বলিউড সুপারস্টার সালমান খান সম্প্রতি গণেশ চতুর্থীতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দের বাড়িতে গিয়ে ঈশ্বর গণেশের পুজো করেছেন। তিনি এই উৎসবে তার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে উজ্জীবিত হয়ে অংশ নিয়েছেন, সামাজিক মহিলা অনুষ্ঠানে তার প্রাণবন্ত নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এই আনন্দের ভাঁজের আড়ালে বর্তমানে বলিউডের গল্প বলার ধারায় পরিবর্তন এবং দর্শকদের প্রত্যাশার ধাক্কা যেমন লক্ষণীয়, তেমনই বড় প্রযোজকদের রাজনৈতিক সৌজন্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জও কম নয়।
সেলিব্রিটির ধর্মসাধনা: সালমান খান ও গণেশ চতুর্থীর উত্সব
বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান সম্প্রতি ভারতের অন্যতম প্রিয় ধর্মীয় উৎসব গণেশ চতুর্থীতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বাসভবনে গিয়ে ঠিকমতো পুজো করেন এবং গণপতি বাবার আশীর্বাদ নেন।
শিন্ডে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় খান এবং তাঁর বোন অর্জিতার সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের ছবি শেয়ার করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের শালের মতো ঐতিহ্যবাহী উপহার দিয়ে স্বাগত জানিয়ে গর্ব অনুভব করেন। সালমান এই সময় একটি সহজ পোশাকে সদ্য দেখামাত্রেই দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাত জোড় করেন।
শিল্পী ও প্রার্থনা
গণেশ চতুর্থীর আনন্দ উদযাপন করতে, সালমান খান তাঁর নিজ বাসভবনে একই রকম উত্সব পালন করেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা একত্রে ভক্তি ও আনন্দের সঙ্গে পুজো করেন। গণেশ বিসর্জনের সময়, তাঁদের উৎসবের উল্লাস ও মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শেষ আরতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সালমানকে ভিডিওতে দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নাচতে ও গানে মাততে, এ যেন আনন্দের আবহে ভরপুর একটি মুহূর্ত।
এছাড়াও, সালমান খান আভা পরিবারের অসাধারণ রাজপ্রাসাদ ‘অ্যান্টিলিয়া’তে গণেশ চতুর্থীর উত্সবে একটি গুরুত্বপুর্ণ উপস্থিতিও দেন, যা আবারও তাঁর সোশ্যাল লাইফের মূল্যবোধ তুলে ধরেছে।
চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় উঠতি সাধারণ পরিবর্তন
সালমান খান বর্তমানে রিয়্যালিটি শো বিগ বসের পরবর্তী মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, পাশাপাশি অ্যাকশন-ভিত্তিক নাটক শিখন্দরেও কাজ করছেন, যা আবারও প্রমাণ করে যে বড় বক্স অফিসের আগ্রহের দিকে নজর রেখে চলছে বলিউড।
যদিও বলিউডের এই উজ্জ্বল মুহূর্তগুলি ক্রমে বাস্তবতার প্রসঙ্গকে কিছুটা আড়াল করে, তথাপি সুবিশাল এই ইনডাস্ট্রির দিকে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তৃতি লাভ করে। বর্তমান সিনারিওয়ের প্রতিফলন হল ঝলমলে প্যানেল এবং ভক্তি পূর্ণ ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন কীভাবে মনের ভেতরে গভীরতা রচনা করে।
পঁচিশ বছর পরে: চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ ভাবনা
সালমানের এই ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেখা যায় কীভাবে আজকের সিনেমা দর্শকদের মানসিকতার পরিবর্তনের সাথে সঙ্গতি রেখে নিজেদেরকে সমন্বয় করছে। এইসব উত্সবের মধ্যে একটি মিষ্টি আনন্দ যেভাবে পাঠকের মনোরঞ্জন করছে, সেখানেই যেন বলিউডের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চিন্তার মাপকাঠি।
কারণ আজকের দর্শকদের চাহিদা বাড়ছে, তথাপি বিশ্বাসের মুদ্রায় বিজয় পতাকা উড়াতে শিল্পী এবং সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে কোনও অসঙ্গতি তৈরি হলে তা যে ভুল পথে যেতে পারে, তার প্রমাণ সাম্প্রতিক ঘটনা।
