“তারা কি শুধু একটি পর্দার চরিত্র, নাকি বাস্তবের পেছনের কাহিনি? পালক সিন্ধওয়ানির তাজা অভিযোগের মাঝে চলচ্চিত্র জগতে দ্বন্দ্বের নতুন অধ্যায়!”

NewZclub

“তারা কি শুধু একটি পর্দার চরিত্র, নাকি বাস্তবের পেছনের কাহিনি? পালক সিন্ধওয়ানির তাজা অভিযোগের মাঝে চলচ্চিত্র জগতে দ্বন্দ্বের নতুন অধ্যায়!”

বলিউডের নাট্যজীবনের নাটকীয়তায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’র অভিনেত্রী প্যালক সিন্ধওয়ানি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে শোয়ের নির্মাতারা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করেছেন, কারণ তিনি শো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর, যখন তিনি স্বাস্থ্য ও পেশাগত বৃদ্ধির জন্য শোটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখনই নির্মাতাদের আইনগত নোটিশ প্রকাশ পায়। এই ঘটনায় বলিউডের পেশাদারিত্ব, ন্যায় এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিস্থিতির প্রশ্ন উঠে এসেছে।

“তারা কি শুধু একটি পর্দার চরিত্র, নাকি বাস্তবের পেছনের কাহিনি? পালক সিন্ধওয়ানির তাজা অভিযোগের মাঝে চলচ্চিত্র জগতে দ্বন্দ্বের নতুন অধ্যায়!”

টিভির মঞ্চে নাটকের নয়া অধ্যায়: তামাশার পেছনের গল্প

দীর্ঘতর চলতি সিটকাম “তারক মেহতা কা উল্টা চশমা” আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অভিনেত্রী পালক সিন্দবানি, যিনি এই শোয়ে সোনু ভিদে চরিত্রে অভিনয় করছেন, সম্প্রতি নির্মাতাদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেছেন। একাধিক অভিনেতার পর, পালক এই শো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে নির্মাতারা তার বিরুদ্ধে গতকাল পাঠানো আইনি নোটিসের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে উদ্যোগ নিয়েছে।

একটি একচেটিয়া সাক্ষাৎকারে, বম্বে টাইমসের সাথে কথা বলতে গিয়ে পালক সিন্দবানি জানিয়েছেন যে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগের রিপোর্ট তার পদত্যাগের পরে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, “গত ৮ই আগস্ট আমি প্রোডাকশন হাউসকে আমার সিদ্ধান্ত জানাই। তারা কিছু সময় নিয়ে বলেছিল যে আমাকে একটি অফিসিয়াল ইমেইল দেওয়া হবে যাতে আমি পদত্যাগের চিঠি পাঠাতে পারি, কিন্তু তা কখনও হয়নি। পরে কয়েক সপ্তাহে দেখি মিডিয়ায় আমার চুক্তি লঙ্ঘনের খবর এসেছে।”

তরুণদের স্বপ্ন এবং নির্মাতাদের অহঙ্কার

পালক আরও বলেন, “তারা আমার ব্র্যান্ডের পৃষ্ঠপোষকতা ও সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জানতো, কিন্তু আমি শো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলার পর তারা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।” তাঁর মতে, এই ঘটনাটি এই প্রমাণ করে যে কিভাবে একটি অভিনেত্রীর স্বাস্থ্য এবং পেশাগত উন্নতির কারণে নির্ভরশীলতা এবং কর্ম পরিবেশ খারাপ হতে পারে।

পালক সিন্দবানি বলেন, “আমি আইনি পরামর্শ নিয়েছি এবং আমার ক্যারিয়ারের জন্য সঠিক পথ অনুসরণ করতে চাই। আমি শোটি স্বাস্থ্যগত কারণে এবং পেশাগত উন্নতির জন্য ছাড়তে চেয়েছিলাম। এমনকি তারা এটি জানার পরেও, তারা আমাকে বের হয়ে যেতে দেয়নি।”

শিল্পের দুনিয়া: অভিনেত্রীর দৃঢ়তা এবং সত্যের পতন

পালকের এই ঘটনা এমন বহু অভিনেত্রীর গল্পের মতো, যারা দীর্ঘ দিন ধরে একই শোয়ে কাজ করে আসছে এবং তা থেকে বের হওয়ার সময় তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এটি কেবল অভিনেত্রীদের জন্য নয়, পুরো চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে। কর্পোরেট সংস্কৃতি এবং মানুষের মানবিকতার কোথায় যেন সংকট দেখা দিচ্ছে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, প্রকৃতপক্ষে কী ধরনের চুক্তि এই শিল্পের ভিত্তিকে সৃষ্টি করে? দর্শকদের প্রত্যাশা এবং নতুন গল্প বলার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে কতটা সংশ্লিষ্ট? পালক সিন্দবানি এবং অবশিষ্ট চলচ্চিত্র শিল্পের এই পরিস্থিতি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়, এবং সম্ভবত আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করবে।

মন্তব্য করুন