মুম্বাইয়ের কার্টার রোডে সালিম খানের ওপর হামলার ঘটনা বিশাল আলোচনা তৈরি করেছে, যেখানে এক বুরখা পরিহিতা নারী নামী গ্যাংস্টার লরেন্স বিশনোইয়ের হুমকি দিয়েছেন। সালমান খানের নিরাপত্তার স্বার্থে এটি গভীর উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে, কারণ এই ধরনের হুমকির ফলে চলচ্চিত্র শিল্পের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দর্শকদের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এবং সিনেমার ওপর তাদের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে, যা প্রমাণ করে সমাজে সিনেমার প্রভাব কতটা গভীর।
প্রশ্নের স্ফুলিঙ্গ: বলিউডের আলোচনায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিশনোইর নাম
সম্প্রতি, মুম্বাইয়ের কার্টার রোডে প্রবীণ স্ক্রীনরাইটার সলিম খানকে বলয়ের প্রভাবশালী গ্যাংস্টার লরেন্স বিশনোইর নাম নিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে অভিনেতা সালমান খানের বাবার সাথে, যখন এক বোরকা পরিহিত মহিলা এবং তার সঙ্গী একটি বাইকে এসে সলিম খানের কাছে আসে। এই ঘটনা সালমান খানের বান্দ্রার residence-এ আগের গুলিবর্ষণের প্রেক্ষাপটে ঘটেছে, যা পরোক্ষভাবে ওই গ্যাংস্টারের নির্দেশে হয়েছিল।
কার্টার রোডের ঘটনা: এক সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা
বুধবার, সলিম খান সকালে হাঁটার পর একটি মঞ্চে বসেছিলেন, সেই সময় এক মহিলা ও একটি বাইকে আসা পুরুষ তার কাছে আসে। মহিলা allegedly প্রশ্ন করেন, “লরেন্স বিশনোইকে ডাকবো কি?” (Should I call Lawrence Bishnoi?), যা সরাসরি গ্যাংস্টারের নাম উল্লেখ করে। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পুলিশ এই ঘটনার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে এবং অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। পুলিশ অবশ্য এই ঘটনাকে প prank মনে করছে তবে অধ্যায়টি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে কেননা বিশনোইর পূর্ববর্তী হুমকির প্রেক্ষাপট রয়েছে খান পরিবারকে উদ্দেশ্য করে।
লরেন্স বিশনোইর সংযোগ
লরেন্স বিশনোইয়ের নাম অনেক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, বিশেষ করে সালমান খানকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হুমকি। বর্তমানে জেলে থাকা গ্যাংস্টারটি পাঞ্জাবি র্যাপার সিধু মুসওয়ালার হত্যার সঙ্গেও যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। বিশনোইয়ের গ্যাং সালমান খানকে হত্যারও হুমকি দিয়েছিল, ফলে খান পরিবারের নিরাপত্তা গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।
বৈশ্বিক সুরক্ষার ঝুঁকি
এপ্রিলে দুই ব্যক্তি সালমান খানের residence, গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। যদিও কেউ আহত হয়নি, তবে এই হামলা খান পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত ছয়জনকে আটক করেছে এবং মুম্বাই পুলিশ অন্তত নয়জনের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন (MCOCA) প্রয়োগ করেছে, যাদের মধ্যে বিশনোইও রয়েছে।
শিল্পের পরিবর্তনশীল চেহারা
এই সমস্ত ঘটনার মধ্যে বোধগম্য অপরাধ এবং বলিউডের শিল্পের পরিবর্তনশীল চেহারা নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। সলিম খান সম্প্রতি দক্ষিণী চলচ্চিত্রের তুলনায় বলিউডের নিজের ভাবনাগুলি শেয়ার করেছেন, যা দর্শকদের জন্য একটি “ভালো বিকল্প” হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, চলচ্চিত্রের কাহিনী এবং সমাজে তার প্রতিফলন কিভাবে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
শেষ কথা: বলিউডের পদলীনতা
যদিও আমরা এখনো বলিউডের স্বর্ণযুগের স্মৃতিতে আচ্ছাদিত, তথাপি বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শিল্পের সামনে নানান চ্যালেঞ্জ। বলিউড মানেই কি শুধুমাত্র উচ্ছৃঙ্খলতা, নাকি এর গভীরে রয়েছে কিছু বুঝি একটা হৃদয়ের কষ্ট? আসুন আমরা ভাবি, এই প্রতীকি উত্তরগুলো আমাদের সমাজকে কি রকম কাঠামো দিচ্ছে।