বলিউডের বর্তমান পরিস্থিতি আবার একবার চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠেছে। বিরল ঘটনা, যেখানে পূজা এন্টারটেইনমেন্টের ভাসু ও জ্যাকি ভাগনানি পরিচালক আলী আব্বাস জাফারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন টাকা স্বেচ্ছাচারিতার কারণে। তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, আবু ধাবি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রদত্ত তহবিল ভেকষিত করা হলো চলচ্চিত্র ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ এর কাজে। এর ফলে পুরো ইন্ডাস্টির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে যখন চলচ্চিত্রটির সাফল্যের আলোচনা দুর্বল। দর্শকদের ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশার মাঝে এ ধরনের ঘটনাসমূহ নতুন করে ভাবনায় ফেলছে সবাইকে।
বলিউডের বিভ্রান্তি: রূপালি পর্দার পেছনে লুকায়িত ধূসর কাহিনী
ভাসু ভাগ্নানি এবং জাক্কি ভাগ্নানি, পুরস্কৃত প্রযোজক প্রতিষ্ঠান পূজা এন্টারটেইনমেন্টের প্রতিনিধিরা, চলচ্চিত্র নির্মাতা আলি আব্বাস জাফরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাদের অভিযোগ, ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ সিনেমার প্রযোজনাকালে অর্থনৈতিক দুনীতে এক অসমঝোতা হচ্ছে। অভিযোগ পৌঁছেছে ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে।
অর্থ লোপাটের অভিযোগ
এই অভিযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দু হল, আলি আব্বাস জাফরের বিরুদ্ধে আবু ধাবি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রণোদনা (সাবসিডি) অর্থের অপ্রযুক্তি। ভাগ্নানিরা দাবি করেছেন, এই অর্থ সিনেমার নির্মাণে সাহায্য করার জন্য ছিল, কিন্তু জাফর নিউ প্রযোজনাগত সুবিধার পরিবর্তে এটি নিজের অনিচ্ছাকৃত কাজে ব্যবহার করেছেন। এই অভিযোগটি বলিউডে একটি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ পূজা এন্টারটেইনমেন্ট পশ্চিমী সিনেমা নির্মাণে একটি বড় ভুমিকা রাখে।
অর্থ না দেওয়ার রটনা
মামলা দায়েরের পর থেকেই নির্মাতাদের বিরুদ্ধে অর্থ না দেওয়ার খবরগুলো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এই খবরগুলি অনুসৃজন শুরু করে কিছুদিন পরেই, যখন তারা বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ পেশ করে। যদিও এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তবে আশা করা হচ্ছে যে আলি জলদি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবেন।
বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া: দর্শকের অম্লমধুর অভিজ্ঞতা
‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ চলচ্চিত্রটি দর্শকদের এবং সমালোচকদের কাছ থেকে নেউট্রাল প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। যেহেতু আলি আব্বাস জাফর ইয়RF এর সাথে কাজ করা থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে কোন সফল চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারেননি, তাই এটি তার ক্যারিয়ারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে তিনি একটি স্বাধীন নির্মাতা হিসেবে সাফল্যের খোঁজে।
চলচ্চিত্র জগতে বৈপরীত্য
এখন প্রশ্ন হলো, বলিউডে কি নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি হয়েছে? আলি আব্বাস জাফরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা শিল্পের অন্যান্য সদস্যদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে। প্রযোজনা সংস্থাগুলির মধ্যে কাজের একটি নতুন ধারা দেখা যাচ্ছে, এবং শাহরুখ খান, কঙ্গনা রানাউত ও অন্যান্য তারকা সম্প্রতি সাফল্যের সাথে থাকা চলচ্চিত্রগুলিকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন।
শেষ কথন: রূপালী পর্দার বিকাশ এবং সমাজ
বলিউড শুধু শিল্প নয়, এটি সমাজের একটি প্রতিচ্ছবি। কিন্তু যখন এই প্রতিচ্ছবি নৈতিক বিপর্যয়ের কারণে অবসন্ন হয়, তখন প্রশ্ন উঠতে থাকে—এর জন্য আমরা প্রস্তুত কি? কি বর্তমান বলিউডের কাহিনী? এটি সময় বলে দেবে।
