এ আর রহমান ২৯ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের পর তার স্ত্রী সাইরার থেকে আলাদা হওয়ার ঘোষণা দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে অলৌকিক সাড়া ফেলেছেন। যদিও তারা গোপনীয়তা কামনা করে একসঙ্গে এই খবরটি প্রকাশ করেছেন, কিছুতেই মেহনত করে বসবাসকারী মিডিয়ার সদর্থক ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, যার ফলে গুজব ছড়িয়েছে। এবার জল্পনার মধ্যে আইনজীবী হিসেবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রহমান বাদী হয়েছেন অপবাদ দেওয়ার জন্য, যা তার ও পরিবারের নাম নষ্ট করছে। সাংস্কৃতিক সমস্যার কথা তুলে ধরে, সন্তানদের সমর্থনে খবরটির প্রকৃত প্রভাব এবং মিডিয়ার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলা গানে ব্যথার সুর: এ আর রহমানের বিচ্ছেদের ঝড়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তোলপাড়
এ আর রহমান যখন 29 বছরের দাম্পত্য জীবনের পর স্ত্রী সাইরা থেকে আলাদা হওয়ার ঘোষণা দিলেন, তখন সার্বভৌম শ্রোতারা হতবাক। এই দম্পতি একটি যৌথ বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমের কাছে গোপনীয়তার আবেদন জানালেও, কিছু ঘণ্টার মধ্যে তাহার বিচ্ছেদের পোষ্টের পর ব্যাসিস্ট মোহিনী ডে-র একটি পোস্ট এই ঘটনাটিকে ঘিরে বিভিন্ন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এই কো-ইনসিডেন্টের কারণে অনেকেই দাবি করতে থাকে যে, ডে বিচ্ছেদের কারণ, যা তাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বাধ্য করে। তিনি এই মিথ্যা গুজবকে অস্বীকার করে এবং ব্যবহারকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ধরনের ভ্রান্ত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে।
সাংবাদিকতা এবং আইনি ব্যবস্থা: দুর্নাম স্পর্শ করে এ আর রহমানের উত্তেজনা
এখন এ আর রহমানও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং সেই সমস্ত সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যারা এই ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। রহমানের আইনজীবী দলের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয় যেখানে বলা হয়েছে যে, এই সমস্ত অভিযোগমূলক সামগ্রী যা তাদের ক্লায়েন্টের মানহানির উদ্দেশ্যে প্রচারিত হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “আমার ক্লায়েন্ট ঘৃণা সম্পৃক্ত সব সংবাদদাতাদের জানান দিচ্ছেন যে, তারা আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে অস্বীকৃত বিষয়বস্তু মুছে ফেলতে এবং 24 ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। অন্যথায়, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করা হবে,” বক্তব্যে বলা হয়েছে।
পারিবারিক সমর্থন: সন্তানের কন্ঠও সোচ্চার
আইনগত যুদ্ধের মাঝে, এ আর রহমান এবং সাইরার তিন সন্তান—খাতিজা, রাহিমা ও আমিন—তাদের পিতামাতার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন গুজব ভাইরাল হওয়ার পর, তাদের ছেলে আমিনও নিজের কন্ঠে এই রিপোর্টগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মোহিনী ডে’র প্রতিক্রিয়া: গুজবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে
এছাড়াও, এ আর রহমানের ব্যাসিস্ট মোহিনী ডে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি নোট লিখে নিজের নামের সঙ্গে এই বিচ্ছেদের গুজবকে যুক্ত করা নিয়ে বলেছিলেন, “আমি জানি ঠিক কি হচ্ছে।” এই সমস্ত ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায়, বলিউডের সংবাদমাধ্যমগুলি কতটা অস্থির হয়ে উঠেছে এবং এর প্রভাব সাধারণ মানুষের মনের উপর কতটা পড়ছে।
বাংলাদেশ বনাম বলিউড: চলচ্চিত্রের কাহিনী এবং সমাজের প্রভাব
এই ঘটনাটি আমাদের সামনে নিয়ে আসে চলচ্চিত্র শিল্পের নানান দিক—যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া, গুজব এবং গণমাধ্যমের প্রভাব এক অসাধারণ এবং দূষিত সংশ্লেষ তৈরি করে। চলচ্চিত্রের মন্ত্রমুগ্ধ সুরের মধ্যে যখন ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবনের চাপে মানুষ অসুখী হয়, তখন এই খবরগুলি সমাজে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। বলিউডের একাধিক মতো শিল্পী-কলাকুশলীদের ব্যক্তিগত জীবনের উপর মিডিয়ার আগ্রাসন সত্যিই আমাদের শঙ্কিত করে।
অতীতের তুলনায় আজকের চলচ্চিত্রের গল্প বলার ধরনে পরিবর্তন এসেছে। সময়ের সাথে সাথে গন্তব্য, চরিত্রের কম্পোজিশন এবং সমাজের বাস্তবতার প্রতি চলচ্চিত্রগুলির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে। এ আর রহমানের মতো কিংবদন্তীদের জীবনে যখন নাটকীয়তা আর গুজব প্রবাহিত হয়, তখন সেটি আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে, চলচ্চিত্র শিল্প এবং ব্যক্তিগত জীবন যেখানে একত্রিত হয়, সেখানে ফটোগ্রাফার এবং গুজব ছড়ানোকারীদের জন্য আগামীকাল অপেক্ষা করে।