বিগ বস ১৮-এর একটি বিতর্কিত অধ্যায় শেষ হয়েছে, যেখানে গণমাধ্যম এবং PETA গাধা গাধারাজের উপস্থিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সলমন খানের কাছে PETA একটি উন্মুক্ত চিঠি পাঠায় যা প্রাণীর প্রতি নির্মমতা ও তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই ঘটনায় দর্শকদের প্রতীকী solidaritiy-এর ফলে গাধাকে হটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা চলচ্চিত্রের প্রাণী অধিকার এবং অঙ্গীকারের ক্ষেত্রে সমাজের উপলব্ধি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। অভিনেতাদের সাথে এই যুদ্ধের মাধ্যমে মানবিক দায়িত্বের পরিচয় মিলেছে।
বিগ বস ১৮: মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও পশুর অধিকার, নাকি কেবল শো-ব্যবসার নতুন কৌশল?
বাংলা সিনেমা ও টেলিভিশন জগতের গতিবিধি নিরবচ্ছিন্ন। তবে সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ঘটনা আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে – বিগ বস ১৮ অনুষ্ঠানে একটি গাধা, যার নাম গাধারাজ, উপস্থিত হয়ে বাধ্যতামূলকভাবে সবার মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। দর্শকরা এই গাধার উপস্থিতির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাথে সাথে, প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা একাধিক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে PETA, শোয়ের হোস্ট সালমান খানের বিরুদ্ধে একটি খোলা চিঠি লিখেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ফলে, অনুষ্ঠানটির নির্মাতারা গাধাকে বিগ বস হাউস থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিগ বসের নির্মাতাদের তরফ থেকে গাধারাজের বের করে দেওয়ার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করা হয়েছে, যেখানে দর্শকরা PETA-র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছে, “আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে বিগ বস টিম আমাদের জানিয়েছে যে তারা গাধাকে মুক্তি দিয়েছে। এই সাফল্য সবার সংহতির ফল, যারা এ যুদ্ধে আমাদের সমর্থন করেছেন। ধন্যবাদ তাদেরকে, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং দেখিয়েছেন যে সহানুভূতি এবং কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবে পরিবর্তন আনতে পারে।”
PETA এর নিবেদন: “পশুবিদ্রোহ” নয়, বরং দায়িত্বশীলতার আহ্বান
PETA এর তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, বিগ বসের নির্মাতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় ছিল পশুটিকে অবৈধভাবে যত্নকে অস্বীকার করা। তারা দাবি করেছে যে, শুধু একটি স্থানে আটকানো ছাড়া, গাধা প্রায়ই আতঙ্কিত হয় বহু আলো ও শব্দে। সালমান খানের প্রতি চিঠিতে তারা অনুরোধ করেছেন যে, তিনি নিজের সহানুভূতির দিকটি বিবেচনা করুন এবং রিয়েলিটি শো থেকে সকল প্রকার পশুদের দূরে রাখার জন্য পদক্ষেপ নিন, যা তাদের স্বাস্থ্য এবং আবাসের বিষয় থেকে প্রত্যক্ষ সংক্রান্ত।
তারকা ও বিতর্কের মেলবন্ধন
এই বছর বিগ বস ১৮ এর আসরে প্রচুর সেলেব্রিটিদের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে, যার মধ্যে টেলিভিশন অভিনেতা যেমন ভিভিয়ান ডি সেনা, চহাত পাণ্ডে, করণ বীর মেহেরা, অ্যালিস কৌশিক, এশা সিং সহ অনেকেই রয়েছেন। এবারে তারা কেবল বিনোদন নয়, বরং সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে আসেন যে, কিভাবে মিডিয়া আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের চলচ্চিত্রের এই বিপ্লব কি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য, নাকি এটি সমাজের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন সৃষ্টি করতে পারে? পিটা’র এই অভিযানের লক্ষ্য কি শুধুমাত্র বিনোদন জগতের সমস্যা সমাধানে নাকি এটি আমাদের মানসিকতার পরিবর্তনেরও একটি ইঙ্গিত? বর্তমানের ছবি-শিল্পে যে ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, সেটি আমাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বের সমাজ তৈরিতে সিনেমা, টেলিভিশন, এবং মিডিয়া কীভাবে ভূমিকা রাখছে, এবং কিভাবে আমাদের দর্শকের পছন্দের পরিবর্তন ঘটছে, সেটাও ভাবার বিষয়। চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন গঠনমূলক আঁকার মাধ্যমে, বর্তমানে আমাদের সমাজকে কি দিকনির্দেশনা দিতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।