রোহন সিপ্পি এবং নির্মাতা নীলেশ সাহার নতুন চলচ্চিত্র “ইসস দীপাবলি” ঘোষণা করেছে, যা ২০২৫ সালে আসছে। এই ছুটির অ্যাকশন কমেডিতে রাজনৈতিক নাটক এবং পারিবারিক সিজনের জাদু থাকবে। সিপ্পির সৌন্দর্যবোধ এবং সাহার সমাজিক বার্তা অতীতে চলচ্চিত্রের উদ্দীপনা বদলেছে, যা দর্শকদের মধ্যে নতুন উন্মাদনা তৈরি করবে।
একটি উজ্জ্বল টানাপড়েন: বাণিজ্যিক সাফল্যের পথে ‘ইস দিওয়ালি’
প্রখ্যাত পরিচালক রোহান সিপ্পি এবং প্রযোজক-পরিচালক নীlesh সাহের যুক্তি নিয়ে আসছে একটি বিরল আনন্দের ছায়া, যা হল ‘ইস দিওয়ালি’, একটি প্রত্যাশিত ছুটির নিঃশ্বাস-গ্রহণকারী অ্যাকশন কমেডি। সিনেমাটি দীপাবলির সময়কালে রাজনীতির সন্ন্যাসের পটভূমিতে রচিত হয়েছে।
রোহান সিপ্পি, যিনি ‘ব্লাফমাস্টার’ (২০০৫), ‘দুম মারো দুম’ (২০১১) এবং ‘নটঙ্কি সাালা’ (২০১৩) এর মতো চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন, সেই সিপ্পি এবার নিয়ে এসেছেন নতুন একটি অভূতপূর্ব কাজ। এটির লেখক, প্রযোজক এবং পরিচালক নীlesh সাহের আগে ‘স্কোয়াড’ (২০২১) সিনেমার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। দুই শিল্পীর সমন্বয়ে নির্মিত ‘ইস দিওয়ালি’ দেশে-বিদেশে একযোগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
এন্টারটেইনমেন্টসের সম্ভাবনা এবং সামাজিক সংকট
রোহান সিপ্পি বলেছেন, “এমন সিনেমাগুলি দেখেই আমি বড় হয়েছি যেখানে প্রধান চরিত্রগুলির মধ্যে সম্পর্কের জাদু কাজ করে। এই ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখতে ‘ইস দিওয়ালি’ আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক উৎসবের জাদুর সঙ্গে যুক্ত।”
নীlesh সাহের মন্তব্য ছিল, “ছুটির সময় এমন একটি পরিবারের বিনোদন এবং সাথে সাম্প্রতিক সমাজের একটি বৃহৎ সমস্যার সমাধান দেওয়া এর উদ্দেশ্য। যখন আমি ছবিটি লিখেছিলাম, তখন আমি জানতাম রোহানই ছিল সেরা ব্যক্তি।” তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ‘ইস দিওয়ালি’ সকল বয়সের দর্শকদের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ হবে।
স্বপ্নের দৃশ্যের পেছনে অপেক্ষা
‘ইস দিওয়ালি’ ২০২৫ সালে মুক্তি পাবে, যখন দীপাবলির আনন্দ চাগিয়ে উঠবে। ছবির নির্মাতা আজ, ৯ অক্টোবর এ ঘোষণা দেওয়ার বিশেষ কারণ হিসাবে বলেছে, “এটি আমার মায়ের জন্মদিন এবং রোহান সিপ্পিরও জন্মদিন আজ।”
অর্থাৎ, বাণিজ্যিক সাফল্যের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক গম্ভীর পরিস্থিতি। চলচ্চিত্রের শক্তিশালী প্রভাব এবং সমাজের বাস্তবতা একসাথে চলতে থাকে। তাই, ‘ইস দিওয়ালি’ শুধুমাত্র একটি বিনোদন নয়, বরং সমাজের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করার একটি সুযোগ।
সিনেমার জগতে পরিবর্তন এবং উত্তরণ
বিগত বছরগুলিতে, বাণিজ্যিক সিনেমার দর্শক সংগঠনের পরিবর্তন যেমন প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি সামাজিক সমস্যার প্রতিফলনও হয়েছে সিনেমার পর্দায়। ‘ইস দিওয়ালি’ সেই গতিপথেই এক নতুন রকমের রূপদান করবে বলে মনে হচ্ছে।
সুতরাং, আমরা প্রত্যাশা করি যে এই সিনেমাটি শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে কাজ করবে না, বরং সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যও পালন করবে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শকের মনে সৃষ্টির উৎসব হতে পারে এই ‘ইস দিওয়ালি’।