“রাজনীতির আবহে, বলিউডের ‘Emergency’ চলচ্চিত্র: ইতিহাসের যে প্রেক্ষাপটে আজও প্রাণশক্তি!”

NewZclub

“রাজনীতির আবহে, বলিউডের ‘Emergency’ চলচ্চিত্র: ইতিহাসের যে প্রেক্ষাপটে আজও প্রাণশক্তি!”

বলিউডের রাজনৈতিক নাটক “ইমার্জেন্সি” মুক্তির জন্য তৈরি, কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কর্তৃত্বের পটভূমিতে উঠানো বিতর্কের কারণে পাঞ্জাব নির্বাচনের পরপরই মুক্তির পরিকল্পনা করেছে নির্মাতারা। কেন্দ্রীয় ছায়া ছাঁটাই অনুমোদিত হলেও, অধিকাংশ সিখদের প্রতিক্রিয়া ও চলচ্চিত্রের সমাজে গভীর প্রভাবের ব্যাপারটি ভাবনায় আসে। কঙ্গনা রানাউত পরিচালিত এই ছবি, দর্শকদের কাছে নতুন মাত্রায় রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরবে, তবে এটি কি সত্যিই নিজেদের আবেগকে মূল্যায়ন করবে?

“রাজনীতির আবহে, বলিউডের ‘Emergency’ চলচ্চিত্র: ইতিহাসের যে প্রেক্ষাপটে আজও প্রাণশক্তি!”

বোলিউডের নয়া কৌশল: কঙ্গনার ‘ইমারজেন্সি’র মুক্তিই বা কতটা আসল?

বলিউডে নতুন এক রাজনৈতিক নাটক, ‘ইমারজেন্সি’, বর্তমান প্রজন্মকে ১৯৭০-এর দশকের ইতিহাসের ঘটনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এসেছে। কিন্তু মুক্তির ঘোষণা মুহূর্তে থেকেই এই চলচ্চিত্রটিতে বিতর্কের আগুন জ্বলছে। সেপ্টেম্বর মাসে যখন নির্মাতারা মুক্তির তারিখ প্রকাশ করেন, তখন থেকেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। গত মাস থেকে চলচ্চিত্রটির মুক্তি স্থগিত থাকলেও সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, নির্মাতারা পাঞ্জাব নির্বাচনের পর এটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

স্মৃতি এবং অনুভূতির মিশেল

এই চলচ্চিত্রটি রাষ্ট্রপতি ইন্দিরা গান্ধীর দ্বারা ১৯৭০-এর দশকে আরোপিত রাজনৈতিক জরুরি অবস্থার পরিণতি তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এর ফলে পাঞ্জাব রাজ্যের অবস্থা যে কীভাবে প্রভাবিত হয়েছিল, সেটিই মূল বিষয়। তাই, অনেক শিখ এই চলচ্চিত্রের মুক্তির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। তবে, সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্মাতারা নির্বাচনের সময়টিকে শান্ত করে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার পক্ষে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) ইতোমধ্যে কিছু কাটছাঁটের শর্তে মুক্তির জন্য সম্মতি দিয়েছে।

নির্মাতা ও তারকাদের পরিকল্পনা

একটি সূত্রে দেখা গেছে যে, CBFC-এর সমস্ত শর্তে রাজি হওয়ার পর, পুরো দল নির্বাচনের পরেই মুক্তি দিতে চাইছে। সূত্র বলছে, “এই চলচ্চিত্রটি সবার হৃদয়ের কাছাকাছি এবং দর্শকদের এটি দেখার সুযোগ পাওয়া উচিত। সবাইয়ের অনুভূতি খেয়াল রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, নির্বাচনের পরে একটি সুবিধাজনক সময়ে মুক্তি দেওয়া হবে।” মুক্তির সময়টি সঠিকভাবে নির্বাচন করাটা বিবেচনাপ্রসূত মনে হচ্ছে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

কঙ্গনার অভিনয়ের মাধুর্য

কঙ্গনা রানৌত পরিচালিত ও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা ‘ইমারজেন্সি’ চলচ্চিত্রে অন্যান্য কলাকুশলীদের মধ্যে অনুপম খের, শ্রেয়াস তালপদে, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, এবং বিশাখ নায়ার অন্যতম। এই চলচ্চিত্রের মুক্তি য originally 7 সেপ্টেম্বর তারিখে নির্ধারিত ছিল, কিন্তু নানা কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাকিদের সম্বোধন

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সব বিতর্ক কি সিনেমাটির সার্থকতা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করবে? যখন সিনেমা শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং সমাজে পরিবর্তন আনার একটি মাধ্যম, তখন ‘ইমারজেন্সি’-এর প্রেক্ষাপট সমাজে নানা সমালোচনার জন্ম দিতে পারে। এই চলচ্চিত্রের মুক্তি এবং এর প্রভাব নিয়ে সমাজের ভাবনা কি পরিবর্তন হবে? তার উত্তর সময়ই দেবে।

এই চলচ্চিত্রের প্রতিটি দিক, প্রতিবিম্ব এবং বিতর্ক আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সিনেমা শুধু একটি শিল্প নয়, বরং এটি আমাদের সামাজিক আর রাজনৈতিক চেতনার সঙ্গে যুক্ত একটি অসেক্সন। বর্তমানে বোলিউডের এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলি কি আমাদেরকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে? সময় বলবে।

মন্তব্য করুন