বলিউডের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে “সিঙ্গাম এগেন” সিনেমা আবার শিরোনামে উঠে এসেছে, যেখানে সালমান খানের কামব্যাক এর দুঃখজনক উধাও হওয়া সত্ত্বেও, অক্টোবর ৭ তারিখে ২০০০ ভক্ত ও সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ট্রেলার মুক্তির খবর এসেছে। ছবিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিনিট, তবে সেন্সরের নির্দেশনায় এটি পরিবর্তিত হতে পারে। রোহিত শেঠির পরিচালনায় এই সিনেমা দিল্লির দীপাবলিতে মুক্তির জন্য প্রস্তুত। ছবির সঙ্গে জড়িত সুপারস্টারদের কার্যক্ষমতা আসলে সিনেমার চিত্রনির্মাণের উপরে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটি দেখার বিষয়।
বলিউডের দুনিয়ায় ‘সিংঘাম এগেইন’ এর ঝড়ো হাওয়া
বৃহত্তর বলিউড সংবাদপত্র ‘বলিউড হাঙ্গামা’ সম্প্রতি এক বৃহত্তম বহুলির শেষের চিত্র নিয়ে প্রবাহিত করেছে। যা আরো উদ্বেগজনক হলেও সত্যি, সালমান খানের বড় কেমিয়ো শুটিং করা সম্ভব হবে না। রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকের মৃত্যুজনিত কারণে এই ঘটনার পরিণতি।
অবশেষে, অক্টোবরে ৪ তারিখে, আমাদের সূত্র বলছে যে ট্রেলারটি ৭ অক্টোবর নিটা মুখেশ আম্বানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ২০০০ ফ্যান এবং সাংবাদিকের উপস্থিতিতে মুক্তি পাবে। কিছুদিন পরে জানা গেল, ‘সিংঘাম এগেইন’ এর ট্রেলারটি বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ হতে চলেছে।
নতুন খবর: জানাচ্ছে সিংঘাম এগেইনের দৈর্ঘ্য
এখন আমাদের কাছে নতুন একটি প্রতিটি আকর্ষণীয় খবর এসেছে। একটি সূত্র বলছে, “নির্মাতারা ব্যস্ততার মূলে কেন্দ্রীয় ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডে (সিবিএফসি) ছবিটি জমা দিয়েছে। ছবির দৈর্ঘ্য প্রাথমিক জমা দেওয়ার সময় ১৫০ মিনিট বা ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
সিবিএফসির পরীক্ষণ কমিটি এই সপ্তাহে ছবিটি দেখে উপযুক্ত সার্টিফিকেট দিবে। ছবির চূড়ান্ত দৈর্ঘ্য নির্ভর করবে সিবিএফসি কর্তৃক জিজ্ঞাসিত কাট এবং সংযোজনের উপর। সূত্র বলছে, “যদি তারা কোনো দৃশ্য কাটতে বলে, ছবির দৈর্ঘ্য কমবে। যদি অতিরিক্ত ডিসক্লেইমার সংযোজন করতে বলেন, তাহলে রানটাইম বাড়বে।”
রোহিত শেট্টির নির্দেশনায় একটি ব্লকবাস্টার
রোহিত শেট্টির পরিচালনায় ‘সিংঘাম এগেইন’ পুলিশ কেন্দ্রিক এই ছবির মোটামুটি এক অসাধারণ গল্প হাজির করবে। এতে অভিনয় করছেন অজয় দেবগণ, অক্ষয় কুমার, রণবীর সিং, করিনা কাপূর খান, দীপিকা পাড়ুকোন, টাইগার শ্রফ, অর্জুন কাপূর এবং জ্যাকি শ্রফের মতো বিশিষ্ট তারকারা। ছবিটি দীপাবলীতে, অর্থাৎ ১ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
সিনেমা জগতের উপর একটি প্রতিফলন
বহু ক্ষেত্রেই এই চলচ্চিত্রের মুক্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, গ্ল্যামার ও বাদ্যযন্ত্রের দুনিয়ায় আমাদের প্রত্যাশার প্রকাশ। চলচ্চিত্রগুলো শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং সমাজের চেতনায় পরিবর্তন আনার মাধ্যম। তাই ‘সিংঘাম এগেইন’ কেবল একটি ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র নয়, সামাজিক কম্পনের মধ্যেও একটি প্রতিবিম্ব।
স্পষ্টত, বর্তমান বলিউডের প্রেক্ষাপটে ‘সিংঘাম এগেইন’ এই বিষয়গুলি সামনে আনার মাধ্যমে দর্শকদের মনে প্রশ্নগুলোর ঝড় তুলবে – আসলে আমরা কি ধরনের সিনেমা চাই? এর উত্তর হয়তো ‘সিংঘাম এগেইন’ দেয়ার চেষ্টা করবে।