মিউজিক মাস্টার AR রহমান ও সাইরা বানুর ২৯ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘোষণা বিশ্বব্যাপী ভক্তদের স্তম্ভিত করেছে। আইনজীবী ভন্দরনা শাহের মতে, বিচ্ছেদের পেছনে ‘গুরুতর আবেগগত চাপ’ রয়েছে, তবে পুনর্মিলনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। এই যুগল তিনটি সন্তানের অভিভাবকত্বের বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সাইরা বানুকে ‘অর্থলিপ্সু’ না বলা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, যা বাংলা সিনেমার সমাজে অর্থ ও সম্পর্কের জটিলতা এবং প্রেমের কাহিনির পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
রহমান-সৈরা: বিবাহসূত্রের বিচ্ছেদ কি সময়ের অভিমান?
মিউজিকের মাস্টার অর Rahman এবং সৈরা বানো তাদের জীবনের প্রায় তিনটি দশকে একসাথে থাকার পর সম্প্রতি বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। ভক্তদের জন্য এটি এক ধাক্কা। এরা উভয়েই জানিয়েছেন যে, তাদের বিচ্ছেদের পেছনে “গভীর মানসিক চাপ” কাজ করেছে। এমন অবস্থায়, তাদের আইনজীবী বন্দনা শাহ নাকি পুনর্মিলনের সম্ভাবনাকে বাতিল করেননি।
বাচ্চাদের কাস্টডি: সিদ্ধান্ত এখনও বাকি
এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে—খাতিজা, রহিমা এবং আমিন। কাস্টডি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বন্দনা শাহ জানান, “এটি এখনও নিধারিত হয়নি… কিছু সন্তান বড় হয়ে গেছেন, তারা যাঁর সঙ্গে থাকতে চান সেই স্বাধীনতা রয়েছে।”
অ্যালিমনি নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই
অ্যালিমনি নিয়ে প্রশ্ন করার সময় বন্দনা শাহ এমন কিছু বলেননি যা দিয়ে বড় অঙ্কের অ্যালিমনির সম্ভাবনা নিশ্চিত হয়। তবে তিনি সংরক্ষণ করে রেখেছেন যে সৈরা বানোকে “টাকা-পাগল” বলে গালি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি এই প্রসঙ্গে তার ক্লায়েন্টের পক্ষে সাফাই গুঁজেছেন।
পুনর্মিলনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়নি
বন্দনা শাহ জানান, “আমি বলিনি পুনর্মিলন অসম্ভব। আমি সর্বদা আশাবাদী, এবং আমি প্রেম ও রোমান্সের কথা বলি। যৌথ বিবৃতিটি স্পষ্ট, এটি ব্যথা এবং বিচ্ছেদের কথা বলে। এটি দীর্ঘ একটি বিবাহ, এবং এই সিদ্ধান্তে আসার জন্য অনেক চিন্তা হয়েছে, তবে কোথাও আমি বলিনি পুনর্মিলন সম্ভব নয়।”
তিন দশকের দাম্পত্য জীবনের কথা
অর রহমান এবং সৈরা বানো ১৯৯৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং প্রায় তিন দশক একসাথে কাটিয়েছেন। তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা এই মাসের শুরুতে ভক্তদের মধ্যে বিশাল ধাক্কা সৃষ্টি করেছে।
বাংলা সিনেমার সানে বলিউড
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের দর্শকরা বলিউডের প্রতি বিশেষ আগ্রহী। কিন্তু বলিউডের বর্তমান পরিস্থিতি সবার চোখে পড়ছে। মিউজিকের জগতের এই দুই তারকার বিচ্ছেদের খবর হাতে পেয়েই প্রমাণিত হচ্ছে, সন্তানদের কাস্টডি এবং অ্যালিমনির মতো বিষয়ের উপর গভীর দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বলিউডের নতুন প্রেমকাহিনীর প্রেরণার প্রয়োজন।
বিনোদন জগতের ওঠানামা
এই ঘটনাটি সম্প্রতি বিনোদন জগতে বেশ আলোচনা জন্মাচ্ছে। অভিনেতাদের পারফরম্যান্স, সিনেমার সামাজিক প্রভাব এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিত্বের বিষয় উপর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অ্যালাউ করা হচ্ছে। আজকাল সিনেমার গল্প এবং দর্শকদের পরিবর্তনগুলো আমাদের ভাবনাকে নতুন করে অভিযোজিত করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শক প্রতিক্রিয়া
শুধু যে সিনেমার গল্পই এখন পরিবর্তন হচ্ছে তা নয়, বরং আমরা সামাজিক মর্যাদা, প্রেম এবং বিচ্ছেদের মতো সময়োপযোগী বিষয়গুলোতে নতুনভাবে আলোকপাত করছি। কিছু দর্শক বলছেন, “প্রেমের এই বিচ্ছেদ ছাড়াও, আমরা সমাজের অন্যায়গুলো এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিত্বের পরিবর্তনগুলো নিয়েও চিন্তাভাবনা করছি।”