সলমন খানের চুলবুল পাণ্ডের ক্যামিও ‘সিংঘাম অ্যাগেইনে’ ইতিহাসে অন্যতম সেরা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দু মিনিটের এই সিকোয়েন্স সিনেমা প্রেমীদের হৃদয়ে ঝড় তুলবে, যা রোহিত শেট্টির পুলিশ ইউনিভার্সের নতুন অধ্যায়ের দ্বার উন্মোচন করবে। সলমন নিজে এক সুপারহিরোর মতো, যা দর্শকদের জন্য নতুন আকর্ষণ নিয়ে আসবে। সিংঘাম অ্যাগেইন ১ লা নভেম্বর, ২০২৪ মুক্তি পাচ্ছে, এবং পুরো বলিউডের দায়িত্ব নিয়ে নতুন কাহিনীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সালমান খানের মহাকাব্যিক কামব্যাক: ‘সিংহম অ্যাগেইন’-এ চুলবুল পাণ্ডে
সালমান খান এক সপ্তাহ আগে ছবির শুটিং করতে গিয়ে চুলবুল পাণ্ডের চরিত্রে একটি ক্যামিও করেছেন রোহিত শেঠি পরিচালিত ‘সিংহম অ্যাগেইন’-এ। এই ছবির পোস্ট-ক্রেডিট দৃশ্যে তিনি যোগ দিচ্ছেন অজয় দেবগণের বাজিরাও সিংহামের সঙ্গে। আমাদের উচ্চাকাঙ্খী সূত্রগুলো বলছে, এই ক্যামিওর সময়কার শুটিংয়ে অসাধারণ কিছু ইনসাইট শেয়ার করেছে, যা দর্শকদের জন্য হবে এক্সাইটিং।
সূত্র অনুযায়ী, চুলবুল পাণ্ডের ক্যামিও হবে সালমান খানের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্যামিও। “এটি একটি পূর্ণাঙ্গ 2 মিনিটের দৃশ্য, যা ডাবাং খান সালমানকে রোহিত শেঠির পুলিশ ইউনিভার্সে পরিচয় করিয়ে দেবে। এতে তাঁর উপস্থাপনায় বিশালতা থাকবে, এবং পর্দায় তাঁর আভা সিনেমার দর্শকদের মধ্যে সিটি-মার সাড়া জাগাবে,” বলছে সূত্রটি বলিউড Hungama-কে।
বৃহদাকার বিপরীতে সুপারহিরো
সূত্রটি আরো যোগ করেন, “এটি অক্ষয় কুমারের ‘সূর্যবংশী’ এবং HRITHIK ROSHAN এর ‘টাইগার 3’ এর ক্যামিওর মতোই। যদিও এটি একটি পোস্ট-ক্রেডিট সিকোয়েন্স, তবে এটি টিকিটের দামে সম্পূর্ণ মূল্যবান। দর্শকরা চুলবুল পাণ্ডেকে স্বাগত জানাবে। এই সিকোয়েন্স আসন্ন শেঠির পুলিশ ইউনিভার্সের সময়সীমার ভিত্তি স্থাপন করবে। চুলবুল পাণ্ডে এবং সিংহমের মিলন অবশেষে ঘটছে।”
শিল্পী, সমাজ এবং সিনেমা
‘সিংহম অ্যাগেইন’ ১ নভেম্বর, ২০২৪ এ বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে। কিন্তু, প্রশ্ন হলো—সালমান খানের মতো প্রতিষ্ঠিত অভিনেতাদের ক্যামিও কি কেবল মাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে? নাকি সত্যিই এর মাধ্যমে একটি নতুন চলচ্চিত্র দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিস্থাপন হচ্ছে? বর্তমান চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি যে পরিবর্তিত হচ্ছে, তা স্পষ্ট—চরিত্র এবং গল্পের উপস্থাপনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
সামাজিক বিনোদন মাধ্যম হিসেবে সিনেমার প্রভাব অসীম। নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে কাহিনীর আদল, চরিত্রের গতিপ্রকৃতি এবং সিদ্ধি প্রদর্শন করছে সিনেমা। বানিজ্যিক ফলাফল তো নিশ্চিত—কিন্তু আমরা কি কখনো চিন্তা করেছিলাম, এই ক্যামিওগুলো আসলে আমাদের সমাজে কী পরিমাণ প্রভাব ফেলছে?