বাংলা সঙ্গীতের জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনার সূচক হিসেবে 67তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস-এর মনোনয়ন ঘোষণা হয়েছে। রিকি কেজ, আনুশকা শঙ্কর, এবং ভারতীয় শিল্পী বলিরাজশ্রী ভেঙ্কোপালসহ বিভিন্ন শিল্পী এবারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এরা নতুন দিগন্তের সূচনা করে সঙ্গীতাঙ্গনে সমৃদ্ধি নিয়ে আসছেন, যা আমাদের চলচ্চিত্র এবং সঙ্গীতের সম্পর্ককে নতুন করে ভাবানোর সুযোগ তৈরি করছে।
রবীন্দ্রনাথের বৈশাখী বাণী: সঙ্গীতের আসরে বলিউডের উদাহরণ
দেখে নিন, সঙ্গীত জগতের দিগন্তে আর একবার অনন্য পরিচায়ক হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন ভারতীয় শিল্পীরা। 67তম গ্র্যামি পুরস্কারের মনোনয়ন অনুষ্ঠানে ঝড় তুলেছে ভারতের সঙ্গীত। এ বছর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ও নবীন শিল্পীকে সম্মানিত করা হয়েছে, যা ভারতীয় সঙ্গীতের জন্য এক উজ্জ্বল অধ্যায় গঠন করবে। শীর্ষে আছেন রিকি কেজ, অনুষ্কা শঙ্কর, বরিযাশ্রী ভেঙোপাল আর অন্যান্য অনেকের নাম।
রিকি কেজের অসাধারণ উপস্থিতি
রিকি কেজ, যিনি দুই বার গ্র্যামি জিতেছেন, তাঁর নতুন অ্যালবাম “Break of Dawn” এর জন্য শ্রেষ্ঠ নিউ এজ, অ্যাম্বিয়েন্ট, বা চ্যান্ট অ্যালবামের আসরে মনোনীত হয়েছেন। এটি তাঁর দলের তৃতীয় মনোনয়ন, যা প্রমাণ করে তাঁর আগের দুই বিজয় (২০২২ সালে “Divine Tides” এবং ২০২৩ সালের অডিও সংস্করণ) কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
অনুষ্কা শঙ্করের নতুন অধ্যায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীতজ্ঞ ও সীতা শিল্পী অনুষ্কা শঙ্করও সংগ্রামী হচ্ছেন, কারণ তিনি তাঁর অ্যালবাম “Chapter II: How Dark It Is Before Dawn” এর জন্য মনোনিত হয়েছেন। তিনি ব্রিটিশ শিল্পী জ্যাকব কোলিয়ারের সঙ্গে গান “A Rock Somewhere” এর জন্য দ্বিতীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এই গানে বেঙ্গালুরুর গায়িকা ও বাঁশি বাজানো শিল্পী বরিযাশ্রী ভেঙোপালও রয়েছেন, যার এটি প্রথম গ্র্যামি মনোনয়ন। ভেঙোপালের উদ্ভাবনী প্রতিভা সঙ্গীত জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গ্র্যামি পুরস্কার আয়োজনের অপেক্ষা
গ্র্যামি পুরস্কার অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো.কম আরেনায়। ভারতের সঙ্গীত শিল্পীরা কিভাবে বিশ্ব সঙ্গীতের অঙ্গনে নিজেদের স্থান তৈরি করছেন, তা নিয়ে বিশাল আলোচনা চলছে। বর্তমান বলিউডের ছবি ও গল্প বলার গতিপ্রকৃতির মধ্যে কি পরিবর্তন এসেছে? এ নিয়ে সমাজে অনেক প্রশ্ন উঠছে।
নতুন পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ
এই বাজারে শুধু মুখ্য তারকারা নয়, বরং অবহেলিত শিল্পীদের কথাও শুনতে হবে। বর্তমানের সমাজ থেকে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনগুলি এবং আমাদের মনস্কতার প্রতিফলন কিভাবে হচ্ছে, তা নিয়ে একবার ভাবা প্রয়োজন। বলিউডের দিক থেকে সমাজিক প্রভাব কী, এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিত্ব উন্নয়নশীল বাক্যের সঙ্গে কিভাবে মিলিত হচ্ছে, এ বিষয়ে আরও গভীর আলোচনা দরকার।