বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বিরুদ্ধে আবারও জীবনের নিরাপত্তা হুমকি এসেছে, এবার বিখ্যাত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্যের মাধ্যমে। ৫ কোটি টাকার দাবি জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে আসা এই হুমকি নিয়ে মুম্বাই পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। সালমান খানের ওপর আক্রমণের ঝুঁকি নতুন নয়; ১৯৯০ সালের শিকার মামলার কারণে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার শত্রুতার ইতিহাস রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, যা ঋত্বিক-প্রধান শিল্পের অস্থির অবস্থান এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বকেও সামনে আনে।
দুঃস্বপ্নের গল্প: সালমান খান এবং বেজন্মা য Gangster Bishnoi
বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান আবারও হুমকির মুখে। এবার তাকে ভয় দেখাচ্ছে বিখ্যাত বিজনোই গ্যাংয়ের এক alleged সদস্য। গতকাল মুম্বাই ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো এক বার্তায় দাবি করা হয়েছে, যদি ৫ কোটি টাকার একটি বিপুল অর্থ না দেওয়া হয় অথবা রাজস্থানের একজন বিজনোই মন্দিরে পুণ্য পাওয়ার জন্য যেতে না হয়, তাহলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে সালমান খানকে। এই ঘটনা মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সালমানের প্রতি দ্বিতীয় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, ফলে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিজনোই সম্প্রদায়ের সালমানের প্রতি দীর্ঘ বিদ্বেষ
বিজনোই সম্প্রদায়, যারা ব্ল্যাকবাকের প্রতি অনেক শ্রদ্ধাশীল, সালমান খানের প্রতি একটি দীর্ঘকালীন বিদ্বেষ পোষণ করে চলেছে। ১৯৯০-এর দশকে একটি পোহিং কেসের কারণে এই বিদ্বেষের সূত্রপাত। এই ঐতিহাসিক পটভূমি এবং খান ও বিজনোই গ্যাংয়ের বিরোধ তাকে এক ধারাবাহিক হুমকি এবং আতঙ্কের লক্ষ্য হিসেবে তৈরি করেছে।
মুম্বাই পুলিশের তদন্ত ও গতিবিধি
মনি কন্ট্রোলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাটি বিজনোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। বার্তায় নির্দিষ্ট দাবি ও হুমকি অন্তর্ভুক্ত ছিল। যদি সালমান এই দাবির প্রতি সাড়া না দেন, তবে গুরুতর পরিণতির হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মুম্বাই পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করেছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাথে যুক্ত হয়ে বার্তার উৎস ট্রেস করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা প্রথমে কর্ণাটক থেকে পাঠানো মনে হচ্ছে। তবে, পাঠকের ভিপিএন ব্যবহারের ফলে তদন্ত আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশের বড় সাফল্য ও গ্রেপ্তার
একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে বেঙ্গালুরুতে ৩৫ বছরের একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে। এই সন্দেহভাজন, যিনি একজন ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করতেন, মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। যদিও এই ব্যক্তির বিজনোই গ্যাংয়ের সাথে সরাসরি সংযোগ স্পষ্ট নয়, পুলিশ তদন্ত করছে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করেছেন কিনা অথবা অপরাধী নেটওয়ার্কের সাথে তার কোনো সংযোগ রয়েছে কিনা।
মুম্বাই পুলিশের সতর্কতা
যদিও সন্দেহভাজনের অপরাধমূলক কোনও পটভূমি নেই, মুম্বাই পুলিশ এই হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন। একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “সেলিব্রিটির বিরুদ্ধে সব হুমকি গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে, তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা যাই হোক না কেন।” আইপিসির বিভিন্ন ধারা, যেমন একটি চাঁদাবাজি এবং অপরাধমূলক ভয়াবহতা, এবং যাতে এই ঘটনাটি রেজিস্টার করা হয়েছে। তিনি জানান, “আমরা এই বার্তাগুলোকে সরাসরি উপেক্ষা করতে পারি না, বিশেষ করে সালমানের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা এবং তার চারপাশের জনসাধারণের উচ্চ আগ্রহকে লক্ষ্য করে।”
নিরাপত্তার জোরদার
সাম্প্রতিক হুমকিগুলোর পর সালমান খানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ তার আবাসের দিকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করেছে এবং তার চলাফেরার ওপর নজরদারি করছে। পুলিশ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাথে মিলে নিরাপত্তার সামগ্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর কাজ করছে।
সালমানের জন্য দায়িত্বশীল আচরণ
সালমানের নিরাপত্তা দলের ওপর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা সতর্ক থাকবেন এবং কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ পুলিশকে অবিলম্বে জানাবেন। অভিনেতাকে বুদ্ধিমত্তার সাথে চলাফেরা করতে এবং অপ্রয়োজনীয় জনসমক্ষে উপস্থিতি পরিহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলো বোঝান যে, শুধু চলচ্চিত্রের দুনিয়াই নয়, বরং সমাজের বিভিন্ন রূপে তার ছাপ রয়েছে। সালমান খানের গল্পগুলো যেন আমাদের মধ্যে একটি সংশয় তৈরি করে, যেখানে আমরা জানতে চাই, এর ফল কোথায় যাবে।