অফিসারেল দুই মুখ্য অভিনেতা আলিয়া ভট্ট এবং নবাগত বেদাং রায়নার অনবদ্য সম্মিলন নিয়ে ভক্তদের উত্তেজনা বাড়াচ্ছে ‘জিগ্রা’ নামক নতুন সিনেমার ট্রেলার, যেখানে এক বোনের সমাজবিরোধী লড়াই দৃশ্যমান। এই সিনেমা শুধু বিনোদনই প্রদান করে না, বরং আমাদের বিচার ও মূল্যবোধের জায়গাগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সিনেমার গল্প এবং আলিয়াদের শক্তিশালী অভিনয়, বর্তমান সিনেমা শিল্পের ধারা এবং দর্শকদের পরিবর্তিত রুচির সাথে তাল মিলিয়ে চলছে।
আলিয়া ভট্টের নতুন ছবির ট্রেলার প্রকাশ: কী বলছে বলিপাড়ার উন্মাদনা?
সম্প্রতি, “জিগরা” ছবির ট্রেলার প্রকাশ করা হয়েছে, যা এক বোনের সংগ্রামের কাহিনী ফুটিয়ে তোলে যাতে সে তার ভাইকে জেল থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছে। এই ছবি পরিচালনা করেছেন বাসান বালা এবং এতে প্রধান চরিত্রে আছেন আলিয়া ভট্ট এবং নবাগত ভেড়াং রায়না। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই ট্রেলারটি উন্মোচন করা হয়, যা দর্শকদের মধ্যে তীব্র আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
ছবির চিত্রনায়িকা আলিয়া-ভেড়াং এর প্রথম মিলন
ট্রেলারে مشاهده হয়, একটি যুবক ভারতীয়, আঙ্কুর, বিদেশে মাদক মামলা নিয়ে গ্রেফতার হয়। আলিয়ার চরিত্র, একটি নারীর নাটকীয় অভিযানকে তুলে ধরেছে, যেখানে সে প্রতিজ্ঞা করে তার ভাইকে জেল থেকে মুক্ত করতে। ছবির গল্পের গতিপথে ধীরগতিতে একের পর এক সংঘর্ষ, রক্তপাত, এবং এক জোরালো নারীর আত্মত্যাগের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আলিয়া এবং ভেড়াং রায়না তাদের ইনস্টাগ্রামে “সব ঠিক আছে?” ক্যাপশনে ট্রেলারটি শেয়ার করেছেন।
বন্ধুদের উত্সাহ এবং সমর্থন
ছবির ট্রেলার মুক্তির পর অনেক শিল্পী এবং চলচ্চিত্র জগতের বন্ধুদের পক্ষ থেকে সমর্থন এসেছে। আলিয়ার শ্বাশুড়ি নীতু কাপূর মন্তব্য করেছেন, “গুসবাম্পস এবং প্রভাবশালী”, আবার অনন্যা পান্ডে এটিকে “অসাধারণ” বলেও উল্লেখ করেছেন। প্রযোজক গুনীত মঙ্গা, অভিনেত্রী হুমা কুরেশি ও ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার আলিয়া কশ্যপ তাদের কুম্ভকার্যে প্রশংসা করেছেন।
ছবির পটভূমি ও প্রকাশের তারিখ
জিগরা মূলত ১৯৯৩ সালের শ্রীদেবী ও সঞ্জয় দত্তের ছবি “গুমরাহ” থেকে কিছুটা অনুপ্রাণিত। এটি ভেড়াং রায়নার বড় পর্দায় প্রথম আত্মপ্রকাশ। ছবিটি ধর্মা প্রোডাকশন্স, আলিয়ার ইটার্নাল সানশাইন প্রোডাকশন্স এবং ভায়াকম ১৮ কর্তৃক প্রযোজিত এবং ১১ অক্টোবর মুক্তি পাবে।
আলিয়ার মাতৃত্বের পর একটি নতুন প্রকল্প
এছাড়াও, আলিয়া ভট্ট সম্প্রতি তার কন্যার জন্মের পর “জিগরা” সিনেমায় স্বাক্ষর করার ব্যাপারে কথা বলেছেন, যেখানে তিনি জানান, “আমি আমার বাঘিনী মোডে ছিলাম”। এটি প্রমাণ করে যে, মাতৃত্বের পরও অভিনেত্রীরা সাহসী ও চ্যালেঞ্জিং পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
সিনেমার প্রভাব: ভবিষ্যতের দিকে নজর
বিনোদন জগতের এই ধারায় আলিয়ার অভিনয় যে শুধু একটি সিনেমা নয়, বরং নারীর ক্ষমতায়নের দৃষ্টান্ত, সেটাও বোঝা যাচ্ছে। “জিগরা” সমাজের বিভিন্ন সমস্যাকে মোকাবেলা করতে পারে এবং নতুন প্রজন্মের জন্য এক নতুন প্রেরণা সৃষ্টি করতে পারে। যেভাবে সিনেমা শিল্প ধীরে ধীরে সচেতনতা বাড়াচ্ছে, তা বলিউডের ভবিষ্যৎকে উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে।