বহুত কখনো প্রতীকী মহাকাব্য রামায়ণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘সিংহাম এগেইন’-এর কাহিনীতে ভালের বিরুদ্ধে মন্দের সংঘাত তুলে ধরা হয়েছে। এজয়ের চরিত্র বাজিরাও সিংহাম এবার শ্রীলঙ্কায় ন্যায়ের জন্য লড়াই করতে যাচ্ছে, নানা তারকা মুখে যেমন কারিনা কাপূর, দীপিকা পাড়ুকোনের উপস্থিতি দর্শকদের আকৃষ্ট করবে। তবে এই প্রতিযোগিতার মাঝে ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ও প্রেক্ষাগৃহে শাসন করতে প্রস্তুত, যা সিনেমা প্রেমীদের কাছে উত্তেজনার একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।
বলিউডের নতুন যুদ্ধে ধর্ম ও নীতির সংঘর্ষ: “সিঙ্গম এগেইন” এর মহাকাব্যিক প্রেক্ষাপট
বলিউডের চলচ্চিত্র জগতের যা কিছু ঘটে, তার কেন্দ্রে থাকে ভাল এবং মন্দের সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের এই থিমকে নতুন করে তুলে ধরতে আগ্রহী পরিচালক রোহিত শেঠি, এবং সাথে হাজির হচ্ছেন সদা সক্রিয় অভিনেতা অজয় দেবগন। “সিঙ্গম এগেইন” ছবির মূল গল্পটি ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ন থেকে অনুপ্রাণিত। মিড-ডে প্রকাশ করেছে, “রোহিত যখন গল্পটি তৈরি করতে বসেছিলেন, তখন তিনি চেয়েছিলেন দর্শকদের জন্য নতুন কিছু দিতে, যা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত।”
গল্পের কাহিনী: শ্রীলঙ্কায় সিঙ্গমের অভিযান
এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র বাজিরাও সিঙ্গম এবার সীমান্ত অতিক্রম করে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কথা। সেখানে তিনি আবারো লড়াই করবেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার তিনি একা নন; তার সাথে থাকছে তার “সেনা”—একদল পুলিশ যারা মন্দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। একটি সূত্র জানিয়েছে, “অর্জুন একটি মিলিটেন্টের চরিত্রে অভিনয় করছেন। এভাবে, অজয়ের সিঙ্গম, তার পুলিশ সেনার সাথে মিলিত হয়ে শ্রীলঙ্কায় ভিলেনের মোকাবেলা করতে যাচ্ছে।”
তারকার সমাহার: দীপাবলীর জন্য উত্তেজনা
“সিঙ্গম এগেইন” ছবিতে রয়েছে অন্যতম শক্তিশালী অভিনয় শিল্পীরা—কারিনা কাপূর খান, দীপিকা পাডুকোন, অর্জুন কাপূর এবং টাইগার শ্রফ। ছবিতে বিশেষ আপিরিয়েন্সে থাকছেন অক্ষয় কুমার এবং রনবীর সিং। দীপার কারণেই এই মুভিটি দীপাবলীর মুক্তির জন্য অত্যন্ত প্রতীক্ষিত একটি ছবি।
বক্স অফিসের সংঘাত: ভূল ভুলাইয়া ৩ এর সঙ্গে মুখোমুখি
এদিকে, “সিঙ্গম এগেইন” মুক্তির সময় অতিক্রম করবে ভীতির হাস্যরসমূলক চলচ্চিত্র “ভূল ভুলাইয়া ৩” এর সাথেও। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন কার্তিক আরিয়ান এবং ত্রিপ্তি ডিমরি, পরিচালনা করছেন এনীস বাজমী। শোনা যাচ্ছে, মাধুরী দীক্ষিতও সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
সমাজের প্রতিফলন ও বর্তমান বলিউড
এই ছবি শুধু একটি বিনোদনমূলক উপস্থাপনাই নয়, বরং এটি আমাদের সমাজের বিভিন্ন সমস্যাগুলির প্রতিফলন ও প্রতিষ্ঠা করে। “সিঙ্গম” সিরিজ সাধারণ মানুষের মধ্যে ন্যায় এবং অসত্যের সংঘর্ষের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তাই এই সিনেমা মুক্তির জন্য সামাজিক অবস্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বিবেচনায় নিতে হবে।
উপসংহারে
এবারের নীতির প্রশ্নে সামাজিক দায়িত্ববোধ কতটা কার্যকারী, তা নিয়ে আলোচনা হবে সিনেমাটি মুক্তির পর। আসুন অপেক্ষা করে দেখা যাক—সিঙ্গম কি সত্যই ভেঙ্গে দেবে বক্স অফিসের সমস্ত রেকর্ড?