বাঙালি চলচ্চিত্রে কার্তিক আর্যন সম্প্রতি জানিয়েছেন যে তার নতুন ছবি ‘শেহজাদা’ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, যদিও তিনি এতে প্রযোজকের মর্যাদা পেয়েছেন। চলচ্চিত্রের ব্যবসায়িক দিক ও গণনার অবিজ্ঞতায় তিনি মনে করছেন, এই বিষয়গুলো বোঝা সমাজে বিতর্ক সৃষ্টি করছে। বর্তমানে দেশজুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু তিনি নিঃসঙ্কোচেই স্বীকার করেছেন যে কিছু সিনেমা তিনি শুধুমাত্র অর্থের জন্যেই সাইন করেছেন। ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ এর দিকে তাঁর প্রস্তুতি চলমান, যেখানে তিনি আরও একবার তার অভিনয়ের দক্ষতা প্রদর্শন করবেন, কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যে চলচ্চিত্রের মান শুধুমাত্র বাণিজ্যিক লাভের উপর নির্ভর করে না।
বলিউডের পর্দায়: প্রেমের ফালতু গল্প এবং নায়ক কার্তিকের দুঃখ কাহিনী
এলু আর্জুনের সাফল্যমন্ডিত ছবি “আলা বৈকুণ্ঠপুর্লু” এর বলিউড সংস্করণ “শেহজাদা” মুক্তির পর থেকেই বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। কার্তিক আয়ারান অভিনীত এই ছবি মুক্তির পর প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া পায়নি, যার ফলে শিল্পের অন্তর্নিহিত বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় এসেছে। কার্তিক সম্প্রতি পিংকভিলায় বলেছেন, “শেহজাদার জন্য, যা কাজ করেনি, আমাদের মুক্তির আগে থেকেই একটি সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।”
কার্তিক আরও যোগ করেছেন যে, ছবির প্রযোজক তালিকায় তার নাম যুক্ত করার জন্য তার সহযোগীরা তাকে সাধুবাদের সাথে এই সুবিধা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি এটি নিতে চাইনি, তবে নির্মাণের সময় আমি কিছু জিনিসে বিনিয়োগ করেছি, তাই তারা আমাকে প্রযোজক ক্রেডিট দিয়েছে। আমি কেবল আমার ছবিকে রক্ষা করতে চেয়েছিলাম, স্বার্থপরতার দৃষ্টিকোণ থেকে।” কার্তিকের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি সিনেমার প্রতি কতটা গুরুত্ব দেন।
অর্থের গোপন বাস্তবতা
এই কথোপকথনে কার্তিক, বলিউডের মুনাফার হিসাব এবং তা কিভাবে কাজ করে সেবিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। “সবকিছুই একটি হিসাবের মধ্যে থাকে। এটি একটি ব্যবসার মডেল। যদি বিষয়গুলি হিসাবের মধ্যে থাকে, তাহলে এটি সঠিক,” তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, “যেহেতু অনেকেই এই হিসাবগুলি বুঝতে পারছেন না, তাই এ সব বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে।” এভাবে তার অবজারভেশন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সিনেমার প্রতি দর্শকদের প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার মধ্যে ফারাক যে কতটা গভীর।
অভিনেতার বহুমাত্রিক প্রতিভা
কার্তিক আরও স্বীকার করেছেন যে, তিনি কখনও কখনও অর্থের জন্য সিনেমায় সাইন করেছেন, তবে এখন তিনি দেশের অন্যতম প্রিয় অভিনেতা। বর্তমানে, তিনি “ভুল ভুলাইয়া ৩” ছবির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যেখানে বিদ্যা বলান, ত্রিপ্তি ডিমরি, মাধুরী দীক্ষিত এবং রাজপাল যাদবসহ নানান তারকারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন।
একটি আকর্ষক সংবাদ তিনি শেয়ার করেছেন যে, “ভুল ভুলাইয়া ৩” এর দুটি শেষ নিয়ে আলোচনা করে কর্ণধার কিয়ারা আডবাণীর নাম উল্লেখ করার পর কিছু জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিশ্চিত যে, বলিউডে আলোচনার কোনো অভাব নেই, আর টলিউডের এই উত্তরণ আমাদের মনে করায়, দর্শকরা সবসময় নতুন এবং চিত্তাকর্ষক কাহিনীর অপেক্ষায় থাকে।
সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব
এই ধরণের খবর আমাদের সমাজের চলচ্চিত্র শিল্প ও সমাজের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংলাপের গুরুত্বকে বোঝায়। সিনেমা কখনও কখনও শুধু বিনোদন নয়, বরং এটি সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে। দর্শকদের সঙ্গে সিনেমার সম্পর্ক, তাদের প্রত্যাশা এবং সিনেমা শিল্পের বাস্তবতাগুলো খুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি।