দীপাবলির মৌসুমে কার্তিক আরিয়ানের “ভুল ভুলাইয়া ৩” ও রোহিত শেঠির “সিংগম অ্যাগেইন” ছবির মুক্তি নিয়ে জমজমাট আলোচনা চলছে। দুই সপ্তাহ দেরিতে মুক্তির পরিকল্পনা চলছে যাতে সংঘর্ষ এড়ানো যায়। বর্তমানে হরর কমেডি ফিল্মের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে, ফলে “ভুল ভুলাইয়া ৩” হতে পারে বিশাল সফলতা, যা বলিউডের নতুন ধারা গঠন করছে এবং দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলবে।
বলিউডের মারপ্যাঁচ: কার্তিক আরিয়ান বনাম সিংঘাম আবার!
প্রেম, হাসি আর ভয়ের মিশ্রণে ভরা বলিউডের এই দীপাবলিতে, সমস্ত নজর এখন কার্তিক আরিয়ান এর ভূল ভুলাইয়া ৩ এবং রোহিত শেট্টির সিংঘাম আবার-এর মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাতের দিকে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, পরিচালক রোহিত শেট্টি এবং তাঁর সহযোগীরা সিনেমাটির মুক্তির তারিখ দুই সপ্তাহ পিছোনোর জন্য তীব্র আলোচনা চালাচ্ছেন।
বাণিজ্যিক সূত্রের খবর জানাচ্ছে, গত তিন দিন ধরে এই বিষয়ে বিভিন্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রোহিত শেট্টি, অজয় দেবগণ, জিও স্টুডিওস এবং রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো সিংঘাম আবার এর মুক্তির তারিখ। এক সূত্র বলিউড হাঙ্গামা-কে জানায়, “ভূত-কমেডি এখনকার সময়ের রানী। স্ট্রি ২ এর সাফল্যের পর, ভুল ভুলাইয়া ৩ কোনোভাবেই হালকা কিছু নয়। সিংঘামের টিম নভেম্বর ১ তারিখে মুক্তি না নিয়ে নভেম্বরে ১৫ তারিখে একক মুক্তি পাওয়ার দিকে নজর দিচ্ছে।” এই আলোচনা মূলত সিংঘাম আবারকে পরিষ্কারভাবে মুক্তির সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলছে।
বাজেট এবং প্রত্যাশার ভার
সোর্সটি আরো জানায়, “সিংঘাম আবার একটি মেগা বাজেটের সিনেমা এবং নির্মাতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবকিছু যাচাই করছেন। বর্তমানে নভেম্বর ১ এবং ১৫ তারিখের মাঝে তুলনা চলছে এবং পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তির তারিখ নির্ধারণ হবে। তবে, সত্যি কথা হচ্ছে, ভুল ভুলাইয়া ৩ বর্তমান সময়ে একটি প্রতিযোগী। যদি স্ট্রি ২ ৬০০ কোটি টাকা উপার্জন করতে পারে, তাহলে কার্তিক আরিয়ান, বিদ্যা বালান, মৌমিতা দীক্ষিত এবং তৃতী দীক্ষিতের মতো একটি বৃহৎ ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য সম্ভাবনা আকাশ ছোঁয়ার মতো।”
তারকাদের চাপ এবং প্রত্যাশা
বিশেষভাবে বললে, সিংঘাম আবার হল হিন্দি সিনেমার অন্যতম বৃহত্তম সিনেমা, যার তারকাসমূহের মধ্যে অজয় দেবগণ, রণবীর সিং, দীপিকা পাডুকোন, অক্ষয় কুমার, টাইগার শরফ এবং অর্জুন কাপুর রয়েছেন। কিন্তু, নির্মাতারা মুক্তির তারিখ নিয়ে নিজেদের নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন, কারণ যত বড় তারকা, তত বড় প্রত্যাশা।
সবশেষে বলা যায়, এই দৃশ্যপট আরও একবার প্রমাণ করেছে যে, বলিউডে পরিচালক, নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে সহাবস্থান শুধুমাত্র সুযোগের প্রয়োজনে। এরপরেও, আমাদের হয়তো মনে হতে পারে যে, এই ধরণের সংঘাত শুধুমাত্র সিনেমায়ই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আমাদের সমাজের এক নির্মম প্রতিচ্ছবি। তাই, ভবিষ্যতে বলিউডের চরিত্রগুলি বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য কীভাবে পরিবর্তিত হবে, সেটিই দেখার বিষয়।