বলিউডের অ্যাল্ট ব্যালাজি টেলিফিল্মের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন অপরাধ নিষেধাজ্ঞা আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ‘ক্লাস অফ ২০১৭’ ও ‘ক্লাস অফ ২০২০’ সহ তিনটি ওয়েব সিরিজে অনুপযুক্ত দৃশ্য এতে ছোটদের ব্যবহার করা হয়েছে। এতে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং চলচ্চিত্র শিল্পের এই ধরণের কাজ সমাজে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে, তা ভাবায়। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে, কিন্তু প্রযোজক এক্তা কপুর ও শোভা কপুরের তরফ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি।
ছবির জগতের অন্ধকার: নজিরবিহীন অভিযোগ সংক্রান্ত মমতা
বিগত কয়েকদিন ধরে বলিউডের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা সংস্থা আল্ট বালাজি টেলিফিল্ম এবং তার প্রতিষ্ঠাতা একতা কাপূর ও শোভা কাপূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মুম্বাইয়ের এমএইচবি পুলিশ শিশু সুরক্ষা আইন (POCSO) অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পোরিভালির একটি আদালত এই বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশনা দিয়েছে। অভিযোগকারী হলেন স্বপ্নিল রেওয়াজি, যিনি একজন যোগ শিক্ষক। এই অভিযোগে বলা হয়েছে, আল্ট বালাজির তিনটি ওয়েব সিরিজে অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে, যেখানে কিশোর-কিশোরীদের অবলম্বন করা হয়েছে।
অশালীন দৃশ্য এবং অভিযোগের বিশদ
অভিযোগের ভিত্তিতে, ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর মামলা রুজু করা হয়েছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে, আল্ট বালাজির সিরিজগুলোতে অশ্লীল দৃশ্য বর্তমান, যার মধ্যে স্কুল ইউনিফর্ম পরা কিশোরের অশালীন কার্যকলাপ দেখা যায়। স্বপ্নিলের দাবি, এই ওয়েব সিরিজের বিষয়বস্তু কিশোরদের বস্তূরূপে দেখায় এবং তাদের জন্য বিপজ্জনক। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি কিশোরী গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে অশ্লীল দৃশ্য ধারণের শিকার হয়।
আইনগত পদক্ষেপ এবং অপরাধের বিশদ
পোরিভালির আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এমএইচবি পুলিশ পিএসসি ও আইন সংক্রান্ত একাধিক ধারার আওতায় মামলা দায়ের করেছে। এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পোকসো আইন-এর ১৩ এবং ১৫ ধারা, যা কিশোরদের অশ্লীল উদ্দেশ্যে ব্যবহারের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি প্রতিরোধ আইন, মহিলাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আইন, এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারাগুলোর আওতায় নানা অভিযোগ করা হয়েছে। এই মামলাগুলো একসঙ্গে আলমরানিহীনতা, কিশোরদের অশালীন রূপায়ণ এবং কিশোরদের জন্য ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
তদন্তের পরিস্থিতি
বর্তমানে, পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আল্ট বালাজির সিরিজে অশ্লীল দৃশ্য ধারণের অভিযোগ তদন্ত করছে। তবে এখনও পর্যন্ত আল্ট বালাজি টেলিফিল্ম বা তাদের প্রযোজক একতা কাপূর ও শোভা কাপূরের পক্ষ থেকে কোন অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ হয়নি। তদন্তের অগ্রগতিতে নতুন তথ্য আসার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী weeksয়।
সিনেমা জগতের সামাজিক প্রভাব
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে বলিউডের চলচ্চিত্র জগতে কীভাবে মাধ্যমিক প্রভাব ও সামাজিক দায়বদ্ধতা উদ্ভব হচ্ছে, তা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। অশালীনতার অভিযোগ কেবল সিনেমার কার্যকলাপকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না; বরং আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার উপরও প্রভাব ফেলছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, মুভি নির্মাতাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত, যেন তারা কিশোরদের উদ্ভাবনী এবং শিক্ষা সহায়ক বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করেন।