নতুন পর্বে ‘কাউনের বেঙ্গা ক্রোড়পতি 16’-এ প্যারিতোষ গুপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার সোহৃদ্য গল্পে প্রকাশ পায় জীবনের সংগ্রাম ও স্বপ্ন; মাত্র 100 বর্গফুটের চওলের মধ্যে থাকা এ পরামর্শদাতা বাড়ির জন্য প্রাইজ মানির প্রত্যাশায়। বিগ বি’র কাহিনী শোনার মাধ্যমে সমাজের প্রতিচ্ছবি উঠে এসে বর্তমান বলিউডের ভেতরকার দ্বন্দ্ব ও দর্শকদের বিবর্তনের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
বল্লি-woodের অপূর্ণতা ও স্বপ্নের দুই ফালি
বলিউডের আজকের খবরের কেন্দ্রে আছেন পারিতোষ গুপ্ত এবং অমিতাভ বচ্চন। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি ১৬’ এর নতুন পর্বে, পারিতোষ গুপ্ত চ্যালেঞ্জারের রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং উজ্জ্বলভাবে জিতে নেন হটসিট।
পারিতোষ বর্তমানে একজন সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানির পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন এবং তার আবাস একটি ১০০ বর্গফুটের চৌলে। তিনি ভাগ করে নেন, “আমি সেখানে আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করতাম, আর এখন আমার স্ত্রীর সঙ্গে।”
পারিতোষের স্বপ্ন একটি বাড়ি কেনা, এবং তিনি আশা করেন যে পুরস্কারের অর্থ দিয়ে তা সম্ভব হবে।
প্রথম প্রশ্নের উত্তরের শেষ নেই
গেমটি শুরু হয় ২০,০০০ টাকার প্রশ্ন দিয়ে: মুম্বাইয়ের মধ্যে, কোন নামটি রেলওয়ে স্টেশন এবং রেসকোর্স উভয়ের জন্য প্রযোজ্য? বিকল্পগুলি ছিল- A. গোরেগাঁও, B. প্যারেল, C. মহালক্ষ্মী, D. দাদার। তিনি সঠিকভাবে উত্তর দেন বিকল্প C.
বিগ বি গেমের মাঝে রেসকোর্স নিয়ে কিছু কথা বলেন এবং সহানুভূতির সঙ্গে বলেন, “অতীতে আমি যখন কলকাতায় কাজ করতাম, তখনো একই রকম পরিস্থিতি ছিল। আমি সেখানে রেসকোর্সে যেতাম অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের আশায়।”
তিনি বলেন, “আমি যা কিছু উপার্জন করতাম, তা বাবা-মায়ের সঙ্গে শেয়ার করতাম। কিন্তু একদিন আমার বাবা একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তাতে লিখেছিলেন, ‘ধন কোথাও রাপ্ট করতে হলে, খুন ও ঘাম না ঝরিয়ে তা পাওয়া উচিত নয়।’”
স্বপ্নের বাড়ি ও এক শক্তিশালী শিক্ষা
বিগ বি পারিতোষের স্বপ্নের বাড়ি নিয়ে আলোচনা করেন। পারিতোষ জানান, “একটি ১BHK বাড়ি কেনার জন্য অন্তত ১ কোটি টাকা লাগবে, কিন্তু আমি আশা করি যে পুরস্কারের টাকা দিয়ে যথেষ্ট হবে।”
৪০,০০০ টাকার প্রশ্নের জন্য তিনি দর্শকের ভোটের lifeline ব্যবহার করেন এবং সঠিক উত্তর দেন। কিন্তু ৬,৪০,০০০ টাকার প্রশ্নে একই lifeline ব্যবহার করলে তিনি ভুল উত্তর দেন।
অভিনেতা এবং সমাজে তাদের প্রভাব
এছাড়া, অমিতাভ বচ্চন সম্প্রতি অভিষেক বচ্চনকে প্রশংসা করেন এবং চলমান বিবাহ বিচ্ছেদের গুজব নিয়ে মন্তব্য করেন, “তারা যা বলে, তা বলতে দিন।” এটি ইঙ্গিত দেয় যে বলিউডের জীবন কতটা সামাজিকভাবে চাপের মধ্যে এবং অভিনেতাদের পারফরম্যান্স কীভাবে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে।
বিধুর সংবাদ বলিউডের দুনিয়ায়, যেখানে প্রত্যেকটি নতুন গল্প, নতুন অভিনয় এবং নতুন ব্যক্তিত্ব উঠে আসে, কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় বাস্তবতা ও এবার সৃজনশীলতার চিন্তার মধ্যে একটি অসামঞ্জস্য।