বলিউডের সাম্প্রতিক একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, সালমান খানের ‘সিংহম এগেইন’-এ ক্যামিও শুটিং বাতিল হয়েছে বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর কারণে। নির্মাতারাই মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে সালমানের শুটিং করা নৈতিকভাবে সঙ্গত নয়। ফলে দর্শকদের জন্য একটি অপেক্ষিত ক্রসওভার মিস হতে চলেছে। তবে আগামী দীপাবলিতে ‘চুলবুল পাণ্ডে’র একটি সংকেত পেতে পারেন দর্শক, যা চলচ্চিত্রের নতুন গল্প বলা ও সমাজের বাস্তবতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা হিসেবে দেখা হবে।
পরিণতির পাঁক বাঁধা: সিংহামের সাথে চুলবুল পাণ্ডের যুগলবন্দি থাকছে না!
অভিনেতা সালমান খানের ভক্তরা যাঁরা অপেক্ষা করছিলেন সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা বজিরাও সিংহম এবং চুলবুল পাণ্ডে’র সাখে একটি চমৎকার ক্রসওভার এর জন্য, তাঁদের মনে হতে পারে কিছুটা হতাশা। চলতি বছরের ২০২৪-এ সিংহাম অ্যাগেইন সিনেমার জন্য সোমাবার ১৪ অক্টোবর সালমানের ক্যামিও শুট হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কাকতালীয়ভাবে বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুজনিত কারণে শুটটি বাতিল হয়েছে।
অভিনেতা এবং সৃষ্টিকারীদের মধ্যে অস্বস্তি
সূত্র থেকে জানা গেছে, মুম্বাইয়ের গোল্ডেন টোবাকোতে একটি দিনব্যাপী সাক্ষাৎকারের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু বাবা সিদ্দিকির আকস্মিক মৃত্যুর কারণে সেটি বাতিল করতে বাধ্য হন নির্মাতারা। রোহিত শেট্টি এবং অজয় দেবগন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, সালমান খানের শুটিংয়ের জন্য অনুরোধ করা অনুভূতি সংবেদনশীল হবে। সেই কারণে ছবির শুটিংয়ের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশ
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সালমান খানের অংশগ্রহণ না থাকলেও, কোন একটি পোস্ট-ক্রেডিট দৃশ্যে চুলবুল পাণ্ডের পিছনের দিকের শট রাখা হতে পারে, তবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। ধরা যাক, সালমান খান দেহকারের মৃত্যু কেবল মাত্র একটি ছবি নয়, বরং এটি আমাদের সমাজের মানসিকতা ও অভিনয়শিল্পীদের জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে, তার একটা উদাহরণ।
বলিউডের পাঁক বাঁধা পরিবেশ এবং প্রত্যাশার চাপ
যাঁরা জানেন না, সালমান খান সিংহাম অ্যাগেইনে ক্যামিও করার জন্য রাজি হয়েছিলেন শুধুমাত্র অজয় দেবগন ও রোহিত শেট্টির প্রতি তার ভালবাসা থেকে। কিন্তু পরিস্থিতি যে কোন দিকে মোড় নেয়, তা সিনেমা নির্মাণের জগৎকে ঘিরে বরাবরই অদ্ভুত। গতকাল, অভিনেতা, নির্মাতারা এবং ভক্তদের প্রত্যাশা রক্ষা করার মাঝে এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন।
বিনোদনের আঙ্গিনায় নৈরাজ্য?
এখন প্রশ্ন উঠছে, চুলবুল পাণ্ডের পিছনের শট আসলে ভক্তদের কতটা সন্তুষ্ট করতে পারবে? আর দীপাবলিতেও ‘সিংহাম অ্যাগেইন’ সিনেমাটি বড় পর্দায় উঠে এলে দর্শকদের প্রত্যাশা কীভাবে পূর্ণ হবে? এই আবেগঘন পরিস্থিতি শুধু একটি সিনেমার প্রচারণার অংশই নয়, বরং আমাদের সমাজের মানসিকতার এক প্রতিবিম্ব।
চলচ্চিত্র শিল্পের অনিশ্চয়তা
বলিউডের বর্তমান পরিস্থিতি বোঝা সহজ নয়। একটি মৃত্যু ঘটলে সংস্কৃতি, দর্শন এবং পেশাগত অঙ্গনের উপর তার প্রভাব পড়ে। সেদিকে লক্ষ্য করা জরুরি যেনো আমাদের চলচ্চিত্রের শিল্পীরা সঠিক মানসিকতায় কাজ করতে পারেন। এহেন পরিস্থিতিগুলো নিয়ে ভাবনা-চিন্তা প্রয়োজন যেনো সৃজনশীলতা এবং মানবিকতা একসাথে চলে।