বহুল প্রত্যাশিত সিনেমা ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ নিয়ে আসছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালী, যেখানে অভিনয় করছেন রণবীর কাপূর, আলিয়া ভাট ও ভিকি কৌশল। এই অ্যাম্বিশিয়াস প্রজেক্টটি মার্চ ২০২৬-এ মুক্তির জন্য নির্ধারিত। নেটফ্লিক্সের সঙ্গে রেকর্ড পরিমাণ চুক্তি ও লিড অভিনেতাদের পারিশ্রমিক সিনেমার সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে, যা বলিউডের বর্তমান ধারা এবং চিত্রনাট্যের পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।
ভালোবাসা ও যুদ্ধ: সঞ্জয় লীলা বানসালি, অভিনয়ের মহান নাটক এবং ভাসমান চলচ্চিত্রের পরিবর্তন
বর্ষখ্যাত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি তাঁর পরবর্তী যুগান্তকারী পর্ব নাটক “ভালোবাসা ও যুদ্ধ” এর জন্য একক উৎপাদনে উঠতে চলেছেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন রণবীর কাপূর, আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশল। আগামী মাসের শুরুতে ছবিটির উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বানসালির এই একক উৎপাদনের সিদ্ধান্ত এসেছে তাঁর ওয়েব সিরিজ “হেরামণ্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার” সফলভাবে প্রকাশের পরে। এই সাফল্যের উত্তাপে বানসালি নেটফ্লিক্সের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরবর্তী প্রদর্শনী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
বক্স অফিসে আসা অর্থের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চুক্তি
মিড-ডে-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, শিল্পের সূত্র অনুযায়ী, নেটফ্লিক্স “ভালোবাসা ও যুদ্ধ” এর স্ট্রিমিং অধিকারগুলোর জন্য ১৩০ কোটি টাকার বেস মূল্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ছবির বক্স অফিস পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেটফ্লিক্স চুক্তির পাশাপাশি, বানসালির একটি লাভজনক সঙ্গীত অধিকার চুক্তি সারোগামার সঙ্গে ৩৫ কোটি টাকার জন্য চূড়ান্ত হয়েছে। আরও একটি উল্লেখযোগ্য চুক্তির জন্য বানসালি একটি প্রধান টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে উপগ্রহ অধিকার নিয়ে অগ্রগতি করছেন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
বিশাল বাজেট এবং অভিনয়কারীদের ব্যবসায়িক রূপান্তর
এই মহৎ পর্ব নাটকের উৎপাদন বাজেট প্রায় ২০০ কোটি টাকা অনুমান করা হচ্ছে, যার মধ্যে প্রধান অভিনেতাদের পারিশ্রমিক অন্তর্ভুক্ত নয়। আকর্ষণীয়ভাবে, রণবীর কাপূর, আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশল reportedly বানসালির সঙ্গে পিছনের অংশে চুক্তি বাছাই করেছেন, যার মানে তাঁদের ফিস ছবির প্রদর্শনের পারফর্মেন্সের সঙ্গে সম্পর্কিত হবে। বিশেষ করে রণবীর কাপূর গুণগত রেভিনিউয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিশ্চিত করেছেন।
ছবির মুক্তির তারিখ এবং দর্শকদের প্রতিক্রিয়া
“ভালোবাসা ও যুদ্ধ” মুক্তির তারিখ মার্চ ২০২৬-এ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির এই নতুন প্রকল্পটি বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে। ব্যতিক্রমী অভিনয় এবং নিখুঁত নির্মাণশৈলী নিয়ে সচেতন দর্শকরা এখন নতুন গল্প বলার ধরন এবং সমাজে সিনেমার প্রভাব নিয়ে চিন্তাশীল।
চলচ্চিত্র শিল্পের পরিবর্তনশীল চিত্র
এখনো পর্যন্ত, সিনেমার মাধ্যমে সমাজের নানা দিক প্রতিফলিত হয় এবং দর্শকদের মনোজাগতিক চাহিদার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলবে। “ভালোবাসা ও যুদ্ধ” এর মাধ্যমে সঞ্জয় লীলা বানসালি কি পুনর্গঠিত সমাজের সেইসব চিত্র তুলে ধরতে পারবেন? অথবা এটি কেবল একটি উচ্চ বাজেটের প্রকল্প হিসেবে থাকবে? ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র নির্মাণ শিল্পের গতিপ্রকৃতিতে কী পরিবর্তন আনবে, তা এখন দেখার বিষয়।