্রহ শুরু করেছে নতুন ট্রেন্ড, যা কার্যকরীভাবে বিষয়বস্তু এবং দর্শকের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।
বোলিউডের রঙ্গীন ভ্রমণ: ‘কল মি বেই’ এর দ্বিতীয় সিজনের উন্মোচন
নতুন সিজনের আশা নিয়ে, প্রাইম ভিডিও আজ ঘোষণা করেছে যে ‘কল মি বেই’ এর দ্বিতীয় সিজন এখন официально উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেপ্টেম্বরে প্রথম সিজন মুক্তির পর থেকে, সিরিজটি দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়নি। এতে প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে এবং অন্যান্য তারকারা যেমন বির দাস, গুফতেহ পিরজাদা, এবং আরও অনেকেই।
গ্লোবাল দর্শকদের আকৃষ্ট করে ‘কল মি বেই’
সিরিজটি বিশ্বজুড়ে ১৬৫টিরও বেশি দেশে দেখা হয়েছে এবং ভারতের ৮৫% এর বেশি পিন কোডে এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ইতিমধ্যে, এটি ভারতের শীর্ষ ১০টি তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে এবং ৫০টিরও বেশি দেশে ট্রেন্ডিং শিরোনামের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। সিরিজটি তার স্বতঃস্ফূর্ত এবং হাস্যকর সংলাপের জন্য সবার মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
সংগীতের জাদু এবং ট্রেন্ডস
‘কল মি বেই’ এর পরিবেশনা কেবল হাস্যকর মুহূর্তেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আবেগের একটি গভীর স্তরও যুক্ত করেছে। সিরিজের সাউন্ডট্র্যাক চারটি গানের সাথে ইনস্টাগ্রামে দ্রুত ট্রেন্ডিং হচ্ছে। ‘ভেখ সোহনেয়া’, ‘চুরায়িয়া’, ‘খোইশ পূরী’, এবং ‘যারা তেরে বিন’ গানগুলি সংগীতের জগতে যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে।
অনন্যাভর্তি বিপণন প্রচারাভিযান
সিরিজটির মুক্তির আগে, প্রাইম ভিডিও একটি অনন্য বিপণন ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছিল যা এর আসল সত্তাকে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরেছিল। অনন্যা পান্ডে একেবারে নতুন ভাবে ‘বে’ চরিত্রে প্রবেশের মাধ্যমে মুম্বাই বিমানবন্দরে বিশাল আগমন ঘটিয়েছিলেন।
প্রথম সিজনের সাফল্য এবং দ্বিতীয় সিজনের প্রত্যাশা
প্রাইম ভিডিওর অপশনের প্রধান নিখিল মাধোক জানিয়েছেন, “কল মি বেই’ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছিল এবং আমরা second season নিয়ে কাজ শুরু করছি। দর্শকদের সাড়া দেখে আমরা অভিভূত।”
বোলিউডের পরিবর্তিত প্রতিচ্ছবি
এই সিরিজটি শুধু বিনোদনই নয়, বরং একটি সামাজিক আলোচনার সূত্রপাত করেছে যা যুব সমাজের মধ্যে বোধ এবং আত্মপরিচয়ের দিকনিদের্শ করেছে। কৃতিত্ব প্রাপ্ত পরিচালক কলিন ডি’কুনহা এবং লেখক ইশিতা মৈত্র রেখেছেন মূল চরিত্রকে কেন্দ্র করে রোমাঞ্চকর ও প্রাণবন্ত কাহিনীর ধারাবাহিকতা।
ভবিষ্যতের জগতে ‘বে’
প্রথম সিজনের সাফল্যের পর, ‘কল মি বেই’ দিন দিন আরও পরিচিত হয়ে উঠছে। প্রতিটি চরিত্রের অভিনয় দক্ষতা এবং দর্শকদের মন জয় করার ক্ষমতা এই সিরিজকে একটি সত্যিকারের সাংস্কৃতিক ফেনোমেননে পরিণত করেছে।
সুতরাং, দেখা যাক ভবিষ্যৎ কি নিয়ে আসে ‘কল মি বেই’ এর জন্য। সত্যিই বোলিউডের পরিবর্তিত মুখ উন্মোচন করার একটি সুযোগ এসেছে—যেখানে কাহিনীগুলি সমগ্র সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে।