“বলিভুডের নৃত্যশিল্পীদের বিশ্বাস ভঙ্গ: সংকটে রেমো-লিজেলের জুটি, গল্পের মোড় ও চরিত্রের সঙ্কটের মাঝে!”

NewZclub

“বলিভুডের নৃত্যশিল্পীদের বিশ্বাস ভঙ্গ: সংকটে রেমো-লিজেলের জুটি, গল্পের মোড় ও চরিত্রের সঙ্কটের মাঝে!”

মহারাষ্ট্রের থানেতে বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী রেমো ডি’সুজা এবং তার স্ত্রী লিজেল ডি’সুজার বিরুদ্ধে ১১.৯৬ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। একটি নাচের দলের প্রতি প্রতারণার মাধ্যমে পুরস্কার অর্থ হাতিয়ে নিতে অভিযুক্ত হয়েছেন তারা। এই ঘটনায়, উচ্চপ্রোফাইলের এই জুটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলছে, যা বলিউডের মঞ্চে এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। শিল্পের গোড়ার দিকে স্পষ্টীকরণের প্রয়োজনীয়তা এবং দর্শকদের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নও সামনে এসেছে।

“বলিভুডের নৃত্যশিল্পীদের বিশ্বাস ভঙ্গ: সংকটে রেমো-লিজেলের জুটি, গল্পের মোড় ও চরিত্রের সঙ্কটের মাঝে!”

বলিউডের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে: রেমো ডি’সুজার বিরুদ্ধে ১১.৯৬ কোটি টাকার প্রতারণার মামলা

মহারাষ্ট্রের থানে জেলার মেরা রোড থানায় প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী রেমো ডি’সুজা এবং তাঁর স্ত্রী লিজেল ডি’সুজার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা একটি নৃত্য গোষ্ঠীর ১১.৯৬ কোটি টাকার পুরস্কার অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এই মামলায় রেমো, তাঁর স্ত্রী এবং পাঁচজন অন্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিস্তারিত

২৬ বছর বয়সী একজন নৃত্যশিল্পীর অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬ অক্টোবর এই মামলা দায়ের হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ থেকে জুলাই ২০২৪ এর মধ্যে রেমো, লিজেল এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা একটি টেলিভিশন শো প্রতিযোগিতায় জিতনো পুরস্কারের অর্থ ভূয়া দাবি করেন। প্রথম তথ্য রিপোর্ট (এফআইআর) অনুযায়ী, অভিযুক্তরা গোষ্ঠীর মালিক হিসেবে দাবী করে ১১.৯৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

অন্য অভিযুক্তরা

অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ওমপ্রকাশ শঙ্কর চৌহান, রোহিত যাদব, ফ্রেম প্রোডাকশন কোম্পানি, বিনোদ রাউত (একজন পুলিশ কর্মকর্তা), এবং রমেশ গুপ্ত। ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারার অধীনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৬৫ ধারায় (জালিয়াতি) এবং ৪২০ ধারায় (প্রতারণা) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আইনগত ব্যবস্থা এবং তদন্ত

একজন সরকারি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত চলার সময়, রেমো ডি’সুজা এবং লিজেল ডি’সুজার মামলায় সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এই উচ্চ-মার্জিনের দম্পতির জন্য আইনি প্রক্রিয়া কিভাবে চলবে, তা দেখার বিষয়।

প্রফেশনাল ফ্রন্টে রেমোর প্রস্তুতি

এদিকে, রেমো আশা করছেন তার আগামী সিনেমা “বি হ্যাপি” মুক্তি পেতে। এই সিনেমাটি প্রাইম ভিডিওতে প্রিমিয়ার হবে এবং এটি রেমোর পরিচালনায় এবং লিজেল ডি’সুজার প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে। সিনেমায় অভিনয় করছেন অভিষেক বচ্চন, ইনায়াত ভার্মা, নোরা ফাতেহি, নাসার, জোনি লিভার এবং হারলিন সেথি।

সিনেমার দুনিয়ায় বিতর্কের নতুন মাত্রা

রেমো ডি’সুজার এই মামলার পিছনে কি কোনও গভীর সামাজিক প্রভাব আছে? বলিউডের এই বিতর্ক মিডিয়ার সামনে একাধিক প্রশ্ন উত্থাপন করছে, যেমন বিনোদন শিল্পের ক্রমবর্ধমান জালিয়াতি, শিল্পীদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব এবং প্রতিভাবানদের সঙ্গে করা হচ্ছে অবিচার।

এই ঘটনার পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমান বলিউডের পরিবেশ দিন দিন কঠিন হচ্ছে। দর্শকরা বিনোদনের চেয়ে বিশ্বাসযোগ্যতাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আসুন আশা করি যে, এই উল্লিখিত বিষয়গুলো যেন শীঘ্রই নিয়মিত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

মন্তব্য করুন