নতুন করে যাত্রা শুরু করতে চলেছে মুম্বাইয়ের প্রাচীন এবং আইকনিক IMAX স্ক্রীনটি, যেটি ১৫ নভেম্বর উদ্বোধিত হতে যাচ্ছে মিরাজ সিনেমাসের অধীনে। সিনেমার দুনিয়ায় শ্রম, প্রেম এবং সংগ্রামের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে, যেখানে ‘কাঙ্গুবা’র প্রিমিয়ারের মাধ্যমে সমস্থ দর্শককে নতুন অভিজ্ঞতার ছোঁয়া দেবে। সিনেমা জগতের এই পরিবর্তনগুলি শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং সমাজের চেতনায়ও প্রভাব ফেলবে, যা বর্তমানের চলচ্চিত্র নির্মানের ধারা তুলে ধরে।
মুম্বাইয়ের পুরনো IMAX পর্দার পুনরায় উন্মোচন: চলচ্চিত্র শিল্পের সংকট এবং আবেগের পটভূমিতে নতুন অধ্যায়
গ্রীষ্মের শেষে তথা নভেম্বরের ১৪ তারিখ, মুম্বাইয়ের ওয়াদা্লায় অবস্থিত স্টোরিডা আইএমএএক্স পর্দাটি পুনরায় খুলতে চলেছে। বলিউড হাঙ্গামা খবর দিয়েছে যে, এটি মিরাজ সিনেমাসের অধীনে পুনরায় উদ্বোধন হতে চলেছে। ১৫ নভেম্বর IMAX পর্দা খুলবে, তবে তার আগেই চারটি স্বাভাবিক পর্দা চালু হবে। এটি চলচ্চিত্রের নতুন যুগের সূচনা করতে চলেছে।
নতুন রূপে IMAX এবং পুরনো সিনেমার পৃথিবী
সূত্রমতে, মিরাজ IMAX ওয়াদা্লা নাটকীয়ভাবে একটি নতুন রূপ গ্রহণ করেছে। পর্দা এবং ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (F&B) এলাকাও নতুন লুকে সাজানো হয়েছে, যা দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় হবে। চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য এটি দারুণ সুখবর যে, ১২ নভেম্বর সাংবাদিকদের জন্য একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিনেমা হলের একটি ঝলক দেওয়া হবে, যেখানে বলিউডের জুয়েলারি ‘কাংকুভা’-র নতুন সরঞ্জামের প্রকাশ ঘটবে।
একটি নতুন প্রত্যাশা এবং ডিজিটাল স্রোত
মিরাজ IMAX-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিত শর্মা জানিয়েছেন, “এটি শুধুমাত্র মুম্বাই নয়, দেশের সেরা সিনেমাগুলির একটি হবে।” কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে কি চলচ্চিত্রের আঙ্গিক পরিবর্তিত হচ্ছে? দর্শকরা এখনকার প্রকাশনার সঙ্গে আরও বেশি ডিজিটাল রূপকথার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
নতুন ছবি এবং পুরনো সিনেমার খাদ্যে
নভেম্বরের ১৪ তারিখ, দর্শকদের জন্য স্বাভাবিক পর্দাগুলি খুলে যাবে এবং সেখানেই প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের জন্য থাকবে ‘কাংকুভা’, ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ এবং ‘সিংহাম অ্যাগেইন’-এর মতো পুরনো সিনেমাগুলি। IMAX পর্দাটি ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ‘গ্ল্যাডিয়েটর II’–এর মাধ্যমে কার্যক্রম সূচনা করবে।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বৈচিত্র্যের প্রকাশ
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে হলো চলচ্চিত্র শিল্পের বৈচিত্র্য প্রকাশ করার একটি সুযোগ, যদিও অনেকেই একে সংকুচিত করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বলিউডের অভিনেতা এবং নির্মাতাদের থেকে সমাজের আরও বৃহত্তর কাঠামোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে ক্রমবর্ধমান দর্শক।
চলচ্চিত্রের সত্যতা ও যে পরিবর্তনের দাবি
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘কাংকুভা’ তার গুণগত মানের উপজীব্য বিষয়বস্তু আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা চলচ্চিত্রের সমালোচনা এবং মানদণ্ড উভয়কেই পরীক্ষা করবে। দর্শকরা প্রতিদিন নতুন গল্পের সাথে আরও সংযুক্ত হচ্ছে এবং এটি চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি নতুন সবাইয়ের দাবি নিয়ে আসছে।
এই সমস্ত পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে, বুঝতে হবে বিশেষত এশিয়ার সিনেমা শনাক্তকরণে আমাদের প্রতি বিষয়বস্তুর দাবি ও সমালোচনা কীভাবে বদলে যাচ্ছে। বলা বাহুল্য, আগের থেকে পরবর্তীতে একটি সুন্দর চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে আমাদেরকেও সত্যতা এবং অস্মিতার মূল্যায়ন করতে হবে।