মুম্বাই-এর বিনোদন জগত তোলপাড় হয়ে উঠেছে কারণ বিগ বস প্রতিযোগী আজাজ খানের নাম উঠেছে একটি মাদক মামলায়। তার কর্মচারী সুরজ গৌদের গ্রেফতারের পর, ১০০ গ্রাম এমডিএমএ নিয়ে একটি বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আজাজের ফোন রেকর্ড পরীক্ষা করে তার মাদকের সাথে জড়িত থাকার তথ্য বের করার চেষ্টা করছে। এটি আজাজের প্রথম আইনসিদ্ধ সমস্যা নয়; পূর্বে তিনি মাদক রাখার অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন। সমাজে বিনোদন জগতের এই বিপর্যয় দিন দিন পরিবেশের হতাশা বাড়াচ্ছে, যেখানে শিল্পের পরিবর্তন ও মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্বের অভাব স্পষ্ট।
বলিউডের অন্ধকারে এক নতুন অধ্যায়: আজাজ খান এবং মাদক বিতর্ক
মুম্বাইর বিনোদন জগত আবারও কম্পিত হয়েছে একটি নতুন মাদক সংক্রান্ত বিতর্কে, যেখানে প্রাক্তন বিগ বস প্রতিযোগী আজাজ খানের নাম জড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি, আজাজের স্টাফ সদস্য সুরাজ গৌদ-এর সাথে একটি বৃহৎ মাদক পাচারের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
আজাজ খানের স্টাফের অ arrest
প্রতিবেদনে জানা গেছে, সুরাজ গৌদ নামের আজাজের এক কর্মচারীকে narcotics bureau কর্তৃক আটক করা হয়েছে। সে allegedly একটি ইউরোপীয় দেশ থেকে মাদক অর্ডার করছিল। কাস্টমস কর্মকর্তারা ১০০ গ্রাম MDMA সহ একটি পার্সেল আটক করেছেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩০ লাখ রুপি। পার্সেলটি খান-এর অফিসে পাঠানো হয়েছিল, যা কারণেই কর্তৃপক্ষ সেখানে অনুসন্ধান শুরু করে।
গোপন তদন্তের আওতায় আজাজ খান
স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স এবং ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা আজাজের এই মামলায় সম্পৃক্ততা তদন্ত করব এবং তার ফোন রেকর্ড পরীক্ষা করব।” অনুসন্ধান চলাকালীন, অভিনেতা অভুতপূর্বভাবে তার আন্ধেরির অফিসে ছিলেন না।
আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
গৌদকে নারকোটিক ড্রাগস এবং সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (NDPS) আইন অনুযায়ী আটক করা হয় এবং বুধবার আদালতে পেশ করা হবে। কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, “নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, আমরা একটি সন্দেহজনক পার্সেল আটক করেছি যা এয়ার কুরিয়ারের মাধ্যমে এসেছে। খোলার পর দেখা যায়, তাতে ১০০ গ্রাম MDMA রয়েছে, যা একটি বাণিজ্যিক পরিমাণ।” বর্তমানে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আজাজ খানের অতীতের আইনি জটিলতা
যদিও খানের একজন বন্ধু টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান যে অভিনেতার এই পার্সেলের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই, কর্তৃপক্ষ তাকে প্রশ্ন করতে আগ্রহী। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, খানকে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ রয়েছে। তারা তাকে শীঘ্রই সমন করবেন এবং তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করবেন।
মানুষের প্রতিক্রিয়া এবং সিনেমার সমাজে প্রভাব
এই ঘটনা আজাজ খানের জন্য নতুন নয়। ২০২১ সালে, তিনি ৪.৫ গ্রাম ৩১ আলপ্রাজোলাম ট্যাবলেট থাকার জন্য আটক হয়েছিলেন এবং দুই বছরের সাজা দিয়েছিলেন। এই ঘটনাগুলি দেখে মনে হচ্ছে, বলিউডের চেহারায় মাদকাসক্তির ছায়া ক্রমেই গভীর হচ্ছে। সিনেমার জগতের তারকাদের জীবনযাপন আমাদের সমাজে যুবকদের উপর কতটা প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নতুন বৈচিত্র্যের দিকে নজর
বলিউডে বর্তমানে যে গল্পগুলো বলা হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সিনেমার বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। দর্শকদের নতুন ধরনের সিনেমা গ্রহণের প্রবণতা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে নির্মাতারা এখন সমস্যময় বিষয়বস্তু নিয়ে চতুরভাবে কাজ করছেন, যা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে প্রভাবিত করছে।
শেষ কথা
আজাজ খানের এই মাদক বিতর্ক একটি বড় রক্তরস-সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে, যা শুধু একটি শিল্প নয় বরং একটি সামাজিক আন্দোলনকেও ইঙ্গিত করছে। বলিউডের এই অন্ধকার জগতের দিকে লক্ষ্য রেখে, আমাদের এখনই সতর্ক হওয়া দরকার এবং নতুন ধারার সিনেমাদের দিকে নজর দিতে হবে।