বলিউডের আকর্ষণীয় ডুয়াল ক্ল্যাশের মধ্যে, অজয় দেবগণের “সিংঘাম এগেন” এবং অনীশ বাজমির “ভুল ভূলাইয়া ৩” দীপাবলির দিন ১ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে। উভয় নির্মাতা শোরুম ও স্ক্রিনগুলোতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করছেন। তবে ২২ নভেম্বর আসছে “নাম”, যা ২০ বছরেরও বেশি সময় পর মুক্তি পাচ্ছে; এটি অজয় এবং অনীশের তৃতীয় চলচ্চিত্র। এই সিনেমা, যা প্রথমে “বেনাম” শিরোনামে প্রস্তুত ছিল, সামাজিক এবং শিল্পগত পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যেখানে দর্শকদের পরিবর্তিত রুচি ও প্রতীক্ষার অন্তর্দৃষ্টি প্রকাশ পায়।
অতীত থেকে আজকের আলোচনায়: বলিউডের সিনেমার টানাপড়েন
নায়ক অজয় দেবগন এবং পরিদর্শক আনিস বাজমীর দুটি নতুন সিনেমা “সিংঘাম এগেইন” এবং “ভূল ভুলাইয়া 3” আগামী ১ লা নভেম্বর দীপাবলীতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো, দু’টি সিনেমার মধ্যে গালাগাল চলছে এবং তারা একে অপরের শো এবং স্ক্রীনের জন্য লড়াই করছে। এই বৃহৎ সংঘর্ষের চার সপ্তাহ পরে, দু’জনের কিছু বিখ্যাত কাজ “নাম” সিনেমা মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ সকালে এই চমকপ্রদ ঘোষণা এসেছে।
অযোধ্যার চলচ্চিত্র ইতিহাসের পুনর্জন্ম
এটি অজয় এবং আনিসের তৃতীয় চলচ্চিত্র, যা “পিয়ার টু হোনা হি THA” (১৯৯৮) এবং “দেওয়াঙ্গী” (২০০২) এর পরের একটি কাজ। এই সিনেমাটি ২০০৪ সালে শুটিং করা হয়েছিল এবং এর মুক্তির কথা ২০১৩ সালে উঠেছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। সিনেমাটির নাম প্রথমে ছিল “বেনাম” এবং পরে “নাম” হিসেবে পরিবর্তিত হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া প্রথমে এই ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন, কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তাকে সামীর রেড্ডির দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
মিউজিকের সুরে নতুন মোড়
হিমেশ রেশামিয়া সিনেমার সঙ্গীত তৈরি করেছেন এবং এতে ভূমিকা চাওলা ও অন্যান্য শিল্পীরা রয়েছেন। এই সিনেমার প্রযোজক ডিনেশ প্যাটেল, যিনি অজয় দেবগনকে “ফুল অউর কাঁটে” (১৯৯১) সিনেমায় একটি বিরতি দিয়েছিলেন। এরপর এই প্রযোজক “সাজন কি বাহোনে” (১৯৯৫) এবং তারপর “নাম” তৈরি করেন।
একটি অতীতের সঙ্গে ভবিষ্যতের মিলন
বিশেষভাবে, “নাম” মুক্তি পাচ্ছে ২২ নভেম্বর, ঠিক সেই দিন, যখন অজয় দেবগনের প্রথম চলচ্চিত্র “ফুল অউর কাঁটে” মুক্তি পেয়েছিল ৩৩ বছর আগে। এটি আনিস বাজমীর দ্বিতীয় দেরিতে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। ২০২০ সালে, প্রচারিত হয়েছে যে “ইটস মাই লাইফ” সিনেমাটি সরাসরি টেলিভিশনে মুক্তি পায়।
সিনেমার প্রত্যাশার পেক্ষাদৃষ্টি
২০১৯ সালে, আনিস বাজমী একটি ছবি শেয়ার করেন, যেখানে তিনি অজয় দেবগনের সাথে শুটিং করছেন সুইজারল্যান্ডের snowy অঞ্চলে। তিনি বলেন, “আমি আশা করি একদিন এই সিনেমাটি মুক্তি পাবে এবং আপনারা সবাই এটি দেখবেন।” পরিশেষে, প্রায় দুই দশক পর, তার সেই আশা এবার সত্যি হতে যাচ্ছে।
সমাজে সিনেমার প্রভাব
এই ঘটনাগুলি আমাদের অবশ্যই ভাবায়, সিনেমা ব্যবস্থার বর্তমানে কি অবস্থা? আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের এই সবান্ধব পদ্ধতি দিয়ে সামাজিক প্রতিফলন কিভাবে ঘটে? দর্শকদের পরিবর্তনশীল পছন্দ ও আদর্শ এখন স্থায়ীভাবে সিনেমার গল্প বলার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে।
একটি নতুন যুগের সূচনা
অতীতের সিনেমাগুলি থেকে এখনকার সিনেমা যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটিই সমাজের মূল্যবোধ এবং চাহিদার প্রতিফলন ঘটায়। বলিউড এখন যে রূপ নিচ্ছে, তা আমাদেরকে সমাজের অন্দরের সাথে গভীরভাবে যুক্ত করে। অজয় দেবগন এবং আনিস বাজমীর নতুন সিনেমাগুলি সত্যিই সেই নতুন যুগের সূচনা করবে, যেখানে গল্প, গঠন এবং চরিত্র সহানুভূতির সঙ্গে উপস্থাপিত হবে।
